Author: admin
-
টাংগাইলের দেলদুয়ারে উপকার ভোগীদের সাথে মতবিনিময় সভা।
আব্দুল্লাহ খিজির,স্টাফ রিপোর্টার: টাংগাইলের দেলদুয়ারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য উপহার সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বিভিন্ন শ্রেনীর উপকার ভোগীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার সকালে দেলদুয়ার উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাংগাইল-৬ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, দেলদুয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা আলী,দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মারুফ, দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ফজলুল হক,সহ সভাপতি বাবু এস প্রতাপ মুকুল,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এহসানুল হক সুমন,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হোসনে আরা আক্তার , দেলদুয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মোস্তাফিজুর রহমান,সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুদুজ্জামান,পাথরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাম প্রসাদ,ডুবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: ইলিয়াস আলী,এলাসিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মানিক রতন, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুদ রানা সহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। -
পুলিশের পরকীয়া এক সন্তানের জননীকে নিয়ে উধাও।
নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।হবিগঞ্জের মাধবপুরে এক সন্তানের জননী নাহিদাকে ফুসলিয়ে ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের এক এ এস আই উজ্জ্বল মোল্লার বিরুদ্ধে।তিনি বর্তমানে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা থানায় কর্মরত আছেন।জানা গেছে, মাধবপুর থানার কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন অভিযুক্ত উজ্জল মোল্লা। সম্প্রতি মাদক এক ব্যবসায়ীকে আটকের পর জব্দকৃত মালামাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে পত্রপত্রিকায় খবর প্রচারিত হয়। পরে তাকে ‘জনস্বার্থে’ ধর্মপাশা থানায় বদলি করা হয়। গত ১৯ সেপ্টেম্বর ধর্মপাশা থানায় যোগদান করেন তিনি।অভিযোগ উঠেছে, প্রায় ১ মাস আগে চৌমুহনী ইউনিয়নের কমলানগর গ্রামের শিমুল মিয়ার স্ত্রী এক সন্তানের জননী নাহিদাকে (২২) ফুঁসলিয়ে নিয়ে যান। স্বর্না নামে পাঁচ বছর বয়সী এক মেয়ে রয়েছে নাহিদার। দুইদিন আগে এ ঘটনা জানাজানি হয়। সূত্রে জানায়, নাহিদার স্বামী শিমুল মিয়া একটি মাদক মামলায় আটক হয়ে কিছুদিন জেলে ছিলেন। এসময় উজ্জ্বল মোল্লার সাথে নাহিদার পরিচয় ঘটে। উজ্জল মোল্লার বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়। তিনি বিবাহিত।যোগাযোগ করা হলে এএসআই উজ্জল মোল্লা পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘এসব ফাউ আলাপ। নাহিদাকে চিনি না।’নাহিদা আক্তার জানান, তার স্বামীর সাথে দুইমাস আগে ডিভোর্স হয়েছে। তার স্বামী শিমুল নেশাগ্রস্থ। এস আই উজ্জ্বল মোল্লার সাথে তার বিয়ে হয়েছে বলে এলাকায় যা রটেছে এটা গুজব। তবে উজ্জল মোল্লাকে ভালো লাগে তার। তার সাথে ঘুরতে গিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।নাহিদার পিতা সিরাজ মিয়া জানান, নাহিদা চোখের চিকিৎসা করাতে ঢাকা গেছে। সিরাজ মিয়াও দাবি করেন নাহিদার স্বামী শিমুল মাদকাসক্ত।শিমুল মিয়া জানান, ‘নাহিদা তাকে তালাক দিয়েছে। কিছুদিন আগে নোটিশ পেয়েছেন। তবে তার ধারণা, তালাকের পেছনে উজ্জ্বল মোল্লার হাত রয়েছে। -
