Author: admin

  • কানাইঘাটের রায়গড় গ্রামে মাওলানা হুছামুদ্দীন ফুলতলীর উঠান বৈটক।

    কানাইঘাটের রায়গড় গ্রামে মাওলানা হুছামুদ্দীন ফুলতলীর উঠান বৈটক।

    মিজানুর রহমান (লাভলু)কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ

    আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৫ (কানাইঘাট-জকিগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা মোঃ হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলীর কেটলি মার্কার সমর্থনে রায়গড় গ্রামে রাত ৭ টার দিকে উঠান বৈটক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে কানাইঘাট পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ড রায়গড় গ্রামে কেটলি মার্কার সমর্থনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা মোঃ হুছামুদ্দীন এর ডাকে আয়োজন করা হয়।
    এ সময় আনজুমানে আল-ইসলাহ, তালামীযে ইসলামিয়ার নেতৃবৃন্দ সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, আলিম-উলামা সহ নানা শ্রেণি-পেশার ভোটারদের উপস্থিতিতে মাও. হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী বলেন, অবহেলিত কানাইঘাট-জকিগঞ্জের উন্নয়ন সহ মানুষের মধ্যে ইনসাফ ও মানবতা প্রতিষ্ঠা এবং দেশের মানুষের কথাগুলো মহান জাতীয় সংসদে তুলে ধরার জন্য তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কেটলি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার পরিবার দীর্ঘদিন থেকে এ অঞ্চলের মানুষের সুঃখ, দুঃখের পাশে থাকার পাশাপাশি তিনি রাজনীতির মাধ্যমে ধর্মীয় নানা বিষয় সহ মানুষের মৌলিক অধিকারের জন্য মাঠে-ময়দানে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে নানা বিষয়ে কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে সংসদ সদস্য হিসেবে সংসদে দেখতে চেয়েছেন।নির্বাচনে প্রচারনার জন্য যেখানে যাচ্ছেন সর্বস্তরের আলিম-উলামা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের স্বতস্ফুর্ত সমর্থন পাচ্ছেন উল্লেখ করে মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হলে দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের ভোটে তিনি নির্বাচিত হবেন।
    মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী কানাইঘাটের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি নির্বাচনী উঠান বৈঠক ও মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন তিনি।

  • গোদাগাড়ীতে র‌্যাবের অভিযানে দূর্গম চরে হেরোইন দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক।

    গোদাগাড়ীতে র‌্যাবের অভিযানে দূর্গম চরে হেরোইন দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক।

    রবিউল ইসলাম,গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ

    রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার চরআষাড়িয়াদহ ইউনিয়ন’ চর হনুমন্তনগর ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ সময় রাত্রী আনুমান -০৪.১৫ মিনিটের দিকে র‌্যাব-৫ অপারেশন পরিচালনা করে হেরোইন-০৫ কেজি ২০০ গ্রাম,হেরোইন  মোবাইল-০১টি, সীম-০১ টি, ও নগদ-১,১০,০০০/- টাকা উদ্ধার করেন এবং ১। মোঃ কাজিম উদ্দিন @ তৈয়ব (৪৪), পিতা-গিয়াস উদ্দিন, ২। মোঃ জীবন আলী (১৭), পিতা-মোঃ কাজিম উদ্দিন তৈয়ব, উভয় সাং-চরহনুমন্তনগর, ইউপি-চরআষাড়িয়াদহ, থানা-গোদাগাড়ী, জেলা-রাজশাহী’কে আটক করেছে।

    র‌্যাব-৫ সূত্রে জানা যায় আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, মোঃ কাজিম উদ্দিন @ তৈয়ব এবং তার ছেলে মোঃ জীবন আলী সংঘবদ্ধ মাদক চক্রের সাথে জড়িত। আটককৃত কাজিম উদ্দিন @ তৈয়ব এর মাদকের চালান সংগ্রহ করার বাইরেও মাদক সংক্রান্ত সকল ধরণের হিসাব-নিকাশ অর্থাৎ একাউন্টেন্ট এর কাজ করত তার ছেলে মোঃ জীবন আলী। এই চক্রটির সদস্যরা এলাকায় বিভিন্ন পেশার ছদ্মবেশের আড়ালে সীমান্তের ওপার হতে
    বিপুর পরিমাণ হেরোইন চোরাচালান করে থাকে।

