Author: admin

  • এলাকার অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে চাইলে নৌকার বিকল্প নাই:সুজন।

    এলাকার অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে চাইলে নৌকার বিকল্প নাই:সুজন।

    ঠাকুরগাঁও-২ আসনের অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজগুলো সমাপ্ত করতে চাইলে নৌকা মার্কার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম সুজন।
    সোমবার রাতে উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের তেগাছিয়া গ্রামে উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যের তিনি এমন্তব্য করেন।
    তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে বাড়ী থেকে বের হবেন রাস্তাটা পাকা পাবেন। শতভাগ বিদ্যুৎ হয়েছে, লোড শেডিং মুক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ হবে। বয়স্ক ভাতা, নারী পরিত্যাক্তা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা সবকিছু চলমান থাকবে। কিন্তু যদি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় না আনতে পারেন, তাহলে সবকিছু বন্ধ হয়ে যাবে। আগের মত অবস্থায় ফিরে যেতে সাধারণ মানুষকে। এজন্য উন্নয়নের ধারা অব্যাহটএ,ত রাখতে নৌকার বিকল্প নাই, আওয়ামী লীগ সরকারের বিকল্প নাই।
    রএর
    নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে সকলকে শেখ হাসিনার সৈনিক হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে সুজন আরও বলেন, ভোট এলেই কিছু মানুষ এলাকায় আসবে, আপনাদের নানান ধরনের আশ্বাস দিবে। ভোট গেলেই এদের ৫ বছর খুজে পাবেন না। তাই বসন্তের কৌকিলদের থেকে সাবধান থাকতে। মনে রাখবেন, আমরা আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি এবং আগামীতে সুখে-দুখে আপনাদের পাশে থাকবো।
    উঠান বৈঠকে ধনতলা ইউপি চেয়ারম্যান সমর চ্যাটার্জী নুপুর, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মমিনুল ইসলাম ভাসানী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার বাবু, ধনতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অমিকান্ত সাহা প্রমুখ এতে বক্তব্য দেন।
    উঠান বৈঠক শেষে এমপি দবিরুল ইসলামের বিশেষ বরাদ্দ থেকে ধনতলা ইউনিয়নের বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ৫ লক্ষ টাকা অনুদান বিতরণ করেন মাজহারুল ইসলাম সুজন।
  • উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারকে পূনরায় এমপি মনোনয়ন  দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন 

    উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারকে পূনরায় এমপি মনোনয়ন  দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন 

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) আসনে বর্তমান সাংসদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ,  বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহারকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও নৌকা প্রতীক মনোনয়ন দেয়ার দাবিতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিকাল ৪.০০ টায় রামপাল  উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে হুড়কা ইউনিয়নের জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
    উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপিকা ছায়েরা খাতুনের সভাপতিত্বে এবং  সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসাঃ হোসনেয়ারা মিলির সঞ্চালনায় এ মানববন্ধনে উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের দেড় হাজারের অধিক মহিলা আওয়ামী লীগের কর্মীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
    এসময় উপস্থিত হাজারো কর্মীরা আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারকে পূনরায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন  দেওয়ার দাবি জানান। তারা আরও বলেন যে, রামপাল-মোংলায় উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার শান্তি,  স্থিতি ও একতার প্রতীক। কেসিসি’র মাননীয় মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও এমপি হাবিবুন নাহার প্রায় ৩০ বছর এ জনপদের মানুষের সাথে মিশে থেকে এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক তৈরি করেছে। তারা সততা ও আদর্শের সাথে রামপাল-মোংলার সকল শ্রেণির মানুষের ভালো-মন্দের সাথে মিশে আছেন। উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারকে পূনরায় মনোনয়ন দিলে এ জনপদের মানুষ শান্তিতে থাকবে বলে উপস্থিত মহিলা আওয়ামী লীগের হাজারও নেতা কর্মী মনে করেন।  তারা আরও বলেন যে, উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারকে এ আসনে মনোনয়ন দিলে তিনি বিপুল ভোট জয়ী হবেন। তাই নেতা কর্মীরা আবারও হাবিবুন নাহারকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ জানান।
    মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোল্লা আঃ রউফ, রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ (অবঃ) মোতাহার রহমান,  উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামিল হাসান জামু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নূরুল হক লিপন, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল্লাহ ফকির, তপন কুমার গোলদার।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান মোসাঃ সুলতানা পারভীন (ময়না),  সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আক্তারুজ্জামান, গাজী গিয়াস উদ্দিন, শেখ নূরুল আমিন, মোঃ বজলুর রহমান, জেলা পরিষদ সদস্য শেখ মনির আহমেদ প্রিন্স, উজলকুড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলি ভুট্টো,  হুড়কা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিচিত্র বীর্য পাড়ে,  উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমানসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
  • মাধবপুরে বজ্রপাতে নিহতদের পরিবারকে ইউএনও’র আর্থিক চেক বিতরণ।

