Author: admin
-
মৌলভীবাজারে পুনাকের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ।
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :মৌলভীবাজার জেলা শাখার “পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি” (পুনাক)এর উদ্যোগে অসহায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় পুনাক, মৌলভীবাজারের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।এসময় প্রধান অতিথি হয়ে উপস্থিত ছিলেন পুনাক, মৌলভীবাজার’র সভানেত্রী মোছাঃ শারমিন আক্তার বানু এবং অন্য সদস্যগণ শ্রীমঙ্গল স্টেশন এলাকায় ঘুরে ঘুরে অসহায় শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোঃ মনজুর রহমান পিপিএম (বার), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) জনাব মোহসিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মোহাম্মদ সারোআর আলম, সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল সার্কেল) আনিসুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলার পুনাকের সদস্যবৃন্দ এবং অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাগণ । -
জাতীয় পার্টির প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিল আ.লীগের নেতা-কর্মীরা।
আনোয়ার হোসেন,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:ঠাকুরগাও-৩ (পীরগঞ্জ-রানীশংকৈল) আসনে অবশেষে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাফিজউদ্দীন আহমেদের পক্ষে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিল আওয়ামীলীগ। বৃহস্পতিবার দুপুরে পীরগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের কার্যালয়ে পীরগঞ্জ এবং রানীশংকৈল উপজেলা আ.লীগের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে এক বর্ধিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।সভায় সভাপতিত্ব করেন সাবেক এমপি এবং পীরগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ইমদাদুল হক। সভায় সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আ.লীগের সহসভাপতি সেলিনা জাহান লিটা, পীরগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক বিপ্লব সহ দুই উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা এসময় বক্তব্য দেন।পীরগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক বিপ্লব বলেন, আ.লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠাকুরগাঁও-৩ আসনটি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাফিজউদ্দীন আহমেদকে ছাড় দিয়ে নৌকার প্রার্থী সাবেক এমপি ইমদাদুল হককে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এজন্য আমাদের কিছুটা হলেও মন খারাপ ছিল। আমাদের দলের নেতা-কর্মীরা সিদ্ধান্ত হীনতায় ভুগছিলেন। ব্যক্তিগত ভাবে কেউ কেউ জাতীয় পার্টির আবার কেউ কেউ ওয়ার্কাস পার্টির প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছিলেন। এ অবস্থায় দলের বর্ধিত সভা ডাকা হয়।সভায় সাবেক এমপি ইমদাদুল হক, সেলিনা জাহান লিটা সহ পীরগঞ্জ-রানীশংকৈলের বেশির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষায় এবং প্রধান মন্ত্রীর দিকে লক্ষ্য রেখে দলীয় ভাবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাফিজউদ্দীন আহমেদের লাঙ্গল মার্কার পক্ষে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং দলের সকল নেতা-কর্মীদের লাঙ্গল মার্কার পক্ষে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন সাবেক এমপি ইমদাদুল হক।প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার পর থেকে ঠাকুরগাঁও-৩ আসন আওয়ামীগের দখলে থাকলেও ২০০১ সালে হাত ছাড়া হয়। তখন থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত এ আসনটি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজউদ্দীন আহমদের দখলে ছিল। ২০১৪ সালে স্থানীয় আ.লীগের অসহযোগীতার কারণে আসনটি হারায় জাতীয় পার্টি। এটি চলে যায় ওয়ার্কাস পার্টির দখলে। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নানা কারণে এখানে জয় পান বিএনপি’র জাহিদুর রহমান। ২০২২ সালে বিএনপি’র সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করলে উপ-নির্বাচনে আসনটি আ.