Author: admin

  • ডিবি পুলিশের অভিযানে ভেজাল গুড় ব্যবসায়ী আটক।

    ডিবি পুলিশের অভিযানে ভেজাল গুড় ব্যবসায়ী আটক।

    রাজশাহীর বাঘায় এক ভেজাল গুড়ের কারখানায় ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে জমির উদ্দিন (৬৫) নামের এক ব্যাবসায়ী কে আটক করেছে।
    এ সময় ভেজাল গুড় ও গুড় তৈরীর উপকরণসহ তাকে আটক করা হয়।  মঙ্গলবার (২ মে) উপজেলার আড়ানী পৌরসভার দিয়ার পাড়া গ্রামে অভিযান চালায় রাজশাহী জেলা ডিবি। আটককৃত জমির উদ্দিন দিয়াড়পাড়া গ্রামের মৃত মোল্লার ছেলে।
    ডিবি সূত্রে জানা যায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাজশাহী পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন, বিপিএম (বার)  মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় ওসি ডিবি আব্দুল হাই, পিপিএম এর নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) আতিকুর রেজা সরকার ও এসআই (নিঃ) ইনামুল ইসলাম সহ সঙ্গীয় অফিসার-ফোর্স এর সহায়তায় মঙ্গলবার আড়ানী পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের দিয়ারপাড়া গ্রামস্থ জমির উদ্দিন এর বসত বাড়ীতে এবং পলাতক আসামীর কারখানায় ভেজাল আখের গুড় ও  চিনি, চুন, হাইড্রোজ, ফিটকিরি, ডালডা ও বিভিন্ন উপাদান এবং গুড় তৈরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন মালামাল সামগ্রীসহ আটক করা হয়।
    এ সংক্রান্ত বিষয়ে আটক, পলাতক ও অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে বাঘা থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন।
  • ঠাকুরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সুজনের উঠান বৈঠক।

    ঠাকুরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সুজনের উঠান বৈঠক।

    “দেশের উন্নয়ন মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন” এই শ্লোগাসনকে সামনে রেখে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন জনগনের মধ্যে তুলে ধরে উঠান বৈঠক করেছেন ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম সুজন।
    সোমবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৬নং ভানোর ইউনিয়নের আয়োজনে ভানোর গোয়ালটলী গ্রামে উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
    এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম সুজন বক্তব্য রাখেন।
    তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার জনবান্ধব সরকার। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সবাই নিরাপদ, শান্তি ও স্বস্বিতে থাকে, দেশও এগিয়ে যায়। জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তাকে আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দেয়ার আহ্বান করেন তিনি।
    এসময় ভানোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ভানোড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সিদ্দিকী,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
  • বাঘার ভালো মানের আম ইতালিতে প্রথম বারের মত রপ্তানি হচ্ছে।

    বাঘার ভালো মানের আম ইতালিতে প্রথম বারের মত রপ্তানি হচ্ছে।

    রাজশাহীর বাঘা থেকে এবার আগাম জাতের চোষা আমের প্রথম চালান যাচ্ছে ইতালি। আজ বুধবার সন্ধ্যায় ৩০০ কেজি আম ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।  আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আদব ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে এই আম ইতালি পাঠানো হবে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে বাঘা উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান জানান, উপজেলার আম উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠান সাদিয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক শফিকুল ইসলাম (ছানা) ৩০০ কেজি আম প্যাকেজিং করে ঢাকায় পাঠিয়েছেন। ঢাকা থেকে আদব ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে ইতালি পাঠানো হবে। আমগুলো দেশি গুটি জাতের চোষা আম।

    সাদিয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক শফিকুল ইসলাম বলেন, চোষা জাতের আম আগাম হয়। খেতেও খুব সুস্বাদু। স্থানীয়ভাবে চাহিদা বেশি। এই আমটা এবারই প্রথম দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে রফতানির চেষ্টা করছি। ৩০০ কেজি আম আমার এখান থেকে যাচ্ছে। রাজশাহীর লোকাল মার্কেটে বেশি দাম হলেও ১০০ টাকা কেজি দরে রপ্তানির জন্য বিক্রি করছি। আমরা চাচ্ছি এই আম রপ্তানি হোক।

