ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডিমলায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু গ্রেফতার হয়েছে ।
Author: admin
-
ডিমলায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিন্টু গ্রেফতার।
ডিমলায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিন্টু গ্রেফতার২৬ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার ) গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের টুনিরহাট গ্রামে তার ভগ্নিপতি সোলেমান আলীর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে ডিমলা থানা পুলিশ। এছাড়া খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান সিয়ামকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলে এলাহি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে আদালতে প্রেরণ করা হবে। -
বকেয়া বেতনের দাবিতে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ, পুলিশের লাঠিচার্জ।
কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধি:
গাজীপুরের কালিয়াকৈরের চন্দ্রায় ২ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে কারখানার শ্রমিকরা।বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হার্ডী কারখানার শ্রমিকরা এ অবরোধ তৈরি করে বিক্ষোভ করেন। এতে মহাসড়কের ২ পাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। পরে লাঠিচার্জ করে মহাসড়ক থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে দেয় পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হার্ডী কারখানার শ্রমিকরা গত ২ মাসের বকেয়া বেতনের জন্য চন্দ্রা এলাকায় সকাল সাড়ে ১০:৩০ টায় মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করে। এতে উত্তর বঙ্গের প্রবেশদ্বার খ্যাত চন্দ্রায়, চন্দ্রা-নবীনগর, ঢাকা-টাঙ্গাইল ও জয়দেবপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের তৈরি হওয়ায় দু্র্ভোগে পড়েন এই মহাসড়কে চলাচলকারী সকল যাত্রীরা।পরে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে প্রথমে শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে দুপুর সাড়ে ১২ টায় শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয় যাএীরা সাধারনভাবে চলাচল শুরু করে।
-
বাঘায় সুবিধা বঞ্চিতদের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের শীতবস্ত্র বিতরণ।
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর বাঘায় উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় নিম্ন আয়ের সুবিধা বঞ্চিতদের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলার সরেরহাট কল্যাণী শিশু সদন, বৃদ্ধাশ্রম ও এতিম খানা এবং আড়ানী গুচ্ছ গ্রামে সুবিধাভুগি ২৫০ মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা হয়।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর ) সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী আক্তার, সহকারি কমিশনার (ভ’মি) সাবিহা সুলতানা ডলিসহ উপজেলা প্রশাসনের দপ্তর প্রধানদের নিয়ে ওইসব এলাকায় গিয়ে সুবিধাবঞ্চিতদের হাতে শীত বস্ত্র তুলে দেন।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শীতবস্ত্র (কম্বল) পাওয়া সরেরহাট কল্যাণী শিশু সদন ও বৃদ্ধাশ্রমের খাদিজা বেওয়া বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়ে শীতবস্ত্র (কম্বল) দিয়ে গেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী আক্তার বলেন, জেলা প্রশাসক স্যারের দিক নির্দেশনায় ২৫০ পিচ কম্বল বিতরণ করেছি। ## -
নাগরপুরে শ্রমিক দলের কমিটি অনুমোদন ও সালাম পিন্টু’র মুক্তির খুশিতে আনন্দ র্যালি।
স্টাফ রিপোর্টারঃ টাঙ্গাইল জেলা শ্রমিক দল কর্তৃক নাগরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের নবগঠিত ৬১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন ও সালাম পিন্টু’ র মুক্তিতে আনন্দ র্যালি।
টাঙ্গাইল জেলা শ্রমিক দলের