লীগের সহায়তায় আবারো পুনঃরুদ্ধার করেন জাতীয় পাটির্র হাফিজউদ্দীন আহমেদ।চলতি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন দেয়া হয় সাবেক এমপি ইমদাদুল হককে। জাতীয় পার্টি থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দীন আহমেদকে। ওয়ার্কাস পার্টি থেকে গোপাল চন্দ্র রায়কে। কিন্তু জোটগত কারণে শেষ মুহুর্তে আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়ে আ.লীগের প্রার্থী ইমদাদুল হককে প্রত্যাহার করে নেয় আওয়ামী। নির্বাচনী লড়াইয়ের মাঠে থাকে যান হাফিজউদ্দীন আহমেদ সহ ওয়ার্কাস পার্টির গোপাল চন্দ্র রায়, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের খলিলুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আশা মনি।আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়ে আ.লীগের প্রার্থীকে প্রত্যাহার করা হলেও স্থানীয় আ.লীগের নেতৃবৃন্দ জাতীয় পার্টির প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী মাঠে নামেননি। তবে কেউ কেউ নিজ উদ্যোগে জাতীয় পার্টির ও ওয়ার্কাস পার্টির প্রার্থীকে সমর্থন জানান।আ.লীগের নেতা-কর্মীদের নিজ নিজ পক্ষে নিতে জাতীয় পার্টি ও ওয়ার্কাস পার্টির চেষ্টা চালায়। শেষ পর্যন্ত আ.লীগের বর্ধিত সভায় জাতীয় পার্টির প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেয় আওয়ামীলীগ।উল্লেখ্য, এ আসনে জয় পরাজয় নির্ভর করে আ.লীগের উপর। আ.লীগ দলগত ভাবে জাতীয় পার্টিকে সমর্থন দেয়ায় লাঙ্গলের জন্য জয় লাভ করা এখন অনেকাংশেই সহজ হবে বলে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন ভোটার ও সমর্থকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৩৫৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৭৪ হাজার ৯৬৬ জন এবং মহিলা ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩৮৮ জন। -
মৌলভীবাজারে জনগণের মধ্যে জনমত তৈরির লক্ষ্যে পৌর বিএনপি লিফটের বিতরণ।
নিজস্ব প্রতিবেদক,জালাল উদ্দিন। ডামি নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের জনমত তৈরির লক্ষ্যে দেশ ব্যাপি বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান (ভিপি মিজান) এর নির্দেশনায় জেলা শহরের প্রাণ কেন্দ্র কুসুমবাগ এলাকায় দিনব্যাপী লিফলেট বিতরণ করে গণসংযো করেছেন পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির ও বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটির নেতা-কর্মীরা।বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং, পৌর-বিএনপি’র আহ্বায়ক মোঃ মুজিবুর রহমান মজনু ও পৌর-বিএনপি’র সদস্য সচিব মোঃ মনোয়ার আহমেদ রহমান এর নেতৃত্বে এ লিফলেট বিতরণ এবং গণসংযোগ করা হয়।লিফটের বিতরণ করে সাধারণ জনগণের মধ্যে জনমত তৈরির লক্ষ্যে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাউন্সিল মোঃ আনিসুজ্জামান বায়েছ, পৌর বিএনপির সিনিয়র নেতা মোঃ রুনু আহমদ, পৌর বিএনপির ৪ নং ওয়ার্ড সভাপতি মোঃ শহিদ আহমদ জুনেদ, ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ আবুল কালাম, ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মোঃ জমসেদ আলী, ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ মোঃ শামিম আহমদ, ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাসুম আহমদ, ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ মুহিবুল হাসান, পৌর বিএনপির’র মোঃ রাব্বি রহমান, মোঃ তারেক আহমদ-সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। -
বিএনপির নেতারা দেশের উন্নয়ন চোঁখে দেখতে পাননা-হাবিবুন নাহার।
মল্লিক জামান,রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ সা