    মাধবপুরে বজ্রপাতে নিহতদের পরিবারকে ইউএনও’র আর্থিক চেক বিতরণ।

    নাহিদ মিয়া,মাধবপুর প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের মাধবপুরে বজ্রপাতে নিহতদের পরিবারের নিকট মানবিক সহয়তার চেক হস্তান্তর করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর আহ্সান।
    সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১২ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় কক্ষে এ মানবিক সহয়তার চেক হস্তান্তর করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাত বিন কুতুব সহ কার্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা বৃন্দ।
    রোগী দেখে বাdড়ি ফেরার পথে শিশুসহ একই পরিবারের ২ জন বজ্রপাতে নিহতদের পরিবারের সদস্য সোহেল মিয়া ও রুবেল খানের হাতে ২০ হাজার টাকার দুটি চেক হস্তান্তর করা হয়।
    উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার ছাতিয়াইন ইউনিয়নের শিমুলঘর গ্রামের ছেনু মিয়ার অসুস্থ ছেলে ধনুু মিয়াকে আত্মীয়তার সূত্রে দেখতে গিয়েছিলেন ছাতিয়াইন গ্রামের রহমত আলীর স্ত্রী শারমিন আক্তার (২২), রুবেল মিয়ার মেয়ে সাদিয়া আক্তার (১২) ও সােহেল মিয়ার স্ত্রী শান্তা আক্তার। দুপুরের খাবারের পর বিশ্রাম শেষে ছাতিয়াইনে ফেরা জন্য ছেনু মিয়ার বাড়ি থেকে বের হয়ে কিছুদূর যাওয়ার পর বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।ঘটনাস্থলেই সাদিয়া ও শান্তার মৃত্যু হয়।
    এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর আহ্সান জানান, ভবিষ্যতে সরকারি নিয়ম মোতাবেক মানবিক সহয়তা প্রদান অব্যাহত থাকবে।
  • আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী নবীরুজ্জামান বাবু’র সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়।

    আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী নবীরুজ্জামান বাবু’র সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক উপ-সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা এ্যাডভোকেট শেখ নবীরুজ্জামান বাবু সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা করেছেন।

    সোমবার (১৬ অক্টোবর)  বিকাল সাড়ে ৫ টায় উপজেলা অডিটোরিয়ামে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    মতবিনিময় সভায় তিনি জানান যে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-৩(রামপাল-মোংলা) আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে তিনি নির্বাচন করতে চান। তিনি বলেন যে, ছোটবেলা থেকেই আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এছাড়া তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ,  কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক উপ-সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আরও বলেন যে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী  জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে স্মার্ট নেতৃত্ব দরকার।
    এ বিবেচনায় তিনি নিজেকে স্মার্ট নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্য বলে তিনি মনে করেন। দল তাকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-৩ আসন থেকে মনোনয়ন দিলে তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার আলোকে স্মার্ট রামপাল-মোংলা গড়ে তুলতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সাংবাদিকদের আরও জানান যে,  তিনি এর পূর্বেও দুই বার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফর্ম কিনেছিলেন। এবারও তিনি এমপি প্রার্থী হিসেবে  মনোনয়ন ফর্ম কিনবেন। তিনি আরও বলেন যে, তিনি যদি এবার দলীয় মনোনয়ন না পা,  তবে দল যাকে মনোনয়ন দিতে তিনি তার পক্ষে কাজ করবেন।
    মতবিনিময় সভায় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ,  উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রবিউল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সরদার বোরহান উদ্দিন,  সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ চয়ন মন্ডল,  জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মেহেদী হাসান রাজু,  সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আবু বকার সিদ্দিকসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা।
  • রাণীশংকৈলে ফিল্মি স্টাইলে চোর ধরলেন পুলিশ।