সভাপতি( ভারপ্রাপ্ত) আবু সাঈদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক ভিপি মনির স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে আরিফুল ইসলাম নবা সভাপতি ও গোলাম মওলা মোস্তফা সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া হোসেন জাকির হোসেন কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৬১ সদস্য বিশিষ্ট নাগরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন ও দীর্ঘ ১৭ বছর পরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল( বিএনপি) নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু এর মুক্তিতে আনন্দ র্যালি হয়েছে।জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কেন্দ্র ঘোষিত আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে নেমে সফলতা আদায় করতে যা করা দরকার আমরা সকলেই ঐক্য বদ্ধ হ’য়ে সফলতা আনবো, ইনশাআল্লাহ।
নাগরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের ৬১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতাদের পক্ষ থেকে সভাপতি আরিফুল ইসলাম নবা ও সম্পাদক গোলাম মওলা মোস্তফা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি,জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ও নাগরপুর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সম্মানিত সদস্য রবিউল আওয়াল লাভলু,নাগরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রফিজ উদ্দিন মিয়া,উপজেলা বিএনপি সহ সভাপতি নিয়ামত আলী সুইট, যুগ্ম সম্পাদক ফারুক আহমেদ খান, সাবেক জিএস ইকবাল কবির রতন, নব গঠিত কমিটির শ্রমিক দলের সভাপতি আরিফুল ইসলাম নবা, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মওলা মোস্তফা, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ভারপ্রাপ্ত নাজমুল হক স্বাধীন,সাবেক জিএস ইকবাল হোসেন, নুরুজ্জামান রানা সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন হতে আগত বিভিন্ন সংগঠনে নেতৃবৃন্দ।
-
রামপালে জামায়াত ইসলামীর গণসমাবেশে জনতার ঢল।
রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে জনতার ঢল নেমে আসে। সমাবেশ শুরুর আগে ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ড থেকে প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসে নেতাকর্মীরা। ‘নারায়ে তকবির তাকবির আল্লাহু আকবর’ স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় পুরো এলাকা।বুধবার(২৫ ডিসেম্বর বিকেলে বাইনতলা ইউনিয়ন জামায়াত ইসলামীর আয়োজনে পবনতলা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় মাঠে এ গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।ইউনিয়ন জামায়াত ইসলামীর সভাপতি মাওলানা নুর মোহাম্মদ’র সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াত ইসলামীর নায়েবে আমীর এ্যাডঃ মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ।বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতর সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক ইকবাল হুসাইন।সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আমীর মল্লিক আবদুল হাই, নায়েবে আমীর খাঁন রেজাউল করিম, সেক্রেটারী মাওলানা জিহাদুজ্জামান, উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি শেখ আসাদুজ্জামান, জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুল কাদির, গাজী মাহাবুবুল আলম।সমাবেশে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর আমাদের ফ্যাসিস্ট সরকার খোলা মাঠে কথা বলার সুযোগ দেয়নি। বিগত সরকার ভারতের দালালি করেছে। আমরা আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাাসিস্ট সরকারের পতন হয়েছে, আমরা পেয়েছি নতুন এক বাংলাদেশ। ফ্যাসিস্ট সরকার জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে মতিউর রহমান নিজামী দেলোয়ার হোসেন সাঈদীসহ আমাদের নেতা-কর্মীদের হত্যা করেছে। শিবির ট্যাগ দিয়ে বিশ্বজিৎকে খুন করেছে এছাড়া ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে আবরার ফাহাদকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে। রামপাল-মোংলা আসনের জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা আবু বকার সিদ্দিককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এদেশের ছাত্র জনতা গুলিকে ভঁয় পায়নি। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজনে আবারও শহীদ হওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। আগামী দিনে কুরআন এর আইনে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে। জামায়াত লুটখাট করেনা, কারো ঘের দখল করেনা। আগামীতে জামাত ক্ষমতায় গেলে সবচেয়ে বেশি সুযোগ সুবিধা পাবে এদেশের সংখ্যালঘু ভাইবোনেরা। আমরা তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্র গঠনে কাজ করার আহবান জানান নেতারা।সমাবেশে জামায়াত ইসলামী ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। -
