Author: admin

  • রামপালে গাঁজাসহ মাদক বিক্রেতা আটক।

    রামপালে গাঁজাসহ মাদক বিক্রেতা আটক।

    বাগেরহাটের রামপালে থানা পুলিশের  মাদক নিমূল অভিযানে গাঁজাসহ একরামুল  মোড়ল (২০) নামের এক যুবককে আটক করেছে এবং রাজু ইজারাদার (৪০) ও শেখ নাহিদুল ইসলাম প্রিন্স (৪১) নামের দুই মাদক বিক্রেতা পলাতক রয়েছে।
    আটককৃত একরামুল মোড়ল উপজেলার পেড়িখালী ইউনিয়নের সিকিরডাংগা গ্রামের ইব্রাহিম মোড়লের পুত্র।
    ৮ জুলাই শনিবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পায় পেড়িখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মোড় এলাকায় আসামি নাহিদুলের চায়ের দোকানের সামনে গাঁজা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে তিন মাদক ব্যবসায়ী অবস্থান করছে।
    এ খবর পেয়ে সাব-ইন্সফেক্টর মোঃ দেলোয়ার হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনা স্থলে গিয়ে একরামুলকে আটক করে এবং রাজু ও নাহিদুল পালিয়ে যায়।
    এসময় একরামুলের কাছ ১২০ (একশত বিশ) গ্রাম গাঁজা  ও মাদক  বিক্রয়ের কাজে ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।
    এ বিষয়ে রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ এস. এম. আশরাফুল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান,  গাঁজাসহ পেড়িখালী ইউনিয়ন থেকে এক মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে এ ঘটনায় আরও দুই মাদক কারবারি পলাতক রয়েছে৷ আসামিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে এবং একরামুল মোড়লকে বাগেরহাট জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
  • উল্লাপাড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু।

    উল্লাপাড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ট্রেনের চাকায় কাটা পড়ে লিখন আহমেদ (২২) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ঈশ্বরদী-ঢাকা রেল সড়কের উল্লাপাড়া রেল স্টেশনের পশ্চিম পাশে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নিহত লিখন উপজেলার দুর্গানগড় ইউনিয়নের বালসাবাড়ি গ্রামের মৃত সুজাবত আলীর ছেলে।

    জানা যায় নিহত লিখন রেল সড়ক দিয়ে পশ্চিম দিকে যাচ্ছিল এমন সময় ঢাকা থেকে রংপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে দ্রুতগামী রংপুর এক্সপ্রেসটি উল্লাপাড়া স্টেশন অতিক্রম করার সময় লিখন ট্রেনের নিচে পড়ে চাকায় কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায় লিখন মানষিক প্রতিবন্ধী ছিলো।মাঝেমধ্যে স্টেশনে দেখা যেত। ২ টার সময় রেল লাইন দিয়ে পশ্চিম দিকে যাওয়ার সময় রংপুর এক্সপ্রেসে কাটা পরে মারা যায়।

    এ তথ্য নিশ্চিত করে সিরাজগঞ্জ জিআরপি থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ মাজেদ আলী জানান নিহত লিখন রোববার দুপুর ২ টার সময় রেল পথ দিয়ে লাহিড়ী মোহনপুর স্টেশনের দিকে যাওয়ার পথে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে পড়ে মারা যায়। নিহতের লাশ উদ্ধারের পর স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

     

  • কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে সানন্দবাড়ীতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা।

    কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে সানন্দবাড়ীতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা।

    সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ পবিত্র কোরআন শরিফ পুড়ানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সানন্দবাড়ীতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    সানন্দবাড়ী ইমাম ও উলামা পরিষদের উদ্যোগে ৭ জুলাই শুক্রবার বাদ আসর সানন্দবাড়ী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে সানন্দবাড়ী বাজারের বিভিন্ন অলি গলি ও মেইন রাস্তার মোড়ে মোড়ে প্রদক্ষিণ করে। এতে সর্বস্তরের মুসলিম জনতা উপস্থিত হয়ে প্রতিবাদ জানান।
    সমাবেশে তৌহিদী জনতা ও  নেতাকর্মীদের নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার। দুনিয়ার মুসলিম, এক হও এক হও। আল কুরআনের অপমান, সইবে না রে মুসলমান। সালওয়ান মোমিকার ওই হাত, ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও। আল কুরআনের আলো, বিশ্বব্যাপী জ্বালো। আল হাদীসের আলো, বিশ্বব্যাপী জ্বালো ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
    মিছিলে নেতৃত্ব দেন, সানন্দবাড়ী ইমাম ও উলামা পরিষদ সহ চরআমখাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ। এতে অংশ গ্রহণ করেন সর্বস্তরের  মুসলিম জনতা।
    সানন্দবাড়ী ইমাম ও উলামা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহবুব শাহ জিহাদী এর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সানন্দবাড়ী ইমাম ও উলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা আঃ মজিদ, বক্তব্য রাখেন সানন্দবাড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অব: প্রধান শিক্ষক এমএ বারী আকন্দ, চরআমখাওয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াউল ইসলাম জিয়া, চরআমখাওয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম লাভলু, সানন্দবাড়ী ইমাম ও উলামা পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা আঃ মজিদ, মাওলানা আক্তারুজ্জামান, মাওলানা মুনিরজ্জামান প্রমুখ।
    বক্তাগণের বক্তব্যে কোরআন পোড়ানো ও পদদলিত কারীদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু কার্যকরের দাবি করেন।
    প্রসঙ্গত: সুইডেন সরকারের কাছ থেকে দেশটির উগ্র-ডানপন্থি রাজনীতিবিদ রাসমুস পালুদান তুরস্কের দূতাবাসের সামনে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর অনুমতি নেওয়ার পর মুসলমানদের ধর্ম গ্রন্থ আল কোরআন পোড়ানো ও পদদলিত করেন নাস্তিক এ নেতা।
    মাওলানা আব্দুল মজিদ তার বক্তব্যে বলেন, গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, সুইডেনে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় উগ্র ডানপন্থী রাজনৈতিক দল হার্ড লাইনের বিতর্কিত নেতা সালওয়ান মোমিকা পবিত্র কুরআনে অগ্নিসংযোগ ও পদদলিত করেছে। যা শুধু কুরআন নয়; বরং বিশ্বের সকল মুসলমানসহ শান্তিকামী প্রতিটি মানুষের কলিজাকে দগ্ধ করেছে।
  • হরিপুরে গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ন আহবায়ক ফারুক হাসানকে অবাঞ্চিত ঘোষনা।

    হরিপুরে গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ন আহবায়ক ফারুক হাসানকে অবাঞ্চিত ঘোষনা।

    দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাযর্ক্রম ও নানান অভিযোগ তুলে গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ন আহবায়ক ফারুক হাসানকে ঠাকুরগাঁওয়ে অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয়েছে।

    শুক্রবার বিকালে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা গণ অধিকার পরিষদের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মামুনুর রশিদ এ অবাঞ্চিত ঘোষনা করেন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদ ঠাকুরগাঁও জেলা যুগ্ন সদস্য সচিব নুরে আলম রুপম, হরিপুর উপজেলার গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক সুমন সরকার, ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের আহবায়ক জীবন মাহমুদ, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব সবুজ আলী, ইমরানসহ কয়েকজন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

    ফারুক হাসান ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের মালিভিটা গ্রামের বাসিন্দা। তাকে তার নিজ জেলার গণ অধিকার ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দেই অবাঞ্চিত ঘোষনা করেছেন।

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য মামুনুর রশিদ অভিযোগ করে বলেন, ইতোমধ্যে আপনারা অবগত হয়েছেন যে গত বৃহস্পতিবার, ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবে গণঅধিকার পরিষদের ব্যানারে কিছু ভূঁইফোড় ও দলছুট ব্যক্তি একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সেই সংবাদ সম্মেলনে গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বাযক ফারুক হাসান,  গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলেন যা সম্পূর্ণ মিথ্যা অসত্য এবং উদ্যোশে প্রণীত । মামুন রশিদ আরো বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার পরামর্শে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণঅধিকার পরিষদকে ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র হিসাবেই ফারুক হাসানের এই সংবাদ সম্মেলন।