  • মাধবপুরে চা বাগানে বেড়াতে গিয়ে ট্রাক চাপায় শিশুর মৃত্যু।

    মাধবপুরে চা বাগানে বেড়াতে গিয়ে ট্রাক চাপায় শিশুর মৃত্যু।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে পরিবারের সাথে চা বাগানে বেড়াতে গিয়ে ট্রাক চাপায় তাশফিয়া হক (তানিশা) (৫) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। সে পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড আলাকপুর গ্রামের সৌদিআরব প্রবাসী উজ্জ্বল মিয়ার কন্যা। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা-সিলেট পুরাতন মহাসড়কের সুরমা চা বাগানের কিবরিয়াবাদ ও সাতছড়ী’র মধ্যবর্তী স্থানে চুনারুঘাট থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি বালু বোঝাই ট্রাক ( ঢাকা মেট্রো-ট- ২০-০৭৬৯) পরিবারের সাথে চা বাগানে ঘুরতে আসা তাশফিয়া হক (তানিশা)’কে চাপা দিয়ে চালক পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
    খবর পেয়ে তেলিয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই অনিক দেব এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘাতক ট্রাকটিকে ধাওয়া করলে চালক ট্রাক ফেলে পালিয়ে যায়। থানার ওসি মো: রকিবুল ইসলাম খাঁন সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করা হয়েছে।
  • ঠাকুরগাঁও-২ আসনে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি হুমকি।

    ঠাকুরগাঁও-২ আসনে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি হুমকি।

    আনোয়ার হোসেন,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ে জমে উঠেছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা। তবে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর পাল্টা পাল্টি আক্রমণাত্মক বক্তব্যে উত্তাপ ছড়াচ্ছে সমর্থকদের কাছে। আর এমন অবস্থা সৃস্টি হয়েছে ঠাকুরগাঁও-২ আসনের নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর মাঝে।
    নির্বাচনী প্রচারণার প্রথম দিন থেকেই ঠাকুরগাঁও-২ আসনের আ.লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম সুজন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক মার্কা) সদ্য পদত্যাগকৃত উপজেলা চেয়ারম্যান ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আসলাম জুয়েলের সমর্থকগন নির্বাচনী সভায় একে অপরকে হুমকি প্রদান করছেন।
    এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয় নিজ দলের নির্বাচনী প্রচারের সময় ব্যক্তিগত বিষয়গুলো নিয়েও আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিচ্ছেন এই দুই প্রার্থী।
    উভয় প্রার্থীর আক্রমণাত্মক বক্তব্য এরই মধ্যে ফেইসবুকে ছড়িয়েছে যা হুবহু তুলে ধরা হলো।
    নৌকার প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম সুজন নির্বাচনী প্রচারনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সময় থাকতে সাবধান হয়ে যাও। তোমার যদি সাহস থাকে তাহলে নিজেই ইলেকশন করো। তোমার কোন নেতা নাই, একটা নিছো তাংকুখোর, জামায়াতের লোক, বিএনপির লোক আর আওয়ামীলীগের কিছু লোক নিয়ে তুমি স্বতন্ত্র প্রার্থী দাড়ায়ছো। তোমার দৌড় কতদূর দেখবো। এখনো সময় আছে সাবধান হয়ে যাও।
    যুবলীগকে সে কুক্ষিগত করে রেখেছে। যুবলীগ যদি সে না করতো তাহলে উপজেলা নির্বাচন তো দুরের কথা চকিদারও হতে পারতো না। তোমার বাপের যা টাকা আছে আমার বাপেও তা টাকা আছে। কিন্তু তুমি পাশ করেছে রুহিয়া ডিগ্রি কলেজ থেকে আর আমি পাশ করেছি কলকাতা থেকে। আমার কাছে তোমার তুলনা চলবে না। তুমি কে তা আমি জানি।
    স্বতন্ত্র প্রার্থীকে উদ্দেশ্য করে  তিনি আরো বলেন, আমি সুজন তুমি ভুলে যেওনা। আমি এখনো আমার ভদ্রতা বজায় রেখে কথা বলছি। আমার সাথে চোখ রাঙ্গিয়ে কথা বললে ছাড় দিবো না। এটা আওয়ামী লীগের সংগঠন, বঙ্গবন্ধুর সংগঠন, শেখ হাসিনার তোমার বাবার সংগঠন না।
    অপরদিকে ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী আসিলাম নৌকার প্রার্থীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, নৌকার প্রার্থী বড় বড় কথা বলেন তিনি যখন কলকাতা থেকে বাড়িতে আসে তখন আমার পরিচয়ে পরিচিত হয়েছে। সে বড়দের সন্মান দিতে জানে না। শুধু তাই নয় সে তার বাবার পরিচয় দিয়ে চলে। তার বাবা এমপি ছিলেন তাই। তার সমর্থকরা প্রকাশ্যে হুমকি দেয় স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোট করলে তাকে নাকি দেখে নিবে। এসব হুমকি ধামকি কাজ হবে না। কারো গায়ে আচর পরলে তাকে দেখে নেয়া হবে। তাই সাবধান হতে বলেন তিনি।
    এ বিষয়ে জেলা রির্টানিং কর্তকর্তা ও জেলা প্রশাসক মাহবুবর রহমান বলেন, নির্বাচনী পরিস্থিতি যেভাবে ভাল থাকে সে অনুযায়ী আইনশৃংখলা বাহিনী কাজ করবে। প্রশাসন পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে।
  • নাগরপুরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় সমবায় কর্মকর্তাকে ইউএনও’র শোকজ।

    নাগরপুরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় সমবায় কর্মকর্তাকে ইউএনও’র শোকজ।

    আব্দুল্লাহ খিজির,স্টাফ রিপোর্টারঃটাঙ্গাইলের নাগরপুরে সমবায় কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফয়েজ হোসেন এর খেয়াল-খুশিতে চলছে উপজেলা সমবায় অফিস। এতে সেবা নিতে আসা জনসাধারণ নানা ভাবে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। অসুস্থতার অজুহাত ও কর্মসূচি পরিদর্শনের নামে অধিকাংশ সময় কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন তিনি। গত ১৬ ই ডিসেম্বর জাতীয় দিবস পালনেও অনুপস্থিত ছিলেন অনিয়মিত এই সমবায় কর্মকর্তা। এছাড়াও ১৭ ও ১৮ ডিসেম্বর সরেজমিনে গিয়েও অফিস সময়ে অনুপস্থিত পাওয়া যায় তাকে। এমন অভিযোগ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধান বলেন, সমবায় অফিস নিয়ে আমি নিজেও বিব্রত। এই অফিস সরাসরি জনসাধারণে সেবা প্রদানের সাথে সংশ্লিষ্ট বিধায় সবসময় এই অফিসের চলমান কার্যক্রম আমাদের প্রয়োজন। অথচ কর্মস্থলে সমবায় কর্মকর্তার উপস্থিতি সন্তোষজনক নয়। গত ১৬ ই ডিসেম্বর গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দিবসেও তিনি অনুপস্থিত ছিলেন না। এটি মোটেও কাম্য নয়। ফলে আমি উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ক কর্মকর্তা হিসেবে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি। এছাড়াও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। পরবর্তীতে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
    এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফয়েজ হোসেন বলেন, ১৬ ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালন উপলক্ষে করা কোনো কমিটিতে আমাকে রাখা হয় নাই। সেইদিন আমার উপস্থিত থাকা গুরুত্বপূর্ণ না বিধায় ছিলাম না অফিসে। এছাড়াও আমি অসুস্থ থাকায় কয়েকদিন অফিসে অনুপস্থিত ছিলাম। ছুটি সংক্রান্ত কাগজ ই-মেইলে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে প্রেরণ করেছি।
    উল্লেখ্য, সমবায় কর্মকর্তা ছুটি সংক্রান্ত ও যথাযথ তারিখের চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র সহ অন্যান্য কোনো কাগজপত্র প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়নি।
  • শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়-হাবিবুন নাহার।

    শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়-হাবিবুন নাহার।

    মলিক মো. জামান, রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ দরজায় কড়া নাড়ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।  সারাদেশে বইছে নির্বাচনী হাঁওয়া। জাতীয় সংসদের ৯৭ বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) সংসদীয় আসনের বাংলাদেশ আ’লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার যখন ক্ষমতায় ছিল আমাদের দক্ষিণাঞ্চলে কোন উন্নয়ন করেনি৷ তাদের দ্বারা  এ অঞ্চলের সাধারন মানুষ ছিল নির্যাতিত ও নিষ্পেষিত।

