কানাইঘাট(সিলেট)প্রতিনিধি: কানাইঘাটে কুচক্রী মহলের হাত থেকে পৈত্রিক স্থাবর সম্পত্তি রক্ষা সহ মিথ্যা মামলার হয়রানী থেকে মুক্তি পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক ভুক্তভোগী পরিবার।বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় কানাইঘাট প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কচুপাড়া গ্রামের মৃত মাস্টার ফয়জুল হকের ছেলে হেলাল আহমদ লিখিত বক্তব্য পাঠকালে বলেন, তারা ৩ ভাই ও ৩ বোন। তাদের পিতার রেখে যাওয়া পৈত্রিক সম্পত্তি সহ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ এখনও যৌথ রয়েছে। ৪০ বছর ধরে তাদের বড় ভাই কাওছার আহমদ কানাডায় বিয়ে করে সেখানে বসবাস করে আসছেন। অদ্যবধি পর্যন্ত কাওছার আহমদ কানাডা থেকে একটিবারও দেশে আসেননি। এই সুযোগে স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল তাদের ভাই কাওছার আহমদকে নানাভাবে ভুল বুঝিয়ে তাদের যৌথ সম্পত্তি আত্মসাত করার জন্য তাকে সহ পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে।সংবাদ সম্মেলনে হেলাল আহমদ আরো উল্লেখ করেন, এই দুষ্টু চক্রের মধ্যে রয়েছে বীরদল হাওর পশ্চিম গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে আলিম উদ্দিন, কচুপাড়া গ্রামের মৃত আকলু মিয়ার ছেলে মানিক উদ্দিন, মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে জালাল উদ্দিন ও সরুফৌদ গ্রামের মৃত মকরম আলীর ছেলে সিরাজ উদ্দিন। তাদের মধ্যে আলিম উদ্দিন আমার প্রবাসী ভাই কাওছার আহমদ এর কাছ থেকে আমমোক্তারনামা নিয়েছে বলে দাবী করে আমাদের পৈত্রিক যৌথ সম্পত্তি, গোয়াল ঘর, গরু, বসত ঘর জোরপূর্বক ভাবে দখল করার চেষ্টা করে আসছে। এমনকি আলিম উদ্দিন গংরা তাদের বসত বাড়ির গাছপালা, ফসলাদি কেটে নিয়ে যায়। ইতিমধ্যে আলিম উদ্দিন আমি সহ আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আদালতে পর পর ৩টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। তারমধ্যে একটি ধান চুরির মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হলে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। বর্তমানে আদালতে ২টি মামলা বিদ্যমান রয়েছে। কানাডা প্রবাসী ভাই কাওছার আহমদ মানসিক সমস্যায় থাকার কারনে তার সরলতার সুযোগ নিয়ে আলিম উদ্দিন গংরা তাদেরকে নানা ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী সহ স্থাবর সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টা করে আসছেন। এতে করে তারা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন উল্লেখ করে কুচক্রী মহলের হাত থেকে নিজেদের পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা এবং মিথ্যা মামলা-মোকদ্দমার হয়রানী থেকে মুক্তি পেতে সরকার এবং পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন হেলাল আহমদ ও তার পরিবারের সদস্যরা।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, হেলাল আহমদের বোন ফখরুন নেছা, মিসবাউন নেছা, পরিবারের সদস্য হারুন আহমদ, কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুন নুর, ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাসুক আহমদ, প্রতিবেশি শফিকুল হক, মুজম্মিল আলী।
Author: admin
-
মাধবপুরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে বিষাক্ত ফল ড্রাগন।
নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃহবিগঞ্জের মাধবপুরের বিভিন্ন হাট- বাজার প্লান্ট গ্রোথ হরমোন দিয়ে বড়ো করা ড্রাগন ফল বিক্রি হচ্ছে দেদারসে। অতিরিক্ত পরিমাণে হরমোন জাতীয় ঔষধের ব্যবহার করার ফলে এসব ড্রাগন ফল আকারে অনেক বড়ো হচ্ছে।ফলে ক্রেতারা আকৃষ্ট হয়ে ফল ক্রয় করে প্রতারিত হচ্ছেন, পড়ছেন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। জানাযায়, ড্রাগন ফলের অনেক ঔষধি গুণ থাকায় দিনদিন এই ফলটির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু কৃষক অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় প্লান্ট গ্রোথ হরমোন (পিজিআর, কাল্টার, জিব্রলিন্স, জিএ থ্রি) অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহার করে সময়ের আগেই ড্রাগন ফলকে বড়ো করে বাজারে বিক্রি করছেন।মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: আল মামুন হাসান জানান, এ-সব ফল খাওয়ার ফলে মানুষ ক্যান্সার সহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারে। মাধবপুর উপজেলার কৃষকদের ইতিমধ্যেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এসব ঔষধ ব্যবহার না করার জন্য। স্থানীয় কৃষকেরা এসব ঔষধ ব্যবহার করেন না। বাজারে এখন যে ড্রাগন ফল বিক্রি হচ্ছে তা বাহির থেকে আসছে। তিনি ক্রেতাদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, যেসকল ড্রাগন ফল অতিরিক্ত হরমোন দেওয়া হয় সেগুলোর কিছু অংশ লাল কিছু অংশ সবুজ থাকে। ড্রাগন ফল যখন পাকে তখন একসঙ্গে সম্পুর্ন ফল লাল হয়ে যাবে।অর্ধেক সবুজ অর্ধেক লাল এমন হবে না। স্বাভাবিক ভাবে পাকা ফলের স্বাদ মিস্টি হবে আর হরমোন দিয়ে পাকানো ফলের স্বাদ হালকা টক হবে। এছাড়া স্বাভাবিক ভাবে পাকা ফলের চামড়া পাতলা হবে আর হরমোন দিয়ে বড়ো করা ফলের চামড়া মোটা হবে। তিনি সবাইকে ড্রাগন ফল ক্রয় করার আগে উল্লেখিত বিষয়গুলো দেখে ক্রয় করার পরামর্শ দেন। -
ভটভটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্যবসায়ী শাহজাহান আলীর মৃত্যু ।
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ চাল নিয়ে মোকাম থেকে ফেরা হলো না সাজাহান আলী (৫৬) নামের এক ব্যবসায়ীর। ভটভটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন তিনি। চাল ব্যবসায়ী সাজাহান আলী বাঘা উপজেলার আড়ানী ইউনিয়নের বেড়েরবাড়ি গ্রামের জামাত আলীর ছেলে।দূর্ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার দিকে রাজশাহীর আম চত্বর-তানোর সড়কের তেঘরিয়ার জিয়ানা এগ্রো ফার্মের নিকটে। সাজাহান আলী আড়ানী পৌর বাজারের একজন চাল ব্যবসায়ী।
জানা যায়, আড়ানী থেকে ভটভটি নিয়ে তানোরের উদ্দেশ্যে রওনা হন শাজাহান আলীসহ কয়েকজন। রাজশাহীর আম চত্বর পার হয়ে তানোরের দিকে যাচ্ছিল। ভটভটি রাজশাহীর আম চত্বর-তানোর সড়কের তেঘরিয়ার জিয়ানা এগ্রো ফার্মের নিকটে পৌঁছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে সাথে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলে সাজাহান আলী নিহত হয়েছেন। ভটভটির চালক আড়ানী পৌরসভার কুশাবাড়িয়া গ্রামের আবুল গাজীর ছেলে মিলন হোসেন (৩০) ও হেলপার চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের বিদ্যুত আলীর ছেলে হৃদয় হোসেন (২২) আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাথে থাকা আরেক চাল ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম টিপু বলেন, আহত ভটভটি চালক মিলন হোসেনের অবস্থা অত্যান্ত আশংকাজনক। তার নাম মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে।এ বিষয়ে পবা থানার এসআই তরিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি ইউডি মামলা হয়েছে। -
কানাইঘাটে ভারতীয় মদসহ মাদক ব্যবসায়ী রায়হান গ্রেফতার
মিজানুর রহমান (লাভলু) কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ সিলেটের কানাইঘাট থানা পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী রায়হান আহমদ (২০) কে ২২ বোতল MC Dowell’s ব্রান্ডের ভারতীয় মদ সহ গ্রেফতার করে। থানার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল অনুমান ৩টার দিকে উপজেলার লক্ষিপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের অর্ন্তগত মঙ্গলপুর এলাকায় স্থানীয় লোকজনের তথ্য ও সহযোগিতায় কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার এর নির্দেশনায় থানার এস আই রাম চন্দ্র দেব সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে ২২ বোতল ভারতীয় মদ সহ মাদক ব্যবসায়ী রায়হান আহমদ কে গ্রেফতার করেন।জানা যায় উত্তর লক্ষিপ্রসাদ গ্রামের আনিসুল হক এর ছেলে রায়হান আহমদ।থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানিয়েছেন গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী রায়হান আহমদ কে মদ সহ হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। আটককৃত রায়হান আহমদ এর বিরুদ্ধে কানাইঘাট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। সিলেট জেলার বিজ্ঞ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন স্যারের দিক নির্দেশনায় নিয়মিত ভাবে থানা পুলিশ অপরাধ দমন, ওয়ারেন্ট, পলাতক আসামীদের গ্রেফতার ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রনে কাজ করে যাচ্ছে বলে থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানিয়েছেন।
-
নাগরপুরে পাকুটিয়া,ভারড়া ও ধুবড়িয়া ইউনিয়নে আ.লীগের বর্ধিত কর্মী সভা।