রাদেশে জমে উঠেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৪। সারাদেশের সাথে তাল মিলিয়ে জাতীয় সংসদের ৯৭ বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) সংসদীয় আসনে জমে উঠেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই আসনে বিভিন্ন দলের প্রার্থী থাকলেও নির্বাচনের মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী ইজারাদার। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেছেন, দেশে যত উন্নয়ন হয়েছে তার সবকিছুই শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের অবদান। জামায়াত বিএনপি জোট সরকারের দেশের উন্নয়নে কোন ভূমিকা নেই। তারা এদেশের সর্বস্তরের জনগণকে নির্যাতন ও নিষ্পেষণ করেছে। বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের ক্যাডার বাহিনী সাধারণ মানুষের সম্পদ জোরপূর্বক দখল করেছে। বিশেষ করে সুন্দরবনের কোল ঘেঁষা বাগেরহাট-৩ আসনটি ছিল সন্ত্রাসীদের আবাসস্থল। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে এই অঞ্চলের সন্ত্রাসীদের তাড়িয়েছে। আগে রামপাল উপজেলায় মাত্র একটি ইটের রাস্তা ছিল।এখন এমন কোন রাস্তা নেই যেখানে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন পৌঁছাইনি। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকার নারী বান্ধব সরকার। বর্তমান সরকার নারীদের যত সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন তা সারাবিশ্বে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে। বিরোধী দলের নেতারা সরকারের উন্নয়ন চোঁখে দেখতে পাননা। তারা দিন- রাত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৪ বানচালের চক্রান্তে লিপ্ত আছে।তারা চায়না দেশের মানুষ সারাবিশ্বের কাছে মাথা উঁচু করে বাঁচুক। এদেশের জনগণ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়। এদেশের জনগণ আবারও আগামী ৭ই জানুয়ারি সারাদেশে শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকার প্রার্থীদের ব্যাপক ভোটার উপস্থিতির মাধ্যমে নৌকায় ভোট দিয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় আনবে।বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রামপাল উপজেলার পেড়িখালী ইউনিয়নের বড়কাঠালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার।ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো.শহীদ শেখের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইকরামুল কবীর কচির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোল্লা আ. রউফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ (অব.) মোতাহার রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, মোংলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. নুরুল হক লিপন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসা. হোসনেয়ারা মিলি, ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল্লাহ ফকির, জেলা পরিষদ সদস্য শেখ মনির আহমেদ প্রিন্স, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল আযম দ্বারা।জনসভায় উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান নাজিয়া বেগম নাজরিনা, মোংলা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. ইস্রাফিল হাওলাদার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ নুরুল আমিন, শেখ বজলুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য শেখ আব্দুস সবুর, যুবলীগ নেতা শেখ নুরনবীসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।জনসভা শুরুতে ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ড ও পাশ্ববর্তী ইউনিয়ন থেকে ৪ হাজারের বেশি মানুষ নৌকার স্লোগানে মুখরিত আনন্দ মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করে। -
রাণীশংকৈল পালিয়ে বাল্যবিয়ে করলেন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য।
আনোয়ার হোসেন,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিবাল্যবিয়ে প্রতিরোধে লড়াই করছে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ সচেতন মহল। এখন বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাহসী স্কুলছাত্রীদের নিজের বাল্যবিয়ে নিজে রোধ করার উদাহরণ অহরহ। বাল্যবিয়ে হচ্ছে-এমন খবর পেলেই ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে খবর যাচ্ছে, সেই বিয়ে বন্ধও হচ্ছে।কিন্তু একি কাণ্ড ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বাঁচোর ইউনিয়নের ? এখানকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) তুলা রায় অষ্টম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে (১৪) পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করেছেন।