শ্রীমঙ্গলে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে উৎসব বড়দিন পালন।
নিজস্ব প্রতিবেদক: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দিনব্যাপী নানান ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শুভ বড়দিন উদযাপন করা হয়েছে।বুধবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং, শহরের ক্যাথলিক মিশন রোডস্থ সেন্ট যোসেফ চার্চে বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠান।যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন পালনের শুরুতে মা মারীয়ার গ্রটোতে উদ্বোধনী আশীর্বাদ করা হয়। পরে সেন্ট যোসেফ গীর্জায় পবিত্র খ্রীস্টযাগ প্রার্থনায় খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা যোগ দেন।হাজার হাজারভক্তরা।এ সময় খ্রীস্টযাক উৎসব পরিচালনা করেন সিলেট ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস গমেজ উপস্থিত ছিলেন ক্যাথলিক মিশনের প্রধান পুরোহিত ফাদার ড. জেমস্ শ্যামল গমেজ।এদিকে জেলার বিভিন্ন উপজেলার পুঞ্জি ও চা বাগান থেকে আসতে থাকেন হাজার হাজার খ্রীষ্ট ভক্তরা। তারা বেলা ১১ টার সময় বিশ্বের শান্তি কামনায় শ্রীমঙ্গল ক্যাথলিক মিশনে অংশ নেন বিশেষ সমবেত প্রার্থনা ও খ্রীষ্টযাক উৎসবে। তাছাড়া বড়দিন উপলক্ষে ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত ফাদার জেমস্ শ্যামল গমেজকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায় বিবেকানন্দ শিক্ষা ও সংস্কৃতি পরিষদ শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার।বড়দিন উৎসবকে ঘিরে অপরূপ সাজে সেজেছে গির্জাগুলো। আলপনা একে নতুন করে রং করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন খাসিয়া পুঞ্জি, চা বাগানের গারো লাইন এলাকায় গির্জাগুলো সাজানো হয়েছে আলপনা একে সৌন্দর্য বাড়ানোর কাজ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় ১৮১টি গীর্জা রয়েছে। এরমধ্যে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ৬৫ টি, এবং কমলগঞ্জ উপজেলায় ৪৩ টি গীর্জাসহ জেলার ১৮১ টি গীর্জায় বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠান পালন করা হয়।মৌলভীবাজার থেকে আগত চেলসি বলেন, অনেক ভালো লাগছে, এটা আমাদের জন্য খুবই স্পেশাল একটা দিন। এই দিনের জন্য আমরা সারাটা বছর অপেক্ষা করে থাকি যে, একটা ২৫ তারিখ আসবে। আমরা সবাই নতুন রঙে সাজবো। চার্চে আসছি আমরা, আমাদের যীশুকে স্মরণ করবো, যেহেতু আজকে যীশুর জন্মদিন। তাছাড়া আমরা খুবই আনন্দিত।বড়দিনের আনন্দ উপভোগ করতে আসা প্রমা চৌধুরী বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমরা প্রত্যেক বছরেই বড়দিনে এখানে আসি, অনেক আনন্দ করি। অনেক সুন্দর আয়োজন তাঁদের। অনেক ভালো লাগছে। চার্চে অনুষ্ঠান হচ্ছে, সবাই আনন্দ করছে। যীশু খ্রীস্টের গোষালা এতো সুন্দর করে সাজিয়েছে, সেটা দেখতে আসছি।ক্যাথলিক মিশনের প্রধান পুরোহিত ফাদার ড. জেমস্ শ্যামল গমেজ বলেন, বড়দিনের শুভেচ্ছা সবাইকে। একটা সুন্দর ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আমরা আজকের এই বড়দিন উদযাপন করছি। সমস্ত ধর্মের ভাই-বোনদের সার্বজনীন উৎসব। তাই সুস্থ, শান্তি পৃথিবীতে শান্তি নেমে আসুক। আমাদের দেশে শান্তি সুশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হোক, সবার মঙ্গল কামনা করে, শান্তি কামনা করে বড়দিনের বিশেষ শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি।মৌলভীবাজার জেলার পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন মুঠোফোনে বলেন, জেলায় ১৮১ টি গীর্জা রয়েছে। গীর্জার নিরাপত্তার জন্য, খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের বড়দিন উদযাপনের জন্য পুলিশ যথেষ্ট পরিমাণ, বিশেষ করে সাদা পোশাকে এবং ইউনিফর্ম পোশাকে আমরা নিরাপত্তায় রেখেছি। মানুষ যেনো নির্বিঘ্নে উদযাপন করতে পারে অনুষ্ঠান, এবং পাশাপাশি এই উৎসবে শঙ্কা, ভয় কাজ না করে সেবিষয়ে আমরা আশ্বস্ত করেছি।তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব, সেনাবাহিনী কর্মকর্তা মাঠে রয়েছেন। -