শীতের আনাগনা শুরু ব্যস্ত সময় পাড় করছে লেপ-তোষক তৈরির কারিগর।
নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।“বইতে শুরু করেছে শীতের হাওয়া। ধীরে ধীরে বাড়ছে এর তীব্রতা। এরই সঙ্গে ব্যস্ততা বেড়েছে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জনপদের লেপ-তোষক তৈরির কারিগর (ধুনকর) ও ব্যবসায়ীদের।কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে ভোরের সকাল। সন্ধ্যা নামলেই অনুভূত হচ্ছে শীত। পাতলা কাঁথার মানছে না শীত। তাই হিমেল ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজন লেপের উষ্ণতার। শীতের তীব্রতা বাড়ার আগেই মানুষ ভিড় জমাচ্ছে লেপ তোষক তৈরির বেডিং স্টোরগুলোতে। দিনে নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে সকালে সূর্য উঠার আগ পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে শীত।মাধবপুর উপজেলার প্রায় শতাধিক লেপ-তোষক তৈরির দোকানে রাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পাড় করছেন ধুনকররা। শীতের আগমনকে উপলক্ষ করে দোকানগুলোতে লেপ-তোষক বিক্রি বেড়েছে কয়েকগুণ। হিমেল ঠান্ডায় শরীরকে সতেজ রাখার জন্য বিশেষ করে লেপের চাহিদা বেড়ে যায়। শীতের প্রচন্ড ঠান্ডায় হাড়কাপানো পরিস্থিতি রাতের নিদ্রায় একটু আরামের জন্য লেপের উষ্ণতা প্রশান্তি এনে দেয়। তাইতো বেড়েছে লেপ-তোষক তৈরি ধুনকরদের ব্যস্ততা।এছাড়া ভ্রাম্যমাণ লেপ-তোশক ব্যবসায়ীদের আনাগোনাও বেড়েছে উপজেলার হাট-বাজার ও রাস্তা-ঘাটে।হিমেল শীতের পরশ থেকে উষ্ণতা পেতে কেউ পুরোনো লেপ-তোষক, বালিশ ঠিকঠাক করছে। আবার কেউ নতুন তৈরি করার অর্ডার দিচ্ছেন। অন্যদিকে অনেকে উঠিয়ে রাখা লেপ-তোষক বের করে রোদে শুকিয়ে ব্যবহারের উপযোগী করার চেষ্টা করছেন।উপজেলার বিভিন্ন বেডিং আর কটন শোপ দোকানগুলোতে গিয়ে তাদের কর্ম ব্যস্ততা লক্ষ্য করা যায়। কারিগররা কেউ তুলো ধুনছে, কেউ ব্যস্ত লেপ-তোষক সেলাইয়ের কাজে, কেউ বা লেপে হরেকরকম ডিজাইন ফুটিয়ে তুলছেন। শীত মৌসুমেই তাদের সারা বছরের ব্যবসায়িক হিসাব মেলাতে হয়।মাধবপুর উপজেলার অর্ধশতাধিক কারিগর শীত মৌসুমে লেপ-তোষক তৈরি করে সারা বছর সংসার চালানোর মতো অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করেন। তাই শীত মৌসুমি এ ব্যবসায় একটু বেশি বিক্রির জন্য দিন-রাত সমানতালে পরিশ্রম করছেন তারা।বর্তমানে বাজারে শিমুল তুলা প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, কার্পাস তুলা প্রতি কেজি ৩১০ থেকে ৩৬০ টাকা, প্রতি কেজি কালো হুল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা, কালো রাবিশ তুলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, সাদা তুলা ১১০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা করে দামে বিক্রি হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় তুলার দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাপড়ের প্রতি গজে ১০ থেকে ১৫ টাকা দাম বেড়েছে। প্রতিপিছ লেপ-তোষক তৈরিতে খরচ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বেড়েছে। মাঝারি ধরনের একটি লেপ বানাতে খরচ হচ্ছে ১২০০ থেকে দুই হাজার টাকা। তোষক বানাতে ১৫০০ থেকে আড়াই হাজার টাকা খরচ হয়। তবে বিভিন্ন রকমের দামী-কমদামী তুলার প্রকারভেদে লেপ-তোষকের দাম কম-বেশি হয়ে থাকে।