    রাণীশংকৈলে ফিল্মি স্টাইলে চোর ধরলেন পুলিশ।

    প্রাণপনে দৌড়াচ্ছিলেন দুই যুবক। দেখে মনে হচ্ছিল প্রথম ব্যক্তিকে ধাওয়া করছে দ্বিতীয়জন। বিষয়টি চোখে পড়ায় ব্যস্ত রাস্তায়, অলিগলির মধ্যে একদম ফিল্মি স্টাইলে ওই দুই ব্যক্তির পিছু নেয় রাণীশংকৈল সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল হক। ধরে ফেলে তাদের। এরপর জানা যায় আসল ঘটনা।

    গত শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে তিন টায় পৌরশহরের শান্তিপুর এলাকায় একটি দোকানের টিন কেটে চুরি করার সময় পাশের দোকানের মালিক টের পায়।

    হঠাৎ সেসময়  রাণীশংকৈল সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল হকের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে চোরেরা দৌড়ে পালিয়ে যেতে থাকে।

    সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল ইসলাম তাদের প্রায় দুই কিলোমিটার ধাওয়া করে ঘুঘুডারা নামক স্থান থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

    আটককৃত চোরেরা হলেন উপজেলার বাঁশনাহার গ্রামের শাহ আলমের ছেলে এবং সাইরুল নেকমরদ ভকরগাঁও গ্রামের সাহাজাতের ছেলে।

    রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল ইসলাম মন্ডল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটক আসামিদের থানাহাজতে রেখে একদিন জিজ্ঞাবাদের পর সোমবার ঠাকুরগাঁও আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পৌর শহরের আবাদ তাকিয়া মাদ্রাসা মৌড়ে দুটি দোকানে চুরিসহ ঘটনার দিন রাতে হরিপুর উপজেলার ঠাকিঠুকি মৌড় এলাকায় একটি স্বর্ণের দোকানে থেকে কিছু রুপা, টাকা ও সোনা ভেবে এমিটেসনের অলংকার চুরি ও আগের কয়েকটি চুরি বিষয়ে স্বীকার করেন তারা।

    রাণীশংকৈল সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল হক  বলেন , শনিবার রাতে আটক দুজনেই সক্রিয় চোর। চুরির ঘটনায় দুই চোরের বিরুদ্ধে প্যানেল কোর্টের ৪১১ ধারায় মামলা করা হয়েছে।

  • সিরাজগঞ্জের চান্দাইকোনায় মেয়ের ছুরিকাঘাতে মায়ের মৃত্যু-মেয়ে গ্রেপ্তার।

    সিরাজগঞ্জের চান্দাইকোনায় মেয়ের ছুরিকাঘাতে মায়ের মৃত্যু-মেয়ে গ্রেপ্তার।

    আজিজুর রহমান মুন্না, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

    সিরাজগঞ্জজেলার রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনায়  মেয়ের ছুরি আঘাতে মায়ের মৃত্যু ঘটেছে ।সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরের দিকে  উপজেলার চান্দাইকোনা বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে শেরপুর হতে ঢাকার উদ্দেশ্যে এস.আর বাসে উঠে মা ঝুমা কর্মকার ও মেয়ে সিঁথি কর্মকার রওনা দেন। পরে বাস থেকে হঠাৎ করে চান্দাইকোনা বাসস্ট্যান্ডে নেমে যায় সিঁথি। কেন নেমে যায় এ কথা জিজ্ঞেসা করতেই সিঁথি ব্যাগ থেকে ধরালো চাকু বের করে মা ঝুমা কর্মকারের বুকের বাম পাশে আঘাত করে। পরে ঝুমার কর্মকার মাটিতে লুটিয়ে পরে। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাকে রক্তাক্ত আহতবস্থায় উদ্ধার করে রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

    নিহত ঝুমা কর্মকার বগুড়া জেলার শেরপুর থানার শাহাপাড়া গ্রামের শিবদাস কর্মকারের স্ত্রী। মেয়ে সিঁথি কর্মকার ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করত।