    ফারুক হাসান ইতিমধ্যে দলীয় নাম ভাঙ্গিয়ে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে অর্থ নিয়ে তা আত্নসার্ত করেছেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন নারীকে উক্ত্যক্ত করার অভিযোগ রয়েছে। এ সব কিছু আড়াল করার জন্যই সরকারের এজেন্টের সাথে হাত মিলিয়ে ফারুক হাসান কিছু দলছুট নেতাকে নিয়ে একটি ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলন করে নুরুল হক নুর সহ গণ অধিকার পরিষদকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।

    সংবাদ সম্মেলনে তারা আরো বলেন, ফারুক হাসান গংদের এই ষড়যন্ত্র কোন দিনই সফল হবে না। তাছাড়া ফারুক দলের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করার প্রতিবাদে তাকে ঠাকুরগাঁও জেলায় অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হলো।

    জানতে চাইলে গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ন আহবায়ক ফারুক হাসান মুঠোফোনে বলেন, সংবাদ সম্মেলনটি আমি দেখেছি। সেখানে গণঅধিকার পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন নেতাকর্মি ছিল না। সুতারাং সংবাদ সম্মেলনে কে কি বললো তা আমি গুরুত্ব দিচ্ছি না।

  • শ্রীমঙ্গলে বর্ষা মৌসুমে সাপের উপদ্রুত বেড়েছে-কামড়ালে দ্রুত অ্যান্টিভেনম গ্রহনের পরামর্শ।

    শ্রীমঙ্গলে বর্ষা মৌসুমে সাপের উপদ্রুত বেড়েছে-কামড়ালে দ্রুত অ্যান্টিভেনম গ্রহনের পরামর্শ।