প্রতিদিন একজন কারিগর পাঁচ থেকে ছয়টি লেপ তৈরি করতে পারেন। আর একটি লেপ-তোষক বিক্রি করলে তাদের ৩০০ থকে ৫০০ টাকা লাভ হয়। শীত মৌসুমের শুরুর দিকে কাজের চাপ বেশি থাকে। এ সময় প্রতিদিন তাদের ১৫০০ থেকে আড়াই হাজার টাকা লাভ থাকে।ক্রেতা আলাকপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম বলেন, শীত মৌসুম চলে আসছে। এখন আর পাতলা কাঁথায় শীত মানছেনা। তাই পুরোনো লেপ নতুন করে তৈরি করতে এসেছি। কাপড় ও তুলার দাম বাড়ার কারণে খরচ বেশি লাগছে।লেপ কিনতে আসা মজীনা বেগম নামে এক গৃহিণী বলেন, ছেলের জন্য একটা লেপ কিনতে এলাম। গত বছর যে লেপ ১৩০০ টাকায় নিয়েছি এবছর সমমানের লেপই ১৬০০ টাকায় কিনতে হলো।উপজেলার মাধবপুর বাজার ধান সংলগ্ন ইকরা এন্ড নিষপা বেডিং ষ্টোর লেপ-তোষক ব্যবসায়ী মোঃ সৈয়দ মিয়া বলেন, শীত মৌসুমের আগমনে ক্রেতারা নতুন লেপ তোষক কিনে নিচ্ছেন।অনেকে আগেভাগে পুরোনো লেপ-তোষক, বালিশ ঠিকঠাক ও নতুনভাবে তৈরি করার অর্ডার দিচ্ছেন। শীত মৌসুমে বেচা-বিক্রির সঙ্গে সঙ্গে আমাদের আয় রোজগারও বাড়ে। বছরের অন্যান্য সময়ের মন্দাভাব পোষিয়ে নিতে এখন সমান তালে কাজ করছি।মেসার্স ভাই ভাই বেডিং ষ্টোর মালিক মোঃ ইলিয়াছ মিয়া বলেন, ‘সারা বছরই টুকিটাকিষ্টোর বেচা-কেনা হয়। তবে শীত মৌসুমের শুরু থেকে দোকানে কাজের চাপ বাড়ে। বিক্রিও ভাল হয়। কাপড়, তুলার মান ও পরিমাণের ওপর নির্ভর করে লেপ- তোষক তৈরির খরচ কম বেশি হয়। কাপড় ও তুলার মূল্য বৃদ্ধির কারণে এবার খরচও কিছুটা বেড়েছে। তবে শীতের তীব্রতা বাড়লে লেপ-তোষকের চাহিদা আরও বাড়বে। আমি ৪- ৫ হাত লেপ বিক্রি করছি ৫ কেজি তুলা দিয়ে ১৩০০ টাকা থেকে ১৪০০ টাকায়। আর তোষক বিক্রি করছি ১৭০০ টাকা থেকে ১৮০০ টাকায়। -
রাণীশংকৈল পৌর যুবলীগের কমিটি গঠন সভাপতি আলী সম্পাদক গপেশ।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল পৌরসভা শাখার ৬১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি পদে আনোয়ার হোসেন ওরফে আলীকে সভাপতি ও গপেশ বসাককে সাধারণ সম্পাদক পদে ঘোষনা করা হয়েছে।গত ৬ নভেম্বর উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল করিম ও সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী স্বাক্ষরিত ৬১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন করা হয়। তিন বছর মেয়াদী এ কমিটিতে জিয়াউল ইসলাম জিয়াকে জৈষ্ঠ্য সহ-সভাপতি করে মোট ৭ জনকে সহ-সভাপতি, চন্দন বসাককে জৈষ্ঠ্য যুগ্ন-সম্পাদক করে মোট তিন জন যুগ্ন সম্পাদক করা হয়েছে।একইভাবে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো: রকিসহ তিনজন, প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক, অর্থ সম্পাদকসহ অন্যান্য পদে মোট ২৩ জনকে মনোনীত করা হয়েছে। একইভাবে ২৩ জনকে কাযর্করী কমিটির নির্বাহী সদস্য করা হয়েছে।ঘোষিত পৌর যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন আলী বলেন, ৬১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন করে ঘোষনা করা হয়েছে। এ কমিটিতে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের মূল্যয়ন করা হয়েছে। ছাত্রলীগের পদধারী সাবেক নেতাদের এ কমিটির বিভিন্ন পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এবারের কমিটি সাংগঠনিকভাবে অনেক শক্তিশালী কমিটি হয়েছে। -
রামপালে বিষপানে গৃহবধূর আত্মহত্যা।
রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে বিষপানে মুনিয়া রায়(৩০) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন।