আব্দুল্লাহ খিজির,স্টাফ রিপোর্টার: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাংগাইল-৬ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আহসানুল ইসলাম টিটুকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে পাকুটিয়া,ভারড়া ও ধুবড়িয়া ইউনিয়নে বিশেষ বর্ধিত কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার(১৫ ডিসেম্বর) সকালে পাকুটিয়া ইউনিয়ন আ.লীগ,বিকেলে ভারড়া ইউনিয়ন আ.লীগ ও রাতেধুবড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ বিশেষ বর্ধিত কর্মী সভার আয়োজন করে। তিনটি ইউনিয়নের কর্মী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাংগাইল-৬ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ আনিসুর রহমান,সহ সভাপতি এড.আজহার,একেএম কামরুজ্জামান মনি,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুস ছবুর, আবদুল আলিম দুলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহীদুল ইসলাম অপু,জাহিদুল হাসান জাহিদ,শেখ শামসুল হক, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবীর,তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মোঃ জাকির তালুকদার, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ উজ্জল হোসেন মোল্লা,যুবলীগের সভাপতি( দায়িত্বপ্রাপ্ত) ভক্ত গোপাল রাজবংশী, যুগ্ম আহবায়ক মাহফুজ রানা এমবি, আনিসুজ্জামান তুহিন,স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি বাবর আল মামুন, সম্পাদক মোঃ ফারুক হোসেন,শ্রমিকলীগ সভাপতি মোঃ আব্দুস ছালাম, সম্পাদক মোঃ শাহলম মিয়া,ছাত্র লীগ সভাপতি মোঃ আজিম হোসেন রতন, সম্পাদক মোঃ সজিব মিয়া সহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। -
নাগরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল।
আব্দুল্লাহ খিজির,স্টাফ রিপোর্টার:টাংগাইলের নাগরপুরে উপজেলা আ.লীগের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ২০২৩ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাংগাইল-৬ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি।বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি এড.আজহার,একেএম কামরুজ্জামান মনি,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুস ছবুর, আবদুল আলিম দুলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহীদুল ইসলাম অপু,জাহিদুল হাসান জাহিদ,শেখ শামসুল হক, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবীর,তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মোঃ জাকির তালুকদার, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ উজ্জল হোসেন মোল্লা,যুবলীগের সভাপতি( দায়িত্বপ্রাপ্ত) ভক্ত গোপাল রাজবংশী, যুগ্ম আহবায়ক মাহফুজ রানা এমবি, আনিসুজ্জামান তুহিন,স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি বাবর আল মামুন, সম্পাদক মোঃ ফারুক হোসেন,শ্রমিকলীগ সভাপতি মোঃ আব্দুস ছালাম, সম্পাদক মোঃ শাহ আলম মিয়া,ছাত্র লীগ সভাপতি মোঃ আজিম হোসেন রতন, সম্পাদক মোঃ সজিব মিয়া সহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। -
ডিমলায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন।
হাবিবুল হাসান,ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডিমলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার পৃথক পৃথক ৬টি কবরস্থানে জাতির শ্রেষ্ঠ ও সম্মুখযুদ্ধের রনাঙ্গনে শাহাদৎ বরণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও পুস্পস্তবক অর্পন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নুর আলম সিদ্দিকী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ তবিবুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ফারজানা আক্তার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মেজবাহুর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বাবু নিরেন্দ্র নাথ রায়, অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেবাশীষ রায়, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আব্দুর রহিমসহ স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাগন ও গন্যমান্য ব্যক্তির্বগ প্রমুখ। দিবসটি উপলক্ষে মসজিদ মন্দির ও অন্যান্য উপসানালয়ে বিশেষ মোনাজাত এবং প্রার্থনা করা হয়।