    ঢাকার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আদব ইন্টারন্যাশনালের স্বত্তাধিকারি ইসমাইল হোসেন সাগর জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টা ৫৫ মিনিটে যাত্রীবাহী বিমানে এই আম ইতালি পাঠানো হবে।

  • পড়াশোনা বিজ্ঞানে-কিন্তু প্রবেশপত্রে মানবিক বিভাগ।

    পড়াশোনা বিজ্ঞানে-কিন্তু প্রবেশপত্রে মানবিক বিভাগ।

    ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মথূরাপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের এসএসসি পরিক্ষার্থী ফাহিম আহম্মেদ। সে পড়ালেখা করেছে বিজ্ঞান বিভাগে। তবে পরীক্ষার আগের দিন প্রবেশপত্র হাতে নিয়ে সে দেখে তার নিবন্ধন হয়েছে মানবিক বিভাগে।

    এজন্য তাকে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ালেখা করেও মানবিকের হয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে হচ্ছে।যা মেনে নিতে পারছে না ফাহিম। এ কারণে ফাহিমসহ তার পরিবার বেশ চিন্তিত।

    ফাহিমের অভিযোগ, নিবন্ধনের সময় অসুস্থ থাকায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূলের কারণে তারর নিবন্ধন মানবিক বিভাগে হয়। আবার নিবন্ধনের পর প্রিন্ট কপিতে তাকে না জানিয়ে স্বাক্ষরও নেওয়া হয়।

    ফাহিমের সহপাঠীরাও বিজ্ঞানের ছাত্র হয়ে মানবিক বিভাগে ফাহিমের পরীক্ষা দেওয়া মেনে নিতে পারছে না।

    ফাহিমের একাধিক সহপাঠী জানায়, দুই বছরে কোনো শিক্ষক বলেনি তার নিবন্ধন মানবিক বিভাগে হয়েছে। একসাথে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ালেখাসহ ফরম পূরণ করেছি। ব্যবহারিকও এক সাথে করেছি। তাহলে ফাহিম মানবিকে কীভাবে হয়!

    ফাহিম বলে, দুই বছর বিজ্ঞান বিভাগে পাঠদান করেছি। বিজ্ঞান বিভাগের জন্য যে ফি লাগে তা দিয়ে ফরম পূরণ করেছি। বিজ্ঞান বিভাগে পড়ালেখা করে আমি মানবিক বিভাগে কীভাবে পরীক্ষা দিব। বিষয়টি দেখার পরে বিদ্যালয়ে যোগাযোগ করলে প্রধান শিক্ষক আমাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে বলে। সে কারণে বাংলা পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছি।’

    সে আরও বলে, আমার বিভাগ পরিবর্তন না হলে আমি মানবিকের বিষয়গুলো পাশ করতে পারব না। একটি ভুলের কারণে আমার ১০ বছরের স্বপ্ন নষ্টের পথে। এ কষ্ট আমি মেনে নিতে পারছি না।

    তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মথূরাপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, এ ভুলের জন্য ফাহিম দায়ী। তার রেজিস্ট্রেশন হয়েছে মানবিকে। সে দেখে শুনে প্রিন্ট কপিতে স্বাক্ষর করেছে। পরীক্ষার ১০ দিন আগে প্রবেশপত্র দেওয়া হয়েছে। তখন কিছু বলেনি। পরীক্ষার আগের দিন বিষয়টি অবগত করেছে। এতে আমরাও বিব্রত। তার ইচ্ছে অনুযায়ী বিভাগ পরিবর্তনের জন্য দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে চেষ্টা চলছে।

    দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যার অধ্যাপক কামরুল হাসান বলেন, মানবিক কারণে শিক্ষার্থীদের ভূল সংশোধন চলমান আছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আসলে সংশোধনের চেষ্টা করা হবে।