বিয়ের ছবি সামাজিকগনমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ওই এলাকার সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।স্থানীয়রা বলছে, একজন ইউপি সদস্য যেখানে বাল্যবিয়ে ঠেকাবেন, সেখানে ইউপি সদস্য তুলা রায় নিজে অপরাধমূলক কাজ করেছেন।স্থানীয় সূত্র জানায়, সদ্য বিয়ে করা জুই রাণী উপজেলার রাতোর ইউনিয়নের গোবিনাথপুর গ্রামের সুঠিন চন্দ্র রায়ের মেয়ে। ওই শিক্ষার্থীকে নানাভাবে ফুসলিয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন ইউপি সদস্য তুলা রায়। এর পর ওই ইউপি সদস্য গোপনে বিয়ে করেন। বর্তমানে তারা আত্নগোপনে রয়েছেন। ১৪ বছর আগে তুলা রায় প্রথম বিয়ে করেন। তার স্ত্রী ও দুই স্কুল পড়ুয়া সন্তান রয়েছে।বাল্যবিয়ের কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম দরিদ্রতা, যৌতুক, সামাজিক প্রথা, সামাজিক চাপ, অঞ্চলভিত্তিক রীতি, নিরক্ষরতা ইত্যাদি। বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির ভূমিকার কথা উল্লেখ রয়েছে। বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন-২০১৭ তে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে।সেখানে বলা হয়, ‘সরকার বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের নিমিত্ত, জাতীয়, জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা এবং স্থানীয় পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তির সমন্বয়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটি গঠন এবং উহাদের কার্যাবলি নির্ধারণ করিতে পারিবে।’স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, একজন জনপ্রতিনিধি তাঁর কর্তব্য পালন না করে বাল্যবিয়ে করে অপরাধ করেছেন। তাঁর শাস্তি হওয়া উচিত।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাল্যবিয়ে করা ইউপি সদস্য তুলা রায়ের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।এবিষয়ে রাতোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরৎচন্দ্র রায় বলেন, বাল্যবিয়ে করা দণ্ডনীয় অপরাধ। ইউপি সদস্য বাল্যবিয়ে করার বিষয়টি আমরা জানতে পেরে উভয় পক্ষকে ডাকা হলে কোন সারা পাইনি। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসিকে জানানো হয়েছে।’বাঁচোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জীতেন্দ্র নাথ বর্মন বলেন, এমন ন্যক্কারজনক ঘটনাটির আমি ধিক্কার জানাই, আমরা স্থানীয় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো’।রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান বলেন,‘বিষয়টি লজ্জাজনক।অভিযোগ পেলে ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে’। -
অটোরিকশা-ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু।
নিজস্ব প্রতিবেদক, জালাল উদ্দিন। মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ট্রাক্টর-সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে রেদোয়ানুল ইসলাম রাফি (১৯) নামে এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। ঘটনাটি বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে কুলাউড়া-রবিরবাজার সড়কের আমঝুপ নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত রেদোয়ানুল ইসলাম রাফি লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। সে উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের বুধপাশা গ্রামের হারিছ মিয়ার ছেলে।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত ৮টার সময় কুলাউড়া থেকে যাত্রী নিয়ে সিএনজি অটোরিকশাটি রবিরবাজারের দিকে যাচ্ছিলো। পথে আমঝুপ এলাকায় সিএনজিটি পৌঁছলে বিপরীতদিক থেকে আসা একটি ট্রাক্টরের সঙ্গে সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে রাফি মারা যায়।এ সময় আহতরা হলেন, পূবালী ব্যাংকের ব্রাহ্মণবাজার শাখায় ক্যাশ অফিসার ও উপজেলার পৃথীমপাশা ইউনিয়নের হোসেন আলীর ছেলে সালাউদ্দিন (৩০) টিলাগাঁও ইউনিয়নের সালন গ্রামের ভুপিকা দের মেয়ে ননি দে (৫০) এবং সিএনজি অটোরিকশার চালক রাজনগর গ্রামের জয়নাল মিয়া (৪০) আহত হন।পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন। এদিকে ঘটনার পর ট্রাক্টর নিয়ে চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ এসব তথ্য নিশ্চিত করে তিনি বলেন, আহত সবাইকে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একজনের মৃত্যু হয়। নিহত রাফির মরদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর ট্রাক্টর নিয়ে চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে। ঘাতক চালককে গ্রেপ্তারে জন্য অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। -