    এ বিষয়ে রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মাদ সিদ্দিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ঘাতক মেয়ে সিঁথিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহতে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো  করা হয়েছে।

  • মাধবপুরে জিপিএ- ৫ প্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান।

    মাধবপুরে জিপিএ- ৫ প্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান।

    নাহিদ মিয়া,মাধবপুর প্রতিনিধি।
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে সৈয়দ মোশাররফ হোসেন ফাউন্ডেশনের কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন বিদ্যায়তনের ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ -৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের বার্ষিক মেধা বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।
    এ উপলক্ষে সোমবার (১৬ অক্টোবর) উপজেলার মনতলায় অপরূপা বালিকা উচ্চ বিদ্যায়তন হলরুমে এক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অপরূপা বালিকা উচ্চ বিদ্যায়তনে প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান বাহারের সভাপতিত্বে এ অনুষ্টানে প্রধান অতিথি ছিলেন বহরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আলাউদ্দিন।বিশেষ অতিথি ছিলেন চৌমুহনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবু্ুবুর রহমান সোহাগ,সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ, হরিশ্চন্দ্র দেব,আলী আমজাদ শাহীন, সৈয়দ শাহনেওয়াজ, সাংবাদিক জালাল উদ্দিন লস্কর প্রমুখ।
    এ সময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্টানে বিগত এসএসসি পরীক্ষায় বহরা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ৭ জন জিপিএ ফাইভ পাওয়া মেধাবী শিক্ষার্থীকে এককালীন বৃত্তি প্রদান করা হয়।
  • প্রকৃতির বুক থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ঢোলকলমি লতার গাছ।

    প্রকৃতির বুক থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ঢোলকলমি লতার গাছ।

    নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
    হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঢোল কলমি, বেড়ালতা বা বেড়াগাছ নামেও পরিচিত। দেশের সব এলাকার রাস্তার ধারে, বাড়ির পাশে, মাঠে-ঘাটে, জলাশয়ের ধারে, খাল-বিলের ধারে সর্বত্রই চোখে পড়ে। গ্রামে অবহেলায় বেড়ে ওঠা আগাছা হিসেবে পরিচিত বেড়ালতা বা ঢোল কলমি।
    ঢোল কলমি গুল্ম প্রজাতির উদ্ভিদ। এর কান্ড দিয়ে কাগজ তৈরি করা যায়। সবুজ পাতার গাছটি ছয় থেকে দশ ইঞ্চি লম্বা হয়ে থাকে।
    অযত্নে অবহেলায় জন্ম নেয়া ঢোলকলমি গাছের ফুল যেকোন বয়েসি মানুষের নজর কাড়বে। পাঁচটি হালকা বেগুনি পাপড়ির ফুল দেখতে বেশ আকর্ষণীয়। সারা বছরই ঢোল কলমির ফুল ফোটে। তবে বর্ষার শেষে শরৎ থেকে শীতে ঢোলকলমি ফুল বেশি দেখা যায়। একটি মঞ্জরিতে চার থেকে আটটি ফুল থাকে। ফুলে মধুর জন্য কালো ভোমরা আসে।
    এ গাছ অল্পদিনের মধ্যেই ঘন ঝাড়ে পরিণত হয়। এ গাছ জমির ক্ষয়রোধ করে ও সুন্দর ফুল দেয়। দেশের গ্রামাঞ্চলে এই গাছ জমির বেড়া হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অনেকে আবার জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করে। নদীর তীরে কিংবা বিশাল ফসলের মাঠে ঢোল কলমি জন্মে পাখির বসার জায়গা করে দেয়। এ গাছে বসে পাখি পোকামাকড় খায়। ফুলের মধু সংগ্রহ করতে কালো ভোমরার আনাগোনা দেখা যায়। গ্রামের শিশুরা ঢোলকলমির ফুল দিয়ে খেলা করে।
    এক সময় মাধবপুরে বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলে অধিকংশ পরিবার ফসলের ক্ষেত, পুকুর ও বসতবাড়ির চারপাশে বেড়ার প্রধান উপকরণ হিসেবে এই ঢোল কলমি ব্যবহার করছে। কেউ কেউ কলমি গাছের সাথে নেট ও বাঁশের চটা ব্যবহার করে বেড়াকে শক্তিশালী করছে। অনেকেই অতিরিক্ত অংশ রান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে। ঢোল কলমির বীজ ও পাতায় বিষাক্ত উপাদান থাকে। এবং তেতো স্বাদের সাদা কষ থাকায় এর পাতা গরু ছাগল খায় না। তাই বেড়া হিসেবে এটা ব্যবহারের চাহিদা বেশি। ঢোল কলমি খরা ও বন্যায় সহনীয় বলে প্রতিকুল পরিবেশেও টিকে থাকতে পারে। সহজেই মারা যায় না, খাল বিল ডোবা এবং খোলামেলা পরিবেশে বংশবৃদ্ধি করে। কীটপতঙ্গভুক পাখি ঢোলকলমির ডালে বসে পোকা ধরে খায়। গত ৮৯ থেকে ৯০ দশকে পোকার ভয়ে এ গাছ ধ্বংস করার একটা হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। দেশজুড়ে ভয়ংকর আতঙ্ক ছড়িয়েছিল ঢোলকলমি গাছে থাকা একধরনের পোকা। গুজব রটে যায়, এই পোকা এতটাই ভয়ংকর যে, কামড় দিলে মৃত্যু অবধারিত, এমন কি স্পর্শ লাগলেও জীবন বিপন্ন হতে পারে।
    এইসব খবর রেডিও, টিভি, পত্রিকায় মহামারীর মৃত্যুর খবরের মত কবে কজন মরল কজন হাসপাতালে গেল সেরকম ভাবে প্রচারিত হয়েছিল মাসজুড়ে। সারাদেশে সাধারণ মানুষ গণহারে, এমন কি স্থানীয় প্রশাসনও ঢোলকলমি গাছ কেটে সাবার করেছিল। এই বিদঘুটে নামের পোকাটি যে ত্রাস সৃষ্টি করেছিলো আমাদের এই দেশে, তার জুড়ি মেলা ভার! শুধু গ্রামে না, ঢোল কলমি পোকার আতঙ্ক ছড়িয়ে গেছিলো খোদ ঢাকা শহরেও। এটা না কি খুব বিষাক্ত এক পোকা, যার সংস্পর্শে আসলেই নির্ঘাৎ মৃত্যু। আতঙ্ক এই পর্যায়ে পৌঁছেছিলো, যে ছোট বড় সবাই তটস্ত থাকতো কখন যেনো কি হয়। আতংক যখন চরম পর্যায়ে তখন টিভিতে একজন বিশেষজ্ঞ পোকাটি ধরে এনে নিজের হাতের উপর ছেড়ে দিয়ে হাটিয়ে, তারপর হাত দিয়ে পিষে মেরে দেখিয়ে প্রমাণ করেছিলেন যে এটি আসলে খুবই নিরীহ একটি কীট, মোটেও প্রাণ সংহারী নয়। এরপর থেকেই আতঙ্ক কেটে যায়।
    ঢোলকলমি আতঙ্ক, গুজব এবং মিডিয়ার ভূমিকা এখন শিক্ষার বিষয়। এই ঢোল কলমি অথচ নদীতীর, খালপাড়ের মাটিকে শক্ত করে ধরে রাখা, ভূমিক্ষয় রোধ, ভাঙনরোধে ঢোলকলমি গাছের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। ঢোলকলমি ফুল সারা বছরই ফোটে। তবে বর্ষার শেষ ভাগ থেকে শরৎ-শীতে প্রস্ফুটনের জোয়ার থাকে বেশি। একটি মঞ্জরিতে ৪ থেকে ৮টি ফুল থাকে। ফানেলাকার আকৃতির ফুল। পাঁচটি হালকা বেগুনি বা হালকা গোলাপি পাপড়ি। ফুলে মধুর জন্য কালো ভোমরা আসে।
    মাধবপুর উপজেলার আলাকপুর গ্রামের গৃহস্থ মোঃ চমক মিয়া বলেন, এটা খুবই উপকারী গাছ। এই ঢোল কলমির সবচেয়ে বড় সুবিধা হল গরু ছাগলে না খাওয়ায় এটা বেড়া হিসেবে ব্যবহার করা যায়। নদীতীর ভাঙন রক্ষা করে। অনেক সময় রান্নার কাজেও ব্যবহার করা হয়।
    বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে প্রাকৃতিক বেড়া হিসেবে পরিচিত এই ঢোল কলমির। প্রাণ ও প্রকৃতি সুরক্ষায় মূল্যবান উদ্ভিদকে সংরক্ষণের ও সম্প্রসারণের জন্য সকলের উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।
  • মন্দির নিয়ে মন্তব্য করা ইউএনওর বিরুদ্ধে ডিসির কাছে অভিযোগ।