  • নিজের কাছে এন্ড্রয়েড মোবাইল রাখার অপরাধে মাদ্রাসা পরিক্ষার্থী বহিষ্কার।

    নিজের কাছে এন্ড্রয়েড মোবাইল রাখার অপরাধে মাদ্রাসা পরিক্ষার্থী বহিষ্কার।

    জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সানন্দবাড়ী ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষায় অসাদুপায় অবলম্বন করার দায়ে ১ দাখিল পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
    আজ(৩০ এপ্রিল) রবিবার প্রথম পরিক্ষায় উপজেলার সানন্দবাড়ী ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে এ বহিষ্কারের ঘটনা ঘটে।
    উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস এ প্রতিবেদককে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
    উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলাকালে উপজেলার চরআমখাওয়া  ইউনিয়নের সানন্দবাড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে ১ জন শিক্ষার্থীকে মোবাইল রাখার অপরাধে বহিষ্কার করা হয়েছে।
    বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী সবুজপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ছাত্র মনজুরুল ইসলাম (রোল ২৯৯৭৯৯)
    জানা যায়, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা  মোখলেছুর রহমান কেন্দ্রে পরীক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। এ সময় পরীক্ষার হলে ওই পরীক্ষার্থীকে স্মার্ট ফোনে কথা বলার সময়  হাতেনাতে ধরেন।
    পরে বিধিমোতাবেক কেন্দ্র সচিব তাঁকে পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কামরুন্নাহার শেফা বলেন, পরীক্ষার হলে নকল/মোবাইল কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। প্রত্যেক পরীক্ষার দিনই পরীক্ষার হল পরিদর্শন করছি। নকল রোধে পরীক্ষার হল পরিদর্শন অব্যাহত থাকবে।
  • এস.এস.সি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেলো না শিমু।

    এস.এস.সি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেলো না শিমু।

    নীলফামারীর ডিমলায় প্রধান শিক্ষকের ভুলে এক শিক্ষার্থীর এসএসসি পরীক্ষার্থী দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে । বৃহস্পতিবার (২৭শে এপ্রিল) ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে শিক্ষার্থী শিমুর বাবা রবিউল ইসলাম।ডিমলা খগা বড়বাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মারুফা আক্তার লিজার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।

    ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শিমু আক্তার উপজেলার নিজ সুন্দর খাতা গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে। তিনি ওই বিদ্যালয়ের মানবিক শাখা থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিলো।

    অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে যথা সময়ে শিমু আক্তারের ফরম পূরণের এর জন্য দুই হাজার চারশত টাকা জমা দেওয়া হয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ওই শিক্ষার্থীর ফরম পূরণ করেননি। সম্প্রতি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিতে বিদ্যালয়ে গেলে প্রধান শিক্ষক জানান শিমুর ফরম পূরণ হয়নি।পরে প্রধান শিক্ষকের নিকট এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি বিভিন্ন তালবাহানা করে সময়ক্ষেপন করেন। এ ঘটনায় পরীক্ষা দিতে পারবেনা জেনে ওই শিক্ষার্থী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

    রবিউল ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষকের এরকম অবহেলার কারণে আমার মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ হয়নি। ফরম পূরণের জন্য আরো ছয় হাজার টাকা চেয়েছেন তিনি । আমি গরীব মানুষ এতো টাকা কোথায় পাবো। তিনি বলেন, পরীক্ষা দিতে না পেরে যদি আমার মেয়ের কিছু হয়ে যায় এর দায়ভার কে নেবে?
    শিক্ষার্থী শিমু আকতার বলেন, আমি প্রধান শিক্ষককে ফরম পূরণের জন্য টাকা জমা দিয়েছি। এ্যাডমিট কার্জাড তুরতে গিয়ে জানতে পারি আমার এসএসসি ফরম পূরণ হয়নি। ভুল করে আমার নামের আরেকজন ঝড়েপড়া শিক্ষার্থীর ফরম পূরণ হয়েছে। এখন প্রধান শিক্ষক আমাকে এক বছর অপেক্ষা করতে বলছেন। আমি এর বিচার চাই।
    এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মারুফা আক্তারের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে, তিনি পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি সাড়া দেননি।
    এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, অভিযোগের বিষয়ে আমি অবগত। ঘটনার বিস্তারিত জানতে ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
    উল্লেখ্য, গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণের কার্যক্রম শুরু করা হয়। আগামী ৩০ এপ্রিল এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

  • উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মন্তব্যের প্রতিবাদে সমাবেশ।

    উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মন্তব্যের প্রতিবাদে সমাবেশ।

    বাগেরহাটের রামপালে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ মোঃ আবু সাঈদকে নিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট মন্তব্য করায় এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ২৬ এপ্রিল বুধবার সকাল ১১.০০ টায় উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দীন হাওলাদার’র সভাপতিত্বে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে । সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানকে নিয়ে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট মন্তব্য করায় বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও রামপাল উপজেলা পরিষদের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ মোঃ আবু সাঈদ এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন।

    প্রতিবাদ সমাবেশে আলহাজ্ব শেখ মোঃ আবু সাঈদ বলেন যে, রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে গত ১৩ই এপ্রিল তার বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। সে সমাবেশে রামপাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোল্লা আঃ রউফ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জামিল হাসান জামু তাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে তিনি সমাবেশে জানান। শেখ মোঃ আবু সাঈদ বলেন যে, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোল্লা আঃ রউফ জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি করার কারণে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয় এবং একজন অসহায় বৃদ্ধ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জমির হারির টাকা না দিয়ে সে জমি ভোগ দখল করছেন । আলহাজ্ব জামিল হাসান জামু বর্ণালী ঘোষ হত্যা মামলার একজন আসামী ছিলেন। উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন টেন্ডারবাজির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাদের মুখে আমাকে নিয়ে সমালোচনা করা তাদের মানায় না। শেখ মোঃ আবু সাঈদ আরো বলেন যে, আওয়ামী লীগের দূর্দিনে ও বিপদের সময় মাঠে থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বছরের পর বছর দলের জন্য কাজ করেছেন। তিনি বলেন যে, টিউবওয়েল’র টাকা আত্মসাৎ করে খুলনায় বাড়ি নির্মান করা, সরকারি জমি দখল করা ও আবুল কালাম ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাৎ সংক্রান্ত যে অভিযোগ গত ১৩ই এপ্রিল স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা করেছিলেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। তিনি বলেন যে, টিউবওয়েল দেওয়ার জন্য যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন, তিনি তাদের প্রত্যেককে টাকা ফেরত দিয়েছিলেন। এছাড়া তিনি সরকারি চরের যে জমিটি ভোগ দখলে আছেন, তা তিনি নিয়ম মাফিক-ই ভোগ দখল করছেন। তিনি আরো জানান যে, কেউ যদি তার বিরুদ্ধে কোন দূর্নিতীর প্রমাণ দিতে পারেন, তাহলে তিনি স্ব-ইচ্ছায় আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করবেন। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন যে, যারা তার বিরুদ্ধে দূর্নিতীর অভিযোগ তুলেছেন তারাই জনগণকে নানাভাবে হয়রানি করছে ও তাদের দ্বারা জনগণ দূর্নিতীর শিকার হচ্ছে।

    তিনি আরো বলেন যে, বেসরকারি টিভি চ্যানেল ডিবিসি টেলিভিশনের ইলেকশন এক্সপ্রেস নামক অনুষ্ঠানের সাক্ষাৎকারে তিনি যা বলেছেন, তার কয়েকটি বিষয় তার বলা ঠিক হয়নি । ব্যস্ততা ও অপ্রস্তুতির কারণে কিছু কথা তার ভুল হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন। তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) যাকে মনোনয়ন প্রদান করবেন, তিনি তার পক্ষে সক্রিয়ভাবে কাজ করবেন দলের মধ্যে যে, বিভাজন তৈরি হয়েছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে তার শান্তিপূর্ণ সমাধান করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান।