রামপালে আগুনে পুড়ে দোকান ভস্মীভূতঃ ৫০/৬০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি।
রামপাল(বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট দ্বারা সৃষ্ট আগুন থেকে দুইটি দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। এ অগ্নিকাণ্ডে ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৮.০০ টার দিকে উপজেলার মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নের সন্ন্যাসী বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।এ অগ্নিকাণ্ডে মাদারদিয়া গ্রামের ইসহাক হাওলাদারের ছেলে মো. আলম হাওলাদারের হার্ডওয়ারের দুইটি দোকান পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়।এ বিষয়ে আলম হাওলাদার জানান, সকালে দোকান খোলার কিছুক্ষণের মধ্যে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট দ্বারা সৃষ্ট আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আমার চিৎকারে আশেপাশের লোকে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কিছুক্ষণ পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। তারা এসে প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই অগ্নিকান্ডে আমার ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমার শেষ সম্বল দোকান হারিয়ে আমি নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। আমি সরকারের সহায়তা কামনা করি।রামপাল ফায়ার স্টেশন কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান জানান, সকালে আমরা ভুক্তভোগীর ফোন কল পেয়েই রওনা দেই। সেখানে গিয়ে দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট দ্বারা সৃষ্ট আগুনে দোকান দুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি -
সাত তারিখ সারাদিন নৌকা মার্কায় ভোট দিন-হেদায়েত আহমেদ এলান।
উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীগণ আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলা সদর থেকে একেবারে ওয়ার্ড পর্যায়ে সিরাজগঞ্জ-৪ উল্লাপাড়া সলঙ্গা আসনে দলীয় প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম এর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা,উঠান বৈঠক ও জনসভা করছেন।
দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে নির্বাচন পরিচালনায় ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে আহবায়ক কমিটি গঠন হয়েছে। এছাড়া ভোট কেন্দ্র কমিটি গঠন করা হচ্ছে । উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা কর্মীগণ দল বেধে ইউনিয়ন,ওয়ার্ড এমনকি গ্রামে গ্রামে গিয়ে দলীয় প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম এর নৌকা প্রতিকে ভোট চাইছেন।এদের সাথে দলের ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের নেতা কর্মীগণ থাকছেন। এরা ভোটারদেরকে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে উৎসাহ যোগাচ্ছেন।
বুধবার দুপুর ২ ঘটিকার সময় উপজেলার ধরাইল মাঝিপাড়া মাদ্রাসা মাঠে বাঙ্গালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক তুখোড় ছাত্র নেতা,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির সম্মানিত সদস্য,উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও সিরাজগঞ্জ-৪ উল্লাপাড়া নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সম্মানিত যুগ্ম আহবায়ক হেদায়েত আহমেদ এলান।