    মন্দির নিয়ে মন্তব্য করা ইউএনওর বিরুদ্ধে ডিসির কাছে অভিযোগ।

    আনোয়ার হোসেন,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি
    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহরিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নের ভদ্রেশরী মালিপাড়া দুর্গামন্দির কমিটি। গতকাল রোববার মন্দির কমিটির সভাপতি দীনেশ মালাকার ও সম্পাদক নিরেন চন্দ্র শীল এই অভিযোগ করেন।
    অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার সন্ধ্যায় রাণীশংকৈলের ইউএনও শাহরিয়ার পুলিশসহ ভদ্রেশরী মন্দিরে যান। সেখানে গিয়ে মন্দির কমিটির লোকজনকে বলেন সাবেক কমিটির সভাপতি পবন শীলকে কেন ডাকা হয়নি। জবাবে মন্দির কমিটির সভাপতি-সম্পাদক বলেন, পবন মন্দিরের দায়িত্ব পালনকালে মন্দিরের চার শতক জমি নিজের নামে বন্দোবস্ত করে নিয়েছেন। মন্দিরের জমিতে কলাগাছ লাগিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করেছেন, প্রতিমা ভাঙচুর করেছেন। এ ছাড়া তিনি বর্তমান পূজা কমিটির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন। জেল খাটিয়েছেন। তাই তাঁকে ডাকা হয়নি। এসব কথা শোনার পর ইউএনও হুমকি দিয়ে বলেন, ‘তোমরা অন্যের জমিতে অবৈধ পূজা করো, জোড়-বিজোড় কমিটি গঠন করেছো। এখানে যদি হট্টগোল হয়, তাহলে কমিটির অস্তিত্ব রাখব না।’
    লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, উপজেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তার এই ধরনের হুমকিতে পূজা উদ্‌যাপন নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে ভুগছে কমিটি।
    এদিকে গতকাল রোববার ভদ্রেশরী মালিপাড়া মন্দিরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভদ্রেশরী মন্দিরের সামনের একটি কাঠের চৌকিতে প্রতিমা নির্মাণ কারিগর পরেশ মালাকার বসে রয়েছেন। এ প্রতিবেদককে দেখে তিনিসহ স্থানীয়রা মন্দিরের সামনে এগিয়ে আসেন। মন্দিরের কাজ কতদুর এমন প্রশ্নে কারিগর পরেশ মালাকারসহ কয়েকজন নারী বলে উঠেন, ইউএনও তাদের পূজাকে অবৈধ পূজা বলায় তারা পূজার কাযর্ক্রম বন্ধ করে রেখেছেন।
    এসময় পূজা কমিটির ১৭ বছরের সাবেক সম্পাদক চৈতু বণিক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পূজা পালন করছি। শুনছি গতকাল ইউএনও এখানে এসে এই মন্দিরের পূজাকে অবৈধ পূজা বলেছে, যা দু:খজনক। গীতা রাণী, মহারাণী ও সমিতা রাণীসহ অন্তত দশজন নারী বলেন, দীর্ঘ দিনের পূজা মন্ডবকে অবৈধ বললেন ইউএনও। অবৈধ পূজা যখন, ইউএনও বৈধ ঘোষনা করবে তখন আমরা পূজা পালন করবো। তারা আরো বলেন, ইউএনও’র কারণে এবার বুঝি আমাদের পূজা পালন করা হবে না।
    পূজা কমিটির সভাপতি দীনেশ মালাকার বলেন, ‘ইউএনও হুমকি দেওয়ায় আমরা প্রতিমা তৈরির কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। পূজা পালন হবে কি না, তা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। পূজা পালন না হলে এর দায় ইউএনওকে নিতে হবে।’
    ধর্মগড় ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি চন্দন অধিকারী বলেন, এই মন্দিরের জমিকে কেন্দ্র করে একটি মামলা চলমান রয়েছে। সেই মামলাকে কেন্দ্র করে ইউএনও এই মন্দিরে এসে বলেছেন এটি অবৈধ মন্দির। দীর্ঘ দুই যুগের অধিক বয়সের মন্দিরকে ইউএনও অবৈধ মন্দির বলায় আপাতত পূজার প্রস্তুতি কাযর্ক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এটির সঠিক সুরাহা না হলে আন্দোলনে যাওয়া হবে বলে তিনি হুশিয়ারী দেন।
    ভদ্রেশরী মালিপাড়া দূর্গা মন্দিরের সাবেক সভাপতি পবন শীলের বক্তব্য নিতে তার বাড়ীতে গেলে তিনি বাড়ীতে ছিলেন না। পরিবারের অন্য সদসর‌্যা এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
    রাণীশংকৈল উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাধন বসাক বলেন, ইউএনও মন্দিরকে অবৈধ বলতে পারে না।ওই মন্দির নিয়ে যদি কোন সমস্যা দেখা দেয়। তাহলে ইউএনও আমাদের বলবে, আমরা উপজেলা কমিটি বিষয়টি দেখবো।
    এবিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও শাহরিয়ার রহমান বলেন, ‘মন্দিরের জমিটি খাস হলেও বন্দোবস্তের কারণে আপাতত ব্যক্তি মালিকানায় রয়েছে। জমির বন্দোবস্ত বাতিলের প্রক্রিয়া চলছে। এ নিয়ে গতবছর পূজায় হট্টগোল হয়েছিল। এ কারণে মন্দির কমিটির লোকজনকে ডেকে বলেছি, কোনো হট্টগোল যেন না হয়। তবে অবৈধ মন্দির বা জোর বিজোর কমিটি করা হয়েছে এ নিয়ে সেভাবে কথা বলা হয়নি।
    ঠাকুরগাঁও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মামুন ভুঁইয়া বলেন, অভিযোগটি এখনো পাওয়া যায়নি। বিষয়টি জেনেছি। বিষয়টি সুরাহার জন্য ইউএনওকে বলা হয়েছে। তিনি দুই পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধান করবেন।
  • পাবলিক প্লেসে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন নেই।