    প্রতিবাদ সমাবেশের সভাপতি সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দীন হাওলাদার বলেন যে, পক্ষপাত মূলক আচরণের কারণে দলে সুস্পষ্ট বিভেদ তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন যে, তারা বর্তমানে সংসদ সদস্যের কোটা ও উপজেলা পরিষদ থেকে কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানকে কোন প্রকার বরাদ্দ দেওয়া হয়না। এছাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও তাদের প্রতি বিরূপ আচরণ করে থাকেন। নানামুখী কারণে দলে দুটি পক্ষ তৈরি হয়েছে এবং এ দূরত্ব শুধু বেড়েই চলছে। তিনি খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়রকে উদ্দেশ্য করে বলেন যে, তাকে রামপাল-মোংলার সবাই অত্যন্ত ভালোবাসে। দলের সমূহ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তিনি খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেকের প্রতি অনুরোধ জানান।

    সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন যে, আলহাজ্ব শেখ মোঃ আবু সাঈদ আওয়ামী লীগের একজন পরীক্ষিত নেতা। তাকে নিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছিল, তা সত্যিই দুঃখ জনক। কারণ আলহাজ্ব শেখ মোঃ আবু সাঈদ দূর্দিনে দলের পাশে থেকে দলকে যেমন সহায়তা করেছেন, একই ভাবে তিনি এলাকার গরীব-দুঃখী মানুষকে অর্থনৈতিক সহায়তা, চিকিৎসা সেবা, মাদ্রাসা, মসজিদ ও এতিমখানায় দান, অসহায় শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতাসহ নানামূখী সামাজিক কাজকর্ম করে থাকেন।

    প্রতিবাদ সমাবেশে সকল বক্তারা রামপাল উপজলা আওয়ামী লীগের মধ্যে যে বিভাজন তৈরী হয়েছে, তার শান্তিপূর্ন সমাধান কামনা করেন। তারা এও বলেন যে, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আঃ খালেক মহোদয় একটু উদ্যোগী হলে অচিরেই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।

    প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাওলাদার হাফিজুর রহমান, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক ও ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, উজলকুড় ইউপি চেয়ারম্যান মুন্সি বোরহান উদ্দিন জেড, গৌরম্ভা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রাজিব সরদার, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রবিউল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সরদার বোরহান উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ চয়ন মন্ডল, বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মেহেদী হাসান রাজু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাদীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের একটি অংশ প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।

  • ঠাকুরগাঁওয়ে পার্কের আড়ালে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ।

    ঠাকুরগাঁওয়ে পার্কের আড়ালে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ।

    সাধারণ মানুষ ও শিশুদের বিনোদন ও অবসর সময় কাটানোর জন্য সদর ঠাকুরগাঁও উপজেলা আকচা ইউনিয়নের ঠাকুরগাঁও-রুহিয়া সড়কের পাশে নির্মাণ করা হয় স্বপ্ন জগৎ (চৌধুরী পার্ক) নামে একটি পার্ক। তবে পার্কটি ভ্রমনপিয়াসিদের কাছে কদর পাওয়ার পাশাপাশি অসামাজিক কর্মকাণ্ডের আখড়াতেও পরিণত হয়েছে।

    প্রকাশ্যে প্রেমিক-প্রেমিকার অনৈতিক কর্মকাণ্ড চলে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পার্কে একটি কক্ষে অবৈধ কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকায় হাতেনাতে যুবক-যুবতীসহ পাঁচজনকে আটক করছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ওই পার্ক থেকে যুবক-যুবতী ও তাদের সহযোগিতা করার অভিযোগে আরো তিনজনকে আটক করা হয়।