তিনি বুধবার (৮ নভেম্বর) বিকেল পৌনে ৫ টার সময় তার বাড়িতে বিষপান করেন। সে উপজেলার বাঁশতলী ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মনোজ রায়ের স্ত্রী।মৃতের পরিবার ও রামপাল থানা সূত্রে জানা গেছে যে, বুধবার বিকেলে মুনিয়া বিষপান করে। স্বামী বিষয়টি জানতে পেরে মুনিয়াকে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে কিছুক্ষণ পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।এ বিষয়ে রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ এস. এম. আশরাফুল আলম সাংবাদিকদের জানান যে, আত্মহত্যার বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরণ করে। এ বিষয়ে থানায় একটি ইউডি মামলা রুজু করা হয়েছে। লাশটি ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাটে প্রেরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুনিয়া পারিবারিক অসন্তোষের কারণে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। -
তানোরে ও নাচোলে পাগলা হাতির আক্রমণে দুই ব্যক্তির মৃত্যু।
রাজশাহীর তানোরে ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে পাগলা হাতির আক্রমণে ২জন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বিকেলের দিকে তানোর উপজেলার বাধাইড় ইউনিয়নের জুমারপাড়া মোড়ে ও নাচোল উপজেলার আমনুরা লক্ষীপুর মোড়ে ২টি পাগলা হাতির আক্রমণে এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে। নিহতরা হলেন,তানোর উপজেলার বাধাইড় ইউনিয়নের জুমার পাড়া গ্রামের রামপদ (৪০) ও নাচোল উপজেলার আমনুরা লক্ষীপুর গ্রামের বুলবুল ইসলামের পুত্র মোবাশির ইসলাম(১১)।
পাগলা হাতির আক্রমণে নিহতের ঘটনায় এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। গম্ভীর হয়ে পড়েছে তানোর ও নাচোল উপজেলা। জানা গেছে,তানোর মুন্ডুমালা হয়ে আমনুরার উদ্দেশ্য একটি হাতি নিয়ে মাহুত রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে টাকা তুলতে তুলতে যাচ্ছিলেন। এসময় রাস্তার পাশে হাতি দেখতে অনেক মানুষ হাতির পিছনে পিছনে যাচ্ছিলেন। এতে করে হাতি অনেক মানুষ দেখে ক্ষীপ্ত হয়ে উঠে পাগলামী করতে লাগে। ধীরে ধীরে আরো ভয়ংকর হয়ে উঠে হাতিটি। শুরু করেন ভয়ংকর আওয়াজ। তার পরেও হাতি দেখতে পিছু ছাড়েন না মানুষ। এতে করে হাতি দেখতে দেখতে জুমার পাড়া গ্রামের রামপদ হাতির কাছে চলে যান। এসময় হাতি রেগে গিয়ে বিকট শব্দে আওয়াজ করে দু’পা তুলে রামপদ’র বুকে পা তুলে দেন পাগলা হাতিটি। এতে করেই ঘটনাস্থলেই মারা যান রামপদ। তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুর রহিম জানান, এবিষয়ে এখনো কোন সীদ্ধান্ত নেয়া হয়নি,উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানানো হবে বলে জানান।
-
স্বাধীনতাবিরোধী,খুনি ও অগ্নিসন্ত্রাসীরা ক্ষমতায় আসতে পারবে না-রমেশ চন্দ্র সেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী, খুনি ও অগ্নিসন্ত্রাসীরা ক্ষমতায় আসতে পারবে না। কারণ জনগণ তাদেরকে প্রত্যাখান করেছে।বুধবার বিকেলে (৮ অক্টোবর) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে সামাজিক নিরাপত্তা ও উন্নয়ন বিষয়ক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।জনসভার আগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা এলজিইডির তত্ত্বাবধানে চার কোটি এক লক্ষ ১৫ হাজার ৯৬৪ টাকা ব্যয়ে মোলানি হাট হতে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত দুই কিলোমিটার ৮৩০ মিটার, এক কোটি ৫৯ লক্ষ ১৭ হাজার ৬৯২ টাকা ব্যয়ে মটরা হাট হতে তেতুলিয়া পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার এবং এক কোটি ৬৩ লক্ষ ২৬ হাজার ৮১৮ টাকা ব্যয়ে সিন্দুরনা হতে তেতুলিয়া পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন।জনসভায় সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তথাকথিত আন্দোলনের নামে বহু মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাস্তার পাশের হাজার হাজার গাছ উজাড় করেছে।তিনি বলেন, এই চক্র দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল যেখানে আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে বাংলাদেশকে আবারও উন্নয়নের মহাসড়কে তুলেছে।রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। আমরা এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।বাংলাদেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে তার সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, সরকার অবকাঠামো, স্বাস্থ্যসেবা, বাসস্থান, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ প্রতিটি খাতের উন্নয়ন নিশ্চিত করেছে।রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, এখন বিএনপি জামায়াত হরতাল অবরোধ দিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়; কিন্তু দেখুন জনগণ হরতাল, অবরোধ মানে না। সাধারণ জনগণ হরতাল অবরোধ প্রত্যাখান করেছে। কারণ দেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে চায়।দেশের শান্তি বজায় রাখতে পুনরায় আওয়ামী লীগ সরকার গঠনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন।রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান বাবলু, সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. অরুণাংশু দত্ত টিটো, সাধারণ সম্পাদক মোশারুল ইসলাম সরকার।এছাড়াও বক্তব্য দেন, ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষক লীগের সভাপতি পবারুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আব্দুল কাদের, রায়পুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জয়দেব বর্মন, রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল আমিন সহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। -
ডিমলায় ছওয়াব ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে টিউবওয়েল বিতরণ।
হাবিবুল হাসান হাবিব,ডিমলা(নীলফামারী)প্রতিনিধি- নীলফামারীর ডিমলা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সোশ্যাল এজেন্সি ফর ওয়েলফেয়ার অ্যাডভান্সমেন্ট অব বাংলাদেশ (ছওয়াব) এর উদ্যোগে বিনামূল্যে ডোমার-ডিমলা উপজেলায় গরিব, দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ১৩২টি টিউবওয়েল বিতরণ করা হয়েছে। ০৮ নভেম্বর(বুধবার ) দুপুরে ডিমলা উপজেলা পরিষদ মাঠে সোশ্যাল এজেন্সি ফর ওয়েলফেয়ার অ্যাডভান্সমেন্ট অব বাংলাদেশ (ছওয়াব) এর অর্থায়নে এসব টিউবওয়েল তুলে দেন গরীব, অসহায় ও দুস্থ্যদের মাঝে।
অনুষ্ঠানে কামরুজ্জামানের সঞ্চালনায় সভাপতিত্বে করেন ছওয়াবের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার এস এম মোঃ ইমদাদুল ইসলাম । এক সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আফতাব উদ্দিন সরকার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-ই- আলম সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিমলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ডিমলা উপজেলা শাখার আহ্বায়ক এ.এইচ.এম ফিরোজ সরকার। ছওয়াবের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার আবু সাঈদ, স্যার গৌরবাবু স্কাউট মুক্ত মহাদল ডিমলা’ছওয়াবের ডিমলা উপজেলা ভোলান্টিয়ার মোঃ আব্দুর রশিদ মোঃ উদয় সরকার,শাওন ইসলাম বাবু সহ স্যার গৌরবাবু স্কাউট মুক্ত মহাদল।