এ সময় তিনি উপস্থিত জনতার কাছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম শফিকে ৭ তারিখ সারাদিন নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে উল্লাপাড়া উপজেলার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আহব্বান জানান।
প্রধান অতিথি হয়ে উপস্থিত ছিলেন জনাব বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম শফি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মাহবুব সরোয়ার বকুল,উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়সাল কাদের রুমি,পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র এস এম নজরুল ইসলাম,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল সহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী।
বাঙ্গলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন মোঃসোহেল রানা,চেয়ারম্যান বাঙ্গালা ইউনিয়ন পরিষদ এবং সঞ্চলনায় ছিলেন মোঃজহুরুল ইসলাম তালুকদার,সাধারণ সম্পাদক বাঙ্গালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ।
-
আ’লীগ সরকার মৃতপ্রায় মোংলা বন্দর নতুন রুপে চালু করেছে-হাবিবুন নাহার।
মল্লিক জামান,রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৪ সন্নিকটে। সারাদেশের মতো জাতীয় সংসদের ৯৭ বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) সংসদীয় আসনে জমে উঠেছে নির্বাচন। এ আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেছেন, আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ যত উন্নয়ন চোখে দেখতে পাই, তার সবকিছুই শেখ হাসিনা সরকারের অবদান। বিএনপি জামায়াত জোট সরকার কোন উন্নয়ন করেনি এই অঞ্চলে। তারা দেশের মানুষের সম্পদ দখল করেছে। জোর পূর্বক মানুষের মৎস্য ঘের দখল করেছে। মৎস্য ঘেরের হারীর টাকা চাইতে গেলে তারা নিরীহ মানুষকে খুন করেছে। তাদের সময়ে পরিবার পরিজন নিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারেনি সাধারণ মানুষ। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মোংলা। বিএনপি জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে মোংলা বন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। বর্তমান যেখানে ইপিজেড নির্মান হয়েছে সেখানে ছিল কাঁশবন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে মোংলা বন্দরকে পুনরায় চালু করে। আগে মোংলা বন্দরে মাসে একটি জাহাজ আসতো না। এখন মোংলা বন্দরে মাসে একশো’র ও বেশি জাহাজ আসে। মোংলা বন্দরের পাশে ইপিজেড নির্মান হয়েছে। সেখানে আট হাজারেরও বেশি নারী ও পুরুষ কাজ করে। নারীদের মাথা উঁচু করে বাঁচতে শিখিয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের দেশের গর্ভবতী নারীদের অনাগত সন্তানের দায়িত্ব শেখ হাসিনা নিয়েছে। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ যত সুযোগ সুবিধা শেখ হাসিনা সরকার দেশের নারীদের দিয়েছে তা সারাবিশ্বে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে আমাদের এই দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন হয়। বিএনপি জামায়াত চায়না দেশে সুষ্ঠু ও নিরেপক্ষ নির্বাচন হোক। তারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের চক্রান্তে লিপ্ত আছে। তারা চায়না দেশের মানুষ শান্তিতে থাকুক।মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকাল ৪ টায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নের বর্ণি ছায়রাবাদ স্কুল মাঠে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার।গৌরম্ভা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তপন কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গাজী গিয়াস উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শ্যামল সিংহ রায়, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোল্লা আ. রউফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ (অব) মোতাহার রহমান, খালিদ আহমেদ, শেখ নিজাম উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ জামিল হাসান জামু, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল হক লিপন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসা. হোসনেয়ারা মিলি, ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল্লাহ ফকির, তপন কুমার গোলদার, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সেখ আব্দুস সবুর, জেলা পরিষদ সদস্য শেখ মনির আহমেদ প্রিন্স, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান।এসময় গৌরম্ভা ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ড থেকে প্রায় দুই হাজারেরও বেশি মানুষ নৌকার স্লোগানে মুখরিত মিছিল নিয়ে অনুষ্ঠানে প্রবেশ করে।অনুষ্ঠানে বক্তারা আগামী ৭ই জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে টানা পঞ্চমবারের মতো ক্ষমতায় আনার লক্ষে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহবান জানান। -