১৯৭১ সালে এই দিনে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবিদের নির্মম নৃশংস ভাবে হত্যা করে পাকিস্থানী হানাদার বাহীনি। এই হত্যাকান্ডের দুদিন পর ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পৃথিবীর ইতিহাসে একটি জঘন্যতম বর্বরোচিত ঘটনা।
-
রামপাল হানাদার মুক্ত দিবস পালন।
রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে যথাযথ সম্মানের সাথে রামপাল হানাদার মুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে।“আমাদের গ্রাম” ক্যান্সার কেয়ার এন্ড রিসোর্স সেন্টার এর সহযোগীতায় ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবদুল জলিল পাঠাগারের উদ্যোগে এ দিবসটি উদযাপন করা হয়।দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে নানা কর্মসূচী গ্রহন করা হয়। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ১১.০০ টায় উপজেলা স্মৃতি সৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন এর প্রতিনিধিবৃন্দ এতে অংশ গ্রহণ করেন।এরপর “আমাদের গ্রাম” ক্যান্সার কেয়ার রিসোর্স সেন্টারের সহযোগিতা দিন ব্যাপী ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয় এবং শিশু কিশোরদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।এসময় উপস্থিত ছিলেন আমাদের গ্রাম ক্যান্সার কেয়ার রিসোর্স সেন্টারের উপদেষ্টা শেখ বজলুর রহমান, প্রধান শিক্ষক হাওলাদার আ. মান্নান, প্রভাষক মো. সাইফুল আলম বকতিয়ার, কল্লোল মজুমদার, পুষ্পেণ রায়, এম. এ, সবুর রানা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সরদার বোরহান উদ্দিন ,উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাদী , ছাত্রলীগ নেতা মো. কাবির হোসেনসহ আমাদের গ্রাম ক্যন্সার কেয়ার হাসপাতালের বিভিন্ন প্রতিনিধিবৃন্দ।১৯৭১ সালের ১৩ই ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক যুদ্ধকালীন কমান্ডার প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবদুল জলিলের নেতৃত্বে রামপাল হানাদার মুক্ত হয়। সেদিন রামপালের মুক্তিযোদ্ধারা রামপাল কে হানাদার মুক্ত করে রামপাল থানায় লাল সবুজের পতাকা উত্তোলন করে। -
মাধবপুরে রাস্তায় গাছ ফেলে ডাকাতি: টাকা, মোবাইল স্বর্ণালঙ্কার লুট।
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।হবিগঞ্জের মাধবপুরে তেলিয়াপাড়া চা বাগান এলাকায় রাস্তায় গাছ ফেলে ঘন্টা ব্যাপি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাতরা চা বাগানের ডিজিএমসহ কয়েকটি গাড়ী আটক করে নগদ টাকা, মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এঘটনায় এখন পর্যন্ত জড়িত কাউকে আটক করা সম্ভব হয় নাই।ভুক্তভোগীরা জানান, মাধবপুর উপজেলার সুরমা চা বাগান এলাকায় রাস্তায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে একদল ডাকাত রাস্তায় গাছ ফেলে গাড়ী আটকে ডাকাতি করে। এসময় ১০/১২ জন সংঘবদ্ধ ডাকাত ন্যাশনাল টি কোম্পানীর ডিজিএম কাজী এমদাদুল হকের গাড়ীসহ বিভিন্ন গাড়ী আটক করে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।এঘটনায় ভুক্তভোগী লস্করপুর ভ্যালি চেয়ারম্যান ও ন্যাশনাল টি কোম্পানীর ডিজিএম এমদাদুল হক জানান, রাতে আমার পরিবার নিয়ে তেলিয়াপাড়া চা বাগান থেকে যাওয়ার পথে ডাকাতরা রাস্তায় গাছ ফেলে গাড়ী আটক করে। পরে আমাদেরকে গাছের সাথে বেঁধে নগদ টাকা,স্বর্ণালঙ্কার মোবাইলসহ জরুরী জিনিসপত্র নিয়ে গেছে।আরেক ভুক্তভোগি শাহজাহানপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পারভেজ চৌধুরী বলেন, আমরা ওই এলাকায় যাওয়ার সময় তেলিয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ীর আইসিকে অবগত করে গেলেও তিনি আমাদের নিরাপত্তায় কোন ব্যবস্থা নেয় নি।পরবর্তীতে খবর পেয়ে তেলিয়াপাড়ায় পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) অনিক চন্দ দেবসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( মাধবপুর-চুনারুঘাট সার্কেল) নির্মলেন্দু চক্রবর্তীসহ পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনার পরপরই আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। আসামীদের সনাক্ত করে আটকের চেষ্টা চলছে।মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রকিবুল ইসলাম খাঁন বলেন, ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং আসামিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।