    পাবলিক প্লেসে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন নেই।

    নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি।
    চার মাসের শিশু সন্তান সুমাইয়াকে নিয়ে স্বামীর সঙ্গে নোয়াপাড়া রেলস্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন রুমা আক্তার। এ সময় তার কোলের সন্তান ক্ষুধায় কান্না শুরু করেন। কিন্তু স্টেশন ভর্তি মানুষের কারণে রুমা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারছিলেন না। কিছুক্ষণ নানাভাবে সুমাইয়াকে শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন তিনি। পুরো স্টেশনে চোখ বুলিয়েও কোথাও একটু নিরিবিলি জায়গার খোঁজ মেলেনি।  সিলেটের মাধবপুরের নোয়াপাড়া রেলস্টেশনে গত শনিবার এমন চিত্র দেখা যায়।
    অনুসন্ধানে দেখা যায়, মাধবপুর উপজেলা পরিষদ, সুরমা চা বাগানে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার থাকলেও বেশির ভাগ স্কুল, কলেজ, শপিং মল, হাসপাতাল, ব্যাংক, রেলস্টেশনের মতো পাবলিক প্লেসে এর কোনো অস্তিত্ব নেই। মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি ফিডিং কর্নার থাকলেও তা ছিল তালাবদ্ধ।
    জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৭ শে অক্টোবর দেশের সব কর্মক্ষেত্র, এয়ারপোর্ট, বাসস্টেশন, রেলওয়ে স্টেশনে, শপিং মলে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার ও বেবি কেয়ার কর্নার স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে হাইকোর্টে রুল জারি করলে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের নির্দেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেছিলেন হাইকোর্ট। কিন্তু মাধবপুর উপজেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও পাবলিক প্লেসে হাইকোর্টের রায়ের বাস্তবায়ন নেই।
    এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর আহ্সান জানান, উপজেলা পরিষদে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও সুরমা চা বাগানে ডে কেয়ার ও ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন  করা হয়েছে।যে সকল সরকারি বেসরকারি ও পাবলিক প্লেসে নেই খোঁজ নিয়ে স্থাপন করা হবে।