    আটককৃতরা হলো দিনাজপুর সদর উপজেলার শহিদুল ইসলামের ছেলে সোহান (২৭) । আর বাকি চারজন হলো ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার। এদের মধ্যে ছিলো এক যুবতী। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাকি চারজনের নাম জানা সম্ভব হয়নি। তবে অভিযোগ রয়েছে যুবক-যুবতীদের একান্ত মুহূর্তে কাটানোর জন্য পার্কে একটি নিদিষ্ট কক্ষও রয়েছে।

    জানা যায়, জেলার সাধারণ মানুষ ও শিশু-কিশোরদের বিনোদনের জন্য কয়েক বছর আগে পার্কটি নির্মাণ করেন ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার চৌধুরী। কিন্তু এরই মধ্যে এ পার্কে তরুণ-তরুণী ও প্রেমিক-প্রেমিকার অবৈধ মেলামেশার সুযোগ করে দিতেন তারা। বিষয়টি সবার জানা থাকলেও কেউ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীদের।

    পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বপ্ন জগৎ পার্কে অভিযান চালায় পুলিশের একটি টিম। এ সময় পার্কের ভেতর একটি কক্ষে অবৈধ কার্যক্রমে লিপ্ত থাকা অবস্থায় ওই যুবতী ও সোহান নামে যুবককে হাতেনাতে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাদেরকে সহযোগিতা করার অভিযোগে পার্কে কর্মরতসহ আরো তিনজনকে আটক করে সদর উপজেলায় নিয়ে আসা হয়।

    এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মো: শামসুজ্জামান সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে স্বপ্ন জগৎ পার্কে ছুটে যান। সেখানেও বেশ কিছু ঘটনার আলামত পেলে সকলের উপস্থিতিতে আটককৃত পাঁচজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রত্যেককে দুই মাসের করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন তিনি।

    এলাকাবাসী জানান, পার্কে অসামাজিক কাজসহ অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা দিন দিন বেড়ে চলেছে। পার্কের ভেতরে বেশ কিছু ঘর তৈরি করা হয়েছে তাতে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকে। এসব কাজ বন্ধ না করা হলে ভবিষ্যতে এলাকার নতুন প্রজন্ম তথা যুব সমাজ ধ্বংসের মুখে নিমজ্জিত হবে।

    নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পার্কে বসে থাকে তরুণ-তরুণীরা। কেউ কেউ প্রকাশ্যে অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত। এর মধ্যে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রয়েছে। স্কুল চলাকালীন কিংবা বিকেলে প্রাইভেট পড়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে প্রেমিকার সঙ্গে পার্কে বসে আড্ডা দেয় প্রেমিকরা। অনৈতিক কাজের জন্য পার্কের পুকুর পাড় কিংবা পার্কের ঘর গুলো ব্যবহার করছে তারা।

    নিয়ন্ত্রণহীন অসংযত কার্যকলাপে একদিকে যেমন তরুণ-তরুণীদের নৈতিক অবক্ষয় ঘটছে অন্যদিকে নষ্ট হচ্ছে এলাকার ভাবমূর্তি। ঘটছে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা। তাছাড়া পার্কে ঘুরতে আসা সাধারণ মানুষরা পড়ছেন বিব্রতকর অবস্থায়। লোকলজ্জার ভয়ে তাদের থাকতে হচ্ছে কোনঠাসা হয়ে। শহরতলীর এমন একটি স্থানে পার্কের সামাজিক পরিবেশ রক্ষা প্রশাসনের নজরদারির উপর গুরুত্বারোপ করেছেন স্থানীয়রা।

    জুয়েল নামে এক ব্যক্তি বলেন,  স্বপ্ন জগৎ পার্কের অবস্থা খুবই খারাপ। পার্কে বসে ছাতার ভেতর লুকিয়ে খারাপ কাজ করে প্রেমিক যুগল। সবচেয়ে লজ্জার বিদ্যালয়ের ইউনিফর্ম পরে আপত্তিকর কাজ করে ছাত্র-ছাত্রীরা। কিন্তু এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেউ। আব্দুর জব্বার বলেন, পার্ক যেনো প্রেমখানা। এখানে স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েরা আসে। প্রকাশ্যে চলে বেহায়াপনা, দেখার কেউ নেই। আমাদের মানসম্মান নিয়ে বেঁচে থাকা দায় হয়ে পড়েছে।