    চলতি বর্ষার মৌসুমে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকা ও বনাঞ্চলে সাপের উপদ্রুত বেড়েছে।
    প্রায়ই পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দারা সাপের কামড়ে আহত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যে শ্রীমঙ্গল ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিষাক্ত সাপের কামড়ের রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
    শুক্রবার ০৭ জুলাই ২০২৩ ইং, দুপুরে শ্রীমঙ্গল ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, শ্রীমঙ্গলে গত দুই দিনে বিষাক্ত সাপের কামড়ে আহত হয়ে ৩জন রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বিকেলে আহত হয়েছেন উপজেলার সাতগাঁও ইউনিয়নের সাতগাঁও গ্রামের মোঃ সালেক মিয়া (৩৭) এবং ভূনবীর ইউনিয়নের ভূনবীর গ্রামের মোঃ কামরুজ্জামান (২৬)।এর আগে গত বুধবার (৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় সাপের কামড়ে আহত হয়েছেন শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের তেলিআব্দা গ্রামের ইলিয়াস মিয়া (৪৬)।
    আরও জানা যায়, পল্লী বিদ্যুতের লাইনম্যান মোঃ কামরুজ্জামান। তিনি লাইনম্যানের কাজের জন্য আলিয়াছড়া পুঞ্জিতে দায়িত্ব পালনকালে বিষাক্ত সাপের কামড়ের শিকার হন। গুরুতর আহত কামরুজ্জামানকে তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে, রোগীকে এন্টিভেনম ইঞ্জেকশন প্রদান করেন, ইমার্জেন্সিতে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সম্রাট কিশোর পোদ্দারসহ চিকিৎসকের একটি টিম।
    শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, বর্ষাকালের অতিবৃষ্টির কারনের পাহাড়ি অধ্যুষিত শ্রীমঙ্গল উপজেলায় সাপের কামড়ের রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দুইদিনে ৩ জন সাপের কামড়ের রোগী জরুরি বিভাগে এসে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে সাপে কাটা কামরুজ্জামান নামের এক রোগীর অবস্থা গুরুতর খারাপ হওয়ায় তাকে চিকিৎসকদের একটি টিম সফলভাবে এন্টিভেনম ইঞ্জিকেশন প্রদান করেন। এন্টিভেনম দেওয়ার পর রোগী ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে আসে। পরবর্তীতে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য এ রোগীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এছাড়া সালেক ও ইলিয়াস মিয়া নামের আরও দুইজন রোগী সাপে কাটা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। সেটা বিষাক্ত সাপের কামড় না হওয়ায় এই দুইজনকে ২৪ ঘন্টা হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে রোগী রাখা হয়, পরে রোগী সুস্থ থাকায় ছাড়পত্র দেওয়া হয় বলে তিনি জানান।
    বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব ও বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে বহু সাপ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি প্রচুর পরিমাণে সাপ শ্রীমঙ্গলের পাহাড়ি এলাকায়, বিশেষ করে শ্রীমঙ্গলের দোকান, বাড়ি, বাজার ও গাড়ি থেকে উদ্ধার হচ্ছে।
    বছর দশেক আগের এক গবেষণায় ৫২ প্রজাতির সরীসৃপের অস্তিত্ব পাওয়ার কথা উল্লেখ করে জানান শ্রীমঙ্গলের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, তিনি বলেন, এসব সাপের মধ্যে লাউয়াছড়া বনে অজগর, কিং কোবরা, দাড়াশ, আইড ক্যাট স্নেক, সবুজ বোড়া, লাউডগা, কালনাগিনী, দুধরাজ, ধোড়া, হিমালয়ান ধোড়াসহ ৩৯ প্রজাতির সাপের সন্ধান পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ‘অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন সাপের সংখ্যা বেড়েছে। বনকর্মীরা টহলে গিয়ে প্রায়ই বিভিন্ন প্রজাতির সাপ দেখতে পায়।
    আরও বলেন, বাংলাদেশে ২৭টি বিষধর সাপসহ ৭৯ প্রজাতির সাপের সন্ধান পাওয়া গেছে। যেগুলোর বেশিভাগের অস্তিত্ব লাউয়াছড়া বনসহ শ্রীমঙ্গলে রয়েছে।
    উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, বিষাক্ত সাপের কামড়ে কেউ আহত হলে তাকে যেনো দ্রুত শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সাপের কামড়ের এন্টিভেনম ইঞ্জেকশন রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। বিষধর সাপ কামড়ালে দ্রুত অ্যান্টিভেনম নেয়ার ব্যাপারে পরামর্শ দেন তিনি।
  • ফেসবুকে মিথ্যা অপবাদের প্রতিবাদে লংগদুতে ইউপি সদস্য’র সংবাদ সম্মেলন।

    ফেসবুকে মিথ্যা অপবাদের প্রতিবাদে লংগদুতে ইউপি সদস্য’র সংবাদ সম্মেলন।

    রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার মাইনীমুখ ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে চাচা এবং ফুফাকে মারধর করেছে বলে ফেসবুকে একে আজাদ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে মিথ্যা অপপ্রচার করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে শুক্রবার (৭ জুলাই) সকাল ১০টার সময় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন ইউপি সদস্য আব্দুল মতিন ও তার পরিবার।
    সোশ্যাল মিডয়াতে মিথ্যা প্রচারের ফলে আব্দুল মতিন মেম্বার ও মতিন মেম্বারের ইউনিয়ন পরিষদের মানহানি হয় বলে  দাবী করেন আব্দুল মতিন।মতিন মেম্বার জানান,  আমার ফুফা মোশারফ আমাদের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি নিজের নামে কাগজ করে সাক্ষর নিতে আমাদের বাড়িতে আসে,পরে যখন আমি কাগজ পড়ে বুঝতে পারি এইসব জালিয়াতি কাগজ তখন তাদেরকে জিজ্ঞেস করি যে আমাদের বর্তমান বসতবাড়ি আপনারা লিখে নিচ্ছেন এই কাগজে আমরা কেন সাক্ষর করবো।
    এ কথা জানতে চাইলে আমার ফুফা মোশারফ তিনি লজ্জিত হয়ে তিনি এখান থেকে স্থান ত্যাগ করে চলে যায়,চলে যাওয়ার পরে বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারি তারা হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং আমাদের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ করে।এছাড়াও এখান থেকে গিয়ে তার ছেলে এবং তারা আমার নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একে আজাদ নামে আইডিতে মিথ্যা বানোয়াট প্রপাকান্ড ছড়ানোর মাধ্যমে আমার এবং আমার পরিবারের সম্মান হানিকর প্রচারনা চালায়। যা আমার মান সম্মানে ব্যাপক আগাত লেগেছে। আমি এহেন কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানোর পাশাপাশি প্রশাসনের নিকট তদন্ত পূর্বক সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানাই।
    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান আগামী রবিবার সমাধার জন্য বসার সময় নির্ধারণ করবে, সেটা হলো জমিজমা নিয়ে মিমাংসার বিষয়। আজ সংবাদিক সম্মেলন হচ্ছে ফেসবুকে আমার এবং আমার পরিবারকে নিয়ে যে যে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছে তার প্রতিবাদ এবং সুষ্ঠু বিচারের দাবীতে।
  • বাড়ি আছে,রাস্তা নেই,চলাচলে দূর্ভোগ রাণীশংকৈলের আশ্রায়ণ বাসিন্দাদের।