কালিয়াকৈরে আনন্দ উৎসবে খৃষ্টান ধর্মালম্বীদের বড়দিন পালন।
কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধিঃ
খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। এ উপলক্ষে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বুধবার সকাল থেকে নানা উদ্দীপনায় বড়দিন উদযাপিত হয়েছে। গীর্জা থেকে খ্রিস্টান বাড়ি সবখানেই এখন বড়দিন পালনের প্রস্তুতি সম্পন্ন। বাড়িগুলোর সামনে সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি। অতিথি আপ্যায়নের জন্য বাড়িতে বাড়িতে তৈরি করা হচ্ছে রকমারি পিঠা। গির্জা ও পল্লিগুলোকে সাজানো হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ঝলমলে আলোকসজ্জায়। প্রতিটি গ্রামেই এখন উৎসবের আবহ, চলছে নানা আয়োজন। তবে উৎসব আনন্দ নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয় খ্রিস্ট ধর্মালম্বীদের। এবার কালিয়াকৈরের গোয়ালবাথান, কালামপুর,হবুয়ারচালা, নিশ্চিন্তপুর, বৈথনিয়া, রামপুর, বগারপুরসহ বিভিন্ন গীর্জায় কেক কেটে বড়দিন পালন করা হয়। সবচেয়ে বেশি আনন্দ বিরাজ করছে শিশু-কিশোরদের মাঝে।
সীনয় ব্যাপ্টিস্ট চার্চের পালক যোহন বর্মন বলেন, বাড়িতে বাড়িতে কেক, আর পিঠাপুলির আয়োজন করা হয়েছে। উৎসবের আলোয় নিজেদের রাঙিয়ে তুলতে ব্যস্ত সবাই।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চের ডিকন জয়দেব বর্মন বলেন বড়দিনে আমাদের বড় প্রার্থনা হচ্ছে মানুষের মধ্যে যেন ভ্রাতৃত্ববোধ গাঢ় হয়, পৃথিবী থেকে যেন অস্থিরতা দূর হয় এবং সবার মধ্যেই যাতে শান্তি বিরাজ করে।
উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা জানান, বড় দিনকে ঘিরে সর্বাত্মক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করি নির্বিঘ্নে বড় দিনের উৎসব সম্পন্ন হবে। -
ডিমলায় স্বপ্ন পুরনের প্রত্যয়ে আমরা সামাজিক সংগঠনের উপদেষ্টা কমিটি গঠন।
ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ ডিমলায় স্বপ্ন পুরনের প্রত্যয়ে আমরা সামাজিক সংগঠনের উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার রামডাঙ্গা আমতলীতে স্বপ্ন পুরনের প্রত্যয়ে আমরা সামাজিক সংগঠন কার্যালয়ে সংগঠনটির উপদেষ্টা কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়।উপদেষ্টারা হলেন অধ্যক্ষ মো. মনোয়ার হোসেন, সভাপতি,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ( বিএনপি) ডিমলা ও অধ্যক্ষ, শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রী কলেজ, ডিমলা, নীলফামারী, মোঃ গোলাম রব্বানী প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক ,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ( বিএনপি) ডিমলা ও সহকারী শিক্ষক, ডিমলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়,ডিমলা, নীলফামারী। মো. আব্দুল কাদের, অধ্যক্ষ, ডিমলা টেকনিক্যাল এন্ড বি,এম আই কলেজ,ডিমলা, নীলফামারী,এ্যাডঃ মো. তাইবুর রহমান,আইনজীবী জেলা ও দায়রা জজ আদালত, নীলফামারী, মো. অহিদুল ইসলাম,সমাজ সেবক ও সদস্য অভিভাবক প্রতিনিধি, রামডাঙ্গা, ডিমলা, নীলফামারী,মো. নূরুল আমিন,সমাজ সেবক ও জমিদাতা, রামডাংগা,ডিমলা,নীলফামারী।সংগঠনটির সভাপতি মো.কামরুল ইসলাম বলেন, স্বপ্ন পুরনের প্রত্যয়ে আমরা সামাজিক সংগঠনটি ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন থেকে সংগঠনটি সাধারন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে সমাজের মানুষের উন্নয়নে দলবদ্ধ ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এই সংগঠন থেকে বহু অসহায় মানুষ উপকৃত হচ্ছে। সংগঠনটির লক্ষ্য হলো সমাজের অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দেশের উন্নয়ন করা। সমাজ কল্যাণ মন্ত্রাণালয় হতে সংগঠনটিতে সরকারি অর্থ বরাদ্দ দিলে আমদের কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে এবং দেশের মানুষ উপকৃত হবে। -
আমতলীর সিপিপির শ্রেষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবক টিম লিডার রিপন মুন্সি।
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ
আমতলী উপজেলার সিপিপির শ্রেষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবক নিবার্চিত হলেন রিপন মুন্সি। মঙ্গলবার ঢাকার হলিক্রস রেডক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে উপজেলা শ্রেষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে তার হাতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান এনডিসি এ সম্মাননা ক্রেস্ট ও চেক তুলে দেন। রিপন মুন্সি আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক।