ছওয়াবের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার এস এম মোঃ ইমদাদুল ইসলাম, হেড অব মনিটরিং, ছওয়াব,জানান, ডোমার ওডিমলা উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে ঘুরে ঘুরে সঠিক ব্যক্তি, পরিবার ও স্থান নির্বাচন করে উপকারভোগীদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য গরিব, দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে টিউবওয়েল সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়েছে। ছওয়াবের মূল উদ্দেশ্য হল গরিব, দুস্থ ও অসহায় পরিবার, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও রাস্তার পাশে পথচারীদের জন্য নলকূপ স্থাপন করা। যাতে তৃণমূল পর্যায়ের এসব সাধারণ মানুষ বিশুদ্ধ পানি পান করতে পারে।
-
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ।
ঠাকুরগাঁওয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর নকল করে ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে জেলা সদরের আকচা ইউনিয়নের নিমবাড়ি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে।জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লক্ষীকান্ত রায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সন্তোষ কুমার আগরওয়ালা’র স্বাক্ষর জাল করে সোনালী ব্যাংক ঠাকুরগাঁও শাখা হতে ১৯১৪২৬৪৯৬৫৫ নং চেকের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।শুধু চেক জালিয়াতি নয় অভিযোগ রয়েছে বর্তমান কমিটির সদস্যদের সাথে কোন যোগাযোগ ছাড়াই মনগড়া নতুন কমিটি গঠনের।এছাড়াও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি পরিপত্রে বলা হয় ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনে গেল রবিবার (৫ নভেম্বর) মনোনয়ন পত্র গ্রহণ ও মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) জমা দিতে হবে। অথচ প্রধান শিক্ষকের গাফিলতির কারনে এ বিষয়ে অভিভাবকদের জানানো হয়নি। অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক স্কুলের জমাকৃত টাকা আত্মসাৎ করলেও বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় দীর্ঘদিন ধরে সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিদ্যুত না থাকায় মাসের পর মাস গরমে সীমাহিন কস্ট, অন্ধকারে ক্লাসে অলস সময় কাটানো,মাল্টিমিডিয়া ক্লাস বন্ধসহ নানা সমস্যায় পরতে হচ্ছে।আর স্কুলের সহকারি শিক্ষকরা অভিযোগ করে বলেন, কাউকে না জানিয়ে স্বাক্ষর জাল করে স্কুলের জমাকৃত টাকা উত্তোলন করে হজম করেছেন। হয়তো এর আগেও টাকা তুলেছেন যা অজানা। এ ছাড়া নিয়য়মের তোয়াক্কা না করে নতুন কমিটি গঠনের পায়তারা করছেন তিনি। এ বিষয়ে উর্ধতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক লক্ষীকান্ত রায় টাকা উত্তোলনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, সভাপতি সাথে সামান্য ভুল বোঝাবুঝির কারনেই এসব কথা উঠেছে। আর নিয়ম মেনেই কমিটি গঠন করা হচ্ছে। বাকি অভিযোগ বানোয়াট বলে দাবি তার।বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সন্তোষ কুমার আগারওয়ালা জানান, বিদ্যালয়ের ফান্ডে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা ছিলো। প্রতিষ্ঠানের কাজে বেশকিছু টাকা উত্তোলন করার বিষয়টি সবাই অবগত হলেও ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন জাল স্বাক্ষরে। পরে ব্যাংক মারফত জানা যায় প্রধান শিক্ষক টাকা উত্তোলন করেছেন কিন্তু কাউকে হিসেব দেননি। সেই টাকা আত্মসাত করেছেন। যা প্রতারনার সামিল।জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আক্তার হোসেন সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, চেক জালিয়াতি ও কমিটি গঠনের অনিয়ম বিষয়ে আমি অবগত নই। অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত করা হবে। -