    বাড়ি আছে,রাস্তা নেই,চলাচলে দূর্ভোগ রাণীশংকৈলের আশ্রায়ণ বাসিন্দাদের।

    সারিবদ্ধ গোছানো ঘরবাড়ী, বাড়ীর বাইরে বেধে রাখা আছে গরু ছাগল, বাড়ীর আশপাশে রয়েছে হাঁস মুরগী, আশ্রয়নের চারপাশে লাগানো রয়েছে বিভিন্ন সবজি ও ফলের গাছ।  সব ঠিকঠাক রয়েছে শুধু বাধা হয়ে দাড়িয়েছে বাড়ীগুলোতে চলাচলের মুল রাস্তার।

    চলাচলের রাস্তা নিয়ে বেশ সমস্যায় রয়েছে ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ নয়ানপুর গ্রামের মঙ্গল হাজেরা দীঘি এলাকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা।

    সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, মঙ্গল হাজেরা দীঘির পাড়ে দুই সারিতে নির্মাণ করা হয়েছে ১৯টি বাড়ী। বাড়ীগুলোতে রীতিমত বাসিন্দারা বসবাস করছে। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখানকার বাসিন্দারা বেশিরভাগই দিনমজুর শ্রমিক ও ক্ষুঁদ্র ব্যবসায়ী। রুজি রোজগারের জন্য তাদের রিক্সা, ভ্যান নিয়ে প্রতিদিনিই বেড়িয়ে পড়তে হয়। কিন্তু আশ্রয়ণ এলাকা থেকে বের হতে তাদের বেশ বেগ পেতে হয়। প্রকল্পটির বাড়ীর জন্য কোন সংযোগ রাস্তা না থাকায় মানুষের জমির আইল দিয়ে চলাচল করতে হয়। ওই আইল বর্ষা বাদল হলে পানিতে মাঝে মাঝে ডুবে যায়। তখন চলাচলে খুবই সমস্যা হয় । অনেক সময় রিক্সা ভ্যান বের করা যায় না।

    আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা আমজাদ হোসেন বলেন, আশ্রয়ণ ঘর করে দিয়েছে প্রায় ৩ বছর হলো। কিন্তু সরকার এখানে চলাচলের রাস্তা দেয়নি। রাস্তার জন্য ইউএনও,
    এসিল্যান্ড, স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে একাধিকবার গিয়েও তাতে কোন লাভ হচ্ছে না। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, কেউ অসুস্থ হলে তাকে কাধে করে প্রায় ৩০০ ফিট বয়ে নিয়ে তারপর রাস্তার উপরে তুলে গাড়ীতে নিতে হয়।

    মাহাবুবা আকতার বলেন, রাস্তার অভাবে চলাচলে সমস্যা ছেলে, মেয়েরা স্কুল কলেজে যেতে মানুষের জমির উপর দিয়ে যায়। যখন ফসল ফলানো থাকে তখন জমির মালিকেরা চলাচলে বাধা দেয়। বর্তমানে পানির ড্রেনের আইলের উপর দিয়ে তাদের সকলকে অস্থায়ীভাবে চলাচল করতে হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