    পার্কে বেড়াতে আসা  এক দম্পতি বলেন, একটু অবসর সময় কাটাতে পরিবার নিয়ে পার্কে আসলে বিপাকে পড়তে হয়। যে দিকেই চোখ যায় উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েদের অসামাজিক কার্যকলা দেখতে হয়।

    এ বিষয়ে পার্কের মালিক গোলাম সারোয়ার চৌধুরীর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোনের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন পাওয়া যায়।

    তবে পার্কটিতে এমন ঘটনা এর আগে ঘটলেও জরিমানার মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনা পার্কের মালিক গোলাম সারোয়ার চৌধুরী কিছুই জানেন না দাবি করলে তাকে সর্তক করা হয়। সর্তক না হলে পার্কটি বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মো: শামসুজ্জামান।

  • রোগীদের মাঝে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ-উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।

    রোগীদের মাঝে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ-উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।

    বাগেরহাটের রামপালে বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের মাঝে আর্থিক অনুদানের চেক প্রদান করা হয়েছে।

    উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের যৌথ আয়োজনে ২৫ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ১০.০০ টায় উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এ চেক বিতরণ করা হয়।

    রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিবুল আলম’র সভাপতিত্বে ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ শাহিনুর রহমান’র সঞ্চালনায় বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার (এম.পি) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপকার ভোগীদের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামপাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, রামপাল থানার ওসি মোঃ সামসুদ্দীন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসাঃ হোসনেয়ারা মিলি।

    অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণা রাণী মন্ডল, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউল হাসান, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ গোলজার হোসেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নূরুল আমিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমানসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

    এ সময় মাননীয় উপমন্ত্রী জটিল রোগে আক্রান্ত ১১ জন ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন। এছাড়া তিনি উপজেলার বেশকিছু পরিবারের মধ্যে পানির ট্যাংক ও ছাগল বিতরণ করেন।

  • ট্রলির চাকায় পিষ্ট হয়ে বাবার সামনেই ছেলের মৃত্যু।

    ট্রলির চাকায় পিষ্ট হয়ে বাবার সামনেই ছেলের মৃত্যু।

    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ট্রলির চাকায় পিষ্ট হয়ে বাবার সামনেই প্রাণ গেল ছেলের।বাড়ির কাজের জন্য মাটি আনার সময় ট্রলি থেকে পড়ে গিয়ে ট্রলির চাকায় পিষ্ট হয়ে বাবার সামনেই ছেলে নিহত হয়েছেন। নিহত শিশু রাফি ইসলাম (৩) উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের টাঙ্গাগন্জ বলঞ্চা গ্রামের বকুল ইসলাম ও রেনু আক্তার দম্পতির একমাত্র ছেলে।
    এ ঘটনায় একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে শোকে কাতর বাবা মাসহ গোটা পরিবার।
    রবিবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। ট্রলির চাকার নিচে পড়া রাফি ইসলামকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কাশিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম বকুল।
    নিহতের দাদা দবিরুল ইসলাম বলেন, বাড়ির কাজের জন্য আমাদের নিজস্ব পাওয়ার ট্রলি যোগে মাটি নিয়ে আসার জন্য আমি ও আমার আরেক ছেলে কাজে গেলে রাফি তার বাবার সঙ্গে যায়। পরে ট্রলিভর্তি মাটিসহ ফেরার পথে রাফি পড়ে গেলে ট্রলি তার ওপর দিয়ে চলে যায়। এবং ট্রলির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে প্রাণহারান।
    রাণীশংকৈল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গুলফামুল ইসলাম মন্ডল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যায়। পরিবার ও স্থানীয়দের পক্ষ থেকে কারো কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।