জানাগেছে, আন্তজার্তিক দুযোর্গ প্রশমন দিবস উপলক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আমতলী উপজেলার ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসুচী (সিপিপি) শ্রেষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবক নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়। এ বছর আমতলী উপজেলার সিপিপির শ্রেষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবক নিবার্চিত হন ইউনিট টিম লিডার (সংকেত) মোঃ রিপন মুন্সি। মঙ্গলবার ঢাকার হলিক্রস রেডক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে উপজেলার শ্রেষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে তার হাতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান এনডিসি সম্মাননা ক্রেস্ট ও চেক তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিপিপির চেয়ারম্যান হাসানুল হক।
আমতলী উপজেলার সিপিপির শ্রেষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবক মোঃ রিপন মুন্সি বলেন, দুর্যোগে ভালো ভুমিকা রাখায় সম্মাননা সরুপ আমাকে উপজেলার শ্রেষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে মনোনীত করেছেন।
আমতলী উপজেলা ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতির কর্মসুচীর সহকারী পরিচালক মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, রিপন মুন্সি দুর্যোগে জীবন বাজি রেখে কাজ করেছেন। ফলে তাকে উপজেলা সিপিপির শ্রেষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবক মনোনীত করা হয়েছে।
আমতলী উপজেলা নিবার্হী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, টিম লিডার রিপন মুন্সিকে উপজেলার শ্রেষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে মনোনীত করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। -
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, হিমেল হাওয়া কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষ।
নিজস্ব প্রতিবেদক: আজও চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে।আজ মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং, সকাল ৯টার সময় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৬টায় রেকর্ড করা হয় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, আজ সকাল ৯টার সময় শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা নিচের দিকেই থাকতে পারে। এখানে শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।চায়ের রাজ্য এই অঞ্চলে শীতের প্রকোপ বাড়ছেই সেই সাথে বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির। সঙ্গে হিমেল হাওয়া কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু এ উপজেলার মানুষ। গত কয়েক দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলেও মিলছে না এ জনপদে। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে এই অঞ্চলের মানুষের জনজীবন।সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশায় শহরের সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে গতি কমিয়ে চলাচল করছে দূরপাল্লার যানবাহনসহ, মিনিবাস, সিএনজি, মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক।সরজমিনে দেখা যায়, কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাসের কারনে প্রয়োজনের বাইরে বের হচ্ছেন না অনেকেই। তবে খেটে খাওয়া মানুষগুলো জীবিকার তাগিদে সকালেই বেরিয়েছেন কাজে। দিনের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায়, বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্নআয়ের মানুষ। শীত বেশি পড়ায় বিশেষ করে কাজ করতে কষ্ট হয় হাওর পাড়ের বোরো চাষি, দিনমজুর ও চা বাগানের শ্রমিকদের।শ্রীমঙ্গল শহর ও শহরের বাইরের এলাকাগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সন্ধ্যার পর শহরে তাপমাত্রা একটু বেশি থাকলেও গ্রাম ও চা-বাগানে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হয়। ঠান্ডায় বিপাকে পড়েন শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষেরা পড়ছেন চরম বিপাকে।