    ঝাল মুড়ি ব্যবসায়ী ফিরোজ মাহমুদ বলেন, রাস্তা না থাকায় বাড়ীতে ভ্যান আনতে পারি না। ভ্যানে কাচের সব জিনিস পত্র থাকে সামান্য আঘাত পেলেই ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বাজারেই অনিচ্ছা সত্বেও রেখে আসতে হয়।

    আরেক বাসিন্দা করিম উদ্দীন বলেন, একটি মানুষ মারা গেলে তাকে যে কবরস্থানে নিয়ে যাবো সেও রাস্তা নেই। রাস্তার জন্য এতবার উপজেলা প্রশাসনকে বললেও তারা দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

    ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা বলেন, রাস্তা না হলে বসবাস করা কষ্টকর। তাই সরকারের উচ্চ মহলের কাছে দাবী অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন তাদের রাস্তার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।

    জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ীগুলোর মুল রাস্তার জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকেও চেষ্টা করা হচ্ছে। খুব শিশগির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন,এমপি-টিটু।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন,এমপি-টিটু।

    টাঙ্গাইলের নাগরপুর ও দেলদুয়ার উপজেলায় গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো প্রকল্পে মোট ১৩ টি নতুন সড়ক নির্মাণ কাজের অনুমোদন । এতে বিভিন্ন স্কীমে মোট প্রায় ১৩ কোটি ১৫ লক্ষ টাকার উন্নয়ন বরাদ্দ অনুমোদন দিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। উক্ত সড়ক সমূহের উন্নয়নের ফলে দুই উপজেলার যাতায়াত ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন সাধিত হবে।
    গ্রামীণ অবকাঠামো প্রকল্পে উন্নয়ন বরাদ্দ অনুমোদন প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল ৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি বলেন, দুটি উপজেলার মোট ১৩ টি সড়ক উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অতিদ্রুত এইসব সড়কে কাজ শুরু হবে। নাগরপুর-দেলদুয়ার বাসীর পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র প্রতি বিশেষ ধন্যবাদ ও  কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
    উল্লেখ্য, গত ৫ জুন নাগরপুর উপজেলায় ২ টি ও দেলদুয়ার উপজেলায় যথাক্রমে ১৭ মে ৩ টি, ২২ মে ৩ টি এবং ১৫ জুন ৫ টি সহ মোট ১৩ টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। নাগরপুর উপজেলার হারাইপাড়া চৌরাস্তা-বেংরোয়া গ্রাম পাকা সড়ক ভায়া রফিক হাউজ রাস্তা বিসি দ্বারা উন্নয়ন (চেইঃ ০০ – ১০০০ মিঃ), কান্দাপাড়া পশ্চিমপাড়া মন্টুর বাড়ি থেকে পূর্ব পাড়া আঃ রহিমের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা বিসি দ্বারা উন্নয়ন (চেইঃ ০০ – ৬৭০ মিঃ) এবং দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ইউপি অফিস-নাল্লাপাড়া হাট ভায়া আটিয়া মাজার রাস্তা বিসি দ্বারা উন্নয়ন (চেইঃ ৪৮৫০ – ৫৯৫০ মিঃ), বেতরাইল-হিঙ্গানগর আরএন্ডএইচ সড়ক ভায়া চকতৈল হাইস্কুল রাস্তা বিসি দ্বারা উন্নয়ন (চেইঃ ৩৫৬৫ – ৩৯০০ মিঃ), টুকচানপুর-বটতলা সড়ক ভায়া টুকচানপুর প্রাঃ বিদ্যালয় রাস্তা বিসি দ্বারা উন্নয়ন (চেই ০০ – ৪৫৪ মিঃ), নয়ারচর বাজার-মমিননগর রাস্তা বিসি দ্বারা উন্নয়ন (চেই: ২২৫০ – ৩৫০০ মি:), বাথুলী বাজার-আরমৈষ্টা ফেরিঘাট ভায়া কোল্ড স্টোরেজ রাস্তা বিসি দ্বারা উন্নয়ন (চেই: ৫০০ – ১৫০৪ মি:), দেউলি ইউপি অফিস- (সিলিমপুর ব্রীজ)-বেংরাইল বাজার রাস্তা বিসি দ্বারা উন্নয়ন (চেই: ২০০০ – ৩০০০ মি:), নাল্লাপাড়া হাট-হিঙ্গা রাস্তা বিসি দ্বারা উন্নয়ন (চেই: ০০ – ১০১৪ মি:), পাথরাইল চন্ডি-বিরপুশিয়া ভায়া উইন্ডিং ফ্যাক্টরি রাস্তা বিসি দ্বারা উন্নয়ন (চেই: ৫০০ – ১৫০০ মি:), ঝুনকাই হাট-দেউলী ইউপি অফিস ভায়া ব্রাহ্মনখোলা প্রা: বিদ্যালয় এর রাস্তা বিসি দ্বারা উন্নয়ন (চেই:  ১২৭০ – ২২৭৪ মি:), এলাচিপুর-বাথুলী হাট ভায়া ধানকী (আরিমইস্তা ব্রীজের শেষ পর্যন্ত) রাস্তা বিসি দ্বারা উন্নয়ন (চেই: ৫০০ – ১৫০০ মি:), হিঙ্গানগর- আরএন্ডএইচ-চরপাড়া ফেরিঘাট রাস্তা বিসি দ্বারা উন্নয়ন (চেই: ০০ – ১০০০ মি:) কাজ বাস্তবায়ন হবে।
    উন্নয়ন চলছে চলবে, এটা একটি চলমান প্রক্রিয়া  উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে এমপি- টিটু।
  • বাঘার যুবক পাবনার ঈশ্বরদীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত।