যাত্রী সেজে অটোচালক রিফাতকে হত্যা,মূলহোতাসহ গ্রেফতার ৭।
ঠাকুরগাঁওয়ের অটোচালক রিফাত ইসলাম হত্যার মূলহোতাসহ সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।বুধবার (০৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পিবিআই’র পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ।পিবিআই’র পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) বলেন, পিবিআই টিম মামলাটির ছায়া তদন্তের একপর্যায়ে গত ১৯ অক্টোবর মামলাটি স্ব-উদ্যোগে অধিগ্রহণ করে মোবাইলের তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষণ করে গত ৬ ও ৭ নভেম্বর গভীর রাতে পিবিআই এর তত্ত্বাবধানে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো.রবিউল ইসলামসহ একটি চৌকস টিমের সহায়তায় আসামীদের গ্রেফতার ও আলামত জব্দ করা হয়।গ্রেফতাররা হলেন- পঞ্চগড় সদর থানার জিয়াবাড়ি সদ্দারপাড়া গ্রামের হালিম উদ্দিনের ছেলে মো. রবিউল ইসলাম (১৬), ভুতমারী গ্রামের মৃত আশরাফ চৌধুরীর ছেলে মো. কামরুল হাসান (২৪), আটোয়ারী ছোট গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত চৈতনের ছেলে এরাজ ওরফে এরাজ উদ্দিন (৬২) তার ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম (৩২), মো. আলমগীর হোসেন (২৫), একই উপজেলার দেলুয়াড়ার খৌর গ্রামের মো. আজিজুল ইসলামের ছেলে মো. নাছির উদ্দিন (৩৫) এবং ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ঘনিমহেষপুর গ্রামের কাশি বর্ম্মণ এর ছেলে অতুল বর্ম্মণ (৩২)।পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, আসামী রবিউল ও কামরুলকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গত ১৬ অক্টোরব সকাল ১০ টার দিকে ঠাকুরগাঁও আর্ট গ্যালারী হতে মীরগড় ব্রীজ দেখতে যাওয়ার জন্য ৬০০ টাকায় রিফাত এর অটো চার্জার ভাড়া করেন। পরবর্তীতে সারাদিন ঘুরাঘুরি করার পর আরও একটু সময় ঘুরাঘুরি করার জন্য ৪০০ টাকা ভাড়া বাড়িয়ে দেয় তারা। রাত ৯ টার দিকে ঘুরনগাছা কুজিশহর গ্রামের চার পুকুরি হতে মন্ডলাদামগামী কাচা রাস্তার পার্শ্বে অটোতে বসে থাকা অবস্থায় অটোচালক রিফাতের গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যা করে কামরুল এবং অটো চার্জার নিয়ে এরাজ উদ্দিনের নিকট বিক্রয় করেন।পরবর্তীতে আসামী রবিউল, কামরুল হাসান, অতুল বর্ম্মণ, নাছির উদ্দিন নিজেদেরকে ঘটনার সাথে জড়িত করে স্বেচ্ছায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে বলে জানান তিনি।তাদের কাছে রিফাতরে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও অটো চার্জার এর চাকা, ডিফেন্সিয়াল মোটর, হেডলাইট, হ্যান্ডেলসহ মিটার, সকাপজা সেট, বসার সিট জব্দ করে পিবিআই।উল্লেখ্য- গত ১৭ অক্টোবর সকালে ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া থানার ঘুরনগাছ এলাকায় একটি বাঁশঝাড় থেকে রিফাত ইসলামের গলাকাট লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রিফাত ইসলাম ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের গোয়ালপাড়া এলাকার নুর আলমের ছেলে।