    তাদের নেতা-কর্মীরা সাধারণ মানুষের মৎস্য ঘের লুট করে নিয়ে যেত। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে আমাদের এ অঞ্চলে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।  আগের দিনে যেসব রাস্তায় বৃষ্টির সময়ে চলাচল করা যেতনা, আজ সেখানে পাঁকা রাস্তা শেখ হাসিনা সরকার করে দিয়েছে।
    বিএনপি জামায়াতের শাসনামলে আমাদের এ অঞ্চলে কোন মসজিদে, মন্দিরে, স্কুল, কলেজে বা অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন প্রকার সহযোগিতা তারা করে নাই।  আ’লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে কোটি কোটি টাকা আমাদের এ অঞ্চলের প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দ দিয়েছে। জনগণের দোরগোড়ায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আ’লীগ সরকারের নানামুখী উন্নয়ন পৌঁছে গেছে।
    সব মিলিয়ে আমাদের এ অঞ্চলের উন্নয়নে এক কানাকড়ি সাহায্য বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের নেই। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বিধায় আমাদের এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে।  আ’লীগ বড় রাজনৈতিক দল। দলের মধ্যে নানা কারণে নেতা-কর্মীদের মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি হতে পারে। এখন সময় উন্নয়নের তাই অতীত ভুলে গিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টানা পঞ্চমবারের মতো ক্ষমতায় আনতে হবে। শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকার প্রার্থীকে নির্বাচনে ব্যাপক ভোটার উপস্থিতির মাধ্যমে বিজয়ী করতে হবে।
    সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকাল ৪ টায় রামপালের মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নের সন্ন্যাসী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচনী জনসভায় এসব কথা বলেন আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার।
    মল্লিকেরবেড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তালুকদার মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে  আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি মোল্লা আ. রউফ, প্রচার সম্পাদক তালুকদার নাজমুল কবির ঝিলাম, কোষাধ্যক্ষ তালুকদার আব্দুল বাকী,  রামপাল উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মো. নুরুল হক লিপন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসা. হোসনেয়ারা মিলি, ইউপি চেয়ারম্যান তালুকদার সাব্বির আহমেদ, মো. আব্দুল্লাহ ফকির, জেলা পরিষদ সদস্য শেখ মনির আহমেদ প্রিন্স, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান।
    এসময় মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও অসংখ্য সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
  • মাধবপুরে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন-প্রশাসন নিরব। 

    মাধবপুরে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন-প্রশাসন নিরব। 

    নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
    হবিগঞ্জের  মাধবপুরে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে দেদারছে  বিক্রি করছে  বিএনপি’র এক প্রভাবশালী নেতা। দীর্ঘদিন যাবত প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করলেও স্থানীয় প্রশাসন রয়েছে নিরব। প্রশাসন থেকে বলা হচেছ তদন্ত করে নেওয়া হবে ব্যবস্থা। দীর্ঘদিন যাবত প্রকাশ্যে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করলে প্রশাসন কেন এতদিন অভিযান করেনি তা নিয়ে সচেতন মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
    মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া বাস স্ট্যান্ড থেকে খড়কি যাবার পথে নারায়নপুর নামক স্থানে একটি পুকুর থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে উপজেলা বিএনপির এক প্রভাশালী নেতা আদম খা। প্রতিদিন সেখান থেকে ২০/৩০ গাড়ি বালু বিক্রি হয়।
    সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, পুকুরে ড্রেজার মেশিননটি চালু রয়েছে। উপরে একটি স্থানে বালু এসে ভরাট হচ্ছে। সেখান থেকে কয়েকজন ট্টাকে বালু লোড করছে। শ্রমিকরা জানায়, প্রতি ট্টাক বালু ১ হাজার টাকা দিয়ে তারা কিনেছে। কোন রয়েলটি ( সরকারি  রাজস্ব) দিতে হয় কিনা জানতে চাইলে তারা জানায় এখান থেকে বালু নিলে কোন রয়েল টি লাগে না।
    এই ব্যাপারে পুকুরের আদম খা জানান, তিনি মৌখিক ভাবে অনুমতি নিয়েছেন বালু উত্তোলন করার।
    এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) রাহাত বীন কুতুবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তদন্ত পূর্বক বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম ফয়সালের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি জানা ছিল না। শিঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • মাধবপুরে স্টার সিরামিক ফ্যাক্টরীতে আগুন।

    মাধবপুরে স্টার সিরামিক ফ্যাক্টরীতে আগুন।

    নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে স্টার সিরামিক ফ্যাক্টরীতে অগ্নিকন্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিক ভাবে জানা যায়নি।
    স্থানীয়রা জানান, রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় কোম্পানীর ক্যামিকেল গোডাউনের মৌল্ডিং ডিজাইন সেকশনে হঠাৎ করে আগুনের সুত্রপাত দেখতে পায় শ্রমিকরা। মূহুর্তের মধ্যেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ, মাধবপুরের ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানা যায়নি। শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আরিফুল ইসলাম জানান, আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হই। তিনি বলেন কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা তদন্ত শেষে জানা যাবে। এছাড়া কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে এই মুহুর্তে নির্ধারণ করা যাচ্ছে না।
  • মহান বিজয় দিবস উৎযাপন করেন ডাংধরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ।