    বাঘার যুবক পাবনার ঈশ্বরদীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত।

    রাজশাহীর বাঘার যুবক জামরুল ইসলাম জামু (৪০) পাবনা জেলার ঈশ্বরদী রুপপুরে মোটর সাইকেলের ধাক্কায় নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সকাল ১০টার সময় ঈশ্বরদীর রুপপুর বাজার এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
    জানা যায়, রাজশাহীর  বাঘা পৌরসভার উত্তর মিলিকবাঘা গ্রামের খোরশেদ আলী প্রামানিকের ছেলে জামরুল ইসলাম জামু পরিবার নিয়ে ঈশ্বরদী রুপপুরে থাকেন। সে রুপপুরে ফুটপাতে বসে ঝালমুড়ি বিক্রি করতেন। দোকানের  মালপত্র ক্রয়ের জন্য বৃহস্পতিবার রুপপুরে বাজার করতে যাচ্ছিলেন। রুপপুর বাজার এলাকার হাইওয়ে সড়কে পৌঁছালে পেছন দিক থেকে তাকে একটি মোটরসাইকেল দ্রুত গতিতে ধাক্কায় দেয়। মোটর সাইকেলের ধাক্কায় রাস্তায় ছিঁটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় তাকে ঈশ্বরদী হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার অবস্থা বেগতিক দেখে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নেওয়ার পথে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা এলাকায় তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জামরুল ইসলাম জামুর চাচাত ভাই বাদশা আলম।
    এ বিষয়ে জামরুল ইসলাম জামুর ছেলে আসিফ আহমেদ বলেন, বাবার দোকানের মালামাল কেনার জন্য বাজারে যাওয়া পথে মোটর সাইকেলের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে। বাবার মরদেহ বাড়িতে এনে বাঘা কেন্দ্রীয় কবরস্থানে আছর নামাজ পর দাফন করা হয়।
    ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক(ওসি) অরবিন্দ সরকার ও ঈশ্বরদী হাওয়ের থানার পরিদর্শক( ওসি) আশিষ কুমার স্যানলাল এ বিষয়টি জানা নেই বলে জানান।
  • ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে কমলগঞ্জ পৌর শহরের প্রায় ২’শ পরিবার ধলাই নদীর পানিতে বন্দী।

    ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে কমলগঞ্জ পৌর শহরের প্রায় ২’শ পরিবার ধলাই নদীর পানিতে বন্দী।

    ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ধলাই নদের পানি বেড়ে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার নিন্মাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে ও পৌর এলাকার তিনটি ওয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে।
    এতে পৌর এলাকার প্রায় দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর থেকে নালা দিয়ে পৌর এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করে।
    স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পৌর এলাকার পানি নিষ্কাশনের একটি নালা ধলাই নদে গিয়ে মিশেছে। কিন্তু নদের সঙ্গে যুক্ত নালার মুখে এখনো জলকপাট (স্লুইসগেট) নির্মাণ করা হয়নি। এর ফলে নদে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই নালা দিয়ে পৌর এলাকায় পানি ঢুকেছে।
    পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), পৌরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উজানে ভারতের অংশে বৃষ্টি হওয়ায় ধলাই নদে পানি বেড়েছে। নদের পুরোনো সেতুসংলগ্ন এলাকার পানি নিষ্কাশনের নালা দিয়ে পৌর এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে।
    এতে পৌরসভার ২, ৫ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চণ্ডীপুর, পানিশালা, কমলগঞ্জ ও শ্রীনাথপুরের আংশিক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এই এলাকার সড়ক, কমলগঞ্জ থানা, ডাকঘর, কমলগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয় ও আশপাশের বাড়িঘরের এলাকায় পানি ঢুকেছে। এতে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ৩০ থেকে ৪০টি ঘরে পানি ঢুকেছে। এসব পরিবারের লোকজন অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
    স্থানীয় পানিশালা এলাকার বাসিন্দা মোঃ ফারুক আহমেদ গতকাল রাত্রে বলেন, আমার পশ্চিমের ঘরে হাঁটুপানি, পূর্বের ঘরে গোড়ালি পর্যন্ত পানি ঢুকেছে। পরিবারের শিশুসহ অন্যদের নিরাপদ স্থানে পাঠিয়ে দিয়েছি। নালার কাজ শেষ না হওয়ায় এই পানি ঢুকেছে।
    গতকাল বিকেলের সময় পাউবো, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি মিলে নালার মুখে মাটির বস্তা ফেলে প্লাবিত এলাকায় পানি প্রবেশ বন্ধ করেছেন। এতে পানি ঢোকা বন্ধ আছে। কিছু পানি কমেছেও। কিন্তু পানি বের হওয়ার বিকল্প পথ না থাকায় পানি দ্রুত বের হতে পারছে না।  পানি নিষ্কাশনের নালাটি নির্মাণ করছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
    অধিদপ্তরের কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সুজন আহমেদ বলেন, হালকা কিছু পানি ঢুকেছে। আমাদের কাজ চলমান। দুটি ড্রেনের আউটলেটে স্লুইসগেট ধরা আছে। স্লুইসগেট করা হবে।
    ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর পাউবো মৌলভীবাজার কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জাবেদ ইকবাল বলেন, ড্রেন নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে মুখ বন্ধ করা উচিত ছিল। ড্রেনের মুখে বস্তা ফেলার পর পানি কমছে। কিন্তু উজানে ভারতে বৃষ্টি হয়েছে, বৃষ্টি হচ্ছে। উজান থেকে সে পানি নামছে। এতে নদে আরও পানি বাড়তে পারে। বৃষ্টি হলেই নদে পানি বাড়বে। নদে পানি বাড়লেই নালা দিয়ে পানি ঢুকবে। দ্রুত নালার মুখ বন্ধ করতে হবে।
    কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোঃ জুয়েল আহমদ বলেন, অতিবৃষ্টিতে এমনিতেই জলাবদ্ধতা আছে। ড্রেনের আউটলেটে স্লুইসগেট দেওয়ার কথা। তিনি প্রায় দুই মাস আগে তিনটা চিঠি দিয়েছেন দ্রুত বাস্তবায়ন করার জন্য। স্লুইসগেট নির্মাণ না করায় পানি ঢুকেছে। মেয়র আরও বলেন, ড্রেনের মুখে বস্তা ফেলার পর পানি প্রায় আড়াই ফুটের মতো কমেছে। আমি মাঠেই আছি। ড্রেনের মুখে ধলাই নদের পানি একটু নিচে নামলেই বস্তা তুলে দেব।