    মহান বিজয় দিবস উৎযাপন করেন ডাংধরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ।

    ফরিদুল ইসলাম,দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি: ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উৎযাপন করেন ডাংধরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন।
    শনিবার ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৯টা ১ মিনিটে ডাংধরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। ডাংধরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আঃ গফুর আর্মী এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ মোসাদ্দেক হোসেন, ডাংধরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ডাঃ গোলাম মাহমুদ, সাবেক সভাপতি ও ডাংধরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আজিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান মনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ জালাল প্রমূখ।
    এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এসময় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।
    এর পর দলীয় কার্যালয়ের সামন হতে বিজয় র্যালি কাউনিয়ারচর বাজার ও মেইন রাস্তার মোড় সমূহে প্রদক্ষিণ শেষে কাউনিয়ারচর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে শেষ হয়।
    একই ভাবে সকাল ১০ টায় ডাংধরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আজিজুর রহমান এর নেতৃত্বে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়। এসময় ডাংধরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য গণ সহ সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
  • মাধবপুরে চা বাগানে চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনায়  ডাকাত দলের ৯ গ্রেফতার।

    মাধবপুরে চা বাগানে চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত দলের ৯ গ্রেফতার।

    নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি। 
    হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সুরমা চা বাগানে সংগঠিত দুর্ধর্ষ ডাকাতি ঘটনায় ডাকাত দলের মূলহোতা ও লুণ্ঠিত মালামালসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৯ ও মাধবপুর থানার পুলিশ । গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের রোবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে হবিগঞ্জ জেল কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চানপুর গ্রামের আবু জাহের শুক্কর মিয়ার পুত্র এমদাদুল হক মিলন( রিপন মিয়া) (৩৮), একই গ্রামের মোঃ শফিকুল ইসলামের পুত্র মোঃ নাজমুল ইসলাম নাজমুল (৩১), আবু সাঈদের পুত্র মোঃ হৃদয় মিয়া (২৮), হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়নের বারাচান্দিড়া গ্রামের মৃত ফজলুল হক এর পুত্র মো: রমজান মিয়া (৩২), একই উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের হবিবপুর গ্রামের মৃত তাজুল ইসলাম এর পুত্র মো: রুবেল মিয়া (২৫), শাহজাহানপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের মৃত নানু মিয়ার পুত্র মো: কামাল মিয়া(২৭), মাধবপুর পৌরসভার মেরাগাছ এলাকার মো: ছুরুক মিয়ার পুত্র মো: শাব্বাশ মিয়া(২০) ও জাহের মিয়ার পুত্র স্বপন মিয়া(২১) এবং পূর্ব মাধবপুর গ্রামের মো: ছাবেদ আলীর পুত্র মো: শামীম হোসেন ইমরান (২১) । মাধবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমান জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে ও শনিবার দিনব্যাপী মাধবপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয় ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। র‍্যাব ৯ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মশিহুর রহমান সোহেল জানান, গত শুক্রবার দুপুরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-৯, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোম্পানি কমান্ডারের নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করে মাধবপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। উল্লেখ্য গত বুধবার( ১২ ডিসেম্বর) মাধবপুর উপজেলার সুরমা চা বাগান এলাকায় ঢাকা সিলেট পুরাতন মহাসড়ক থেকে তেলিয়াপাড়া চা বাগানে যাওয়ার ফাঁড়ি রাস্তায় গাছ ফেলে রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত দেড় ঘন্টা ব্যাপি ডাকাতি সংগঠিত হয়। এসময় ন্যাশনাল টি কোম্পানির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এমদাদুল হক মিঠু ও তার পরিবার এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী সহ ২০/২৫ জনকে অস্ত্রের মুখে আটক করে হাত পা মুখ বেধে সবকিছু নিয়ে যায় ১৫/১৬ সদস্যের ডাকাতদল। পরবর্তীতে ওই ঘটনায় ১৩ ডিসেম্বর বাগানের গাড়ীর চালক বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় অজ্ঞাতনামা ১৫/১৬ জনের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করে। মাধবপুর থানার ওসি মো: রকিবুল ইসলাম খান সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ডাকাত দলের পলাতক  সদস্যদের পরিচয় পাওয়া গেছে। বাকি ডাকাতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।