মৌলভীবাজারে ‘ইত্যাদি’ প্রচার হবে ২৯ ডিসেম্বর।
নিজস্ব প্রতিবেদক,জালাল উদ্দিন। দেশ-বিদেশের অজানা ইতিহাস, ঐতিহ্য ও শিকড়ের সন্ধানে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ধারণ করা হয় গণমানুষের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে চায়ের রাজধানী হিসেবে পরিচিত অপূর্ব সুন্দর জেলা মৌলভীবাজারে। মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে ১৮৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জে অবস্থিত কুরমা চা বাগান আবৃত মাঠে। ঘন সবুজ অরণ্য, পাহাড়ের বুকে মুগ্ধতা ছড়ানো চায়ের বাগান, লেক আর অসাধারণ নৈসর্গিক দৃশ্যের সাথে সঙ্গতি রেখে চা গাছ দিয়ে মোড়ানো মঞ্চে ধারণ করা হয় এবারের ইত্যাদি। অধিকাংশ সময়ই রাতের আলোকিত মঞ্চে ইত্যাদি ধারণ করা হলেও এই স্থানের নৈসর্গিক রূপ রাতের বেলায় দেখানো সম্ভব নয় বলে পড়ন্ত বিকেলে ধারণ শুরু হয়।অনুষ্ঠানটি ধারণ করা হয় ১৫ ডিসেম্বর। ইত্যাদির ধারণ উপলক্ষে পুরো মৌলভীবাজার জেলায় ছিল উৎসবের আমেজ। অনুষ্ঠানস্থলকে ঘিরে বসে জমজমাট মেলা। বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে দোকানীরা। ইত্যাদির শুটিং দেখতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করে। স্থানীয় প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় বিকাল ৩টা থেকে আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থলে আসতে শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় অনুষ্ঠানস্থল। আমন্ত্রিত দর্শক ছাড়াও অনেক দর্শক আশেপাশের টিলা, রাস্তা ও লেকের পাড়ে দাঁড়িয়ে ইত্যাদির ধারণ উপভোগ করেন। ধারণ চলে রাত ১১টা পর্যন্ত। তীব্র শীত উপেক্ষা করে এই দীর্ঘ সময় ধরে উপভোগ করেছেন তাদের প্রিয় অনুষ্ঠানের ধারণ। এবারের অনুষ্ঠানে মৌলভীবাজারের সন্তান কণ্ঠশিল্পী সেলিম চৌধুরী ও সিলেটের সন্তান তসিবা আঞ্চলিক ভাষায় একটি ভিন্নরকম প্রেমের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। গানটির কথা লিখেছেন রামাচরণ, সুর করেছেন আকাশ মাহমুদ।উল্লেখ্য, তসিবার প্রথম টেলিভিশন যাত্রা শুরু হয়েছিলো ইত্যাদির মাধ্যমে। এছাড়াও মৌলভীবাজারকে নিয়ে মনিরুজ্জামান পলাশের কথায়, হানিফ সংকেতের সুরে এবং মেহেদির সঙ্গীতায়োজনে একটি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছেন মৌলভীবাজারেরই স্থানীয় শতাধিক নৃত্যশিল্পী। নাচটির কোরিওগ্রাফি করেছেন খাজা সালাউদ্দিন ঝন্টু, কণ্ঠ দিয়েছেন পুলক, তানজিনা রুমা, মোমিন বিশ্বাস ও নোশিন তাবাসসুম স্মরণ। দর্শকপর্বের নিয়ম অনুযায়ী, ধারণস্থান মৌলভীবাজারকে ঘিরে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে উপস্থিত দর্শকের মাঝখান থেকে ৪ জন দর্শক নির্বাচন করা হয়। ২য় পর্বে নির্বাচিত দর্শকদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় বাঙালি ও মণিপুরী সম্প্রদায়ের কয়েকজন নৃত্য ও বাদ্যযন্ত্র শিল্পী। শেকড় সন্ধানী ইত্যাদি সবসময়ই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রচার বিমুখ, জনকল্যাণে নিবেদিত মানুষদের তুলে ধরার পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলের অচেনা-অজানা বিষয় ও তথ্যভিত্তিক শিক্ষামূলক প্রতিবেদন প্রচার করে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের পর্বেও রয়েছে কয়েকটি হৃদয় ছোঁয়া প্রতিবেদন। রয়েছে মৌলভীবাজারের উপর একটি তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন। ব্যতিক্রমী পলিথিনের হাটের উপর রয়েছে একটি জনসচেতনতামূলক প্রতিবেদন।সবশেষে রয়েছে একজন আদর্শ মায়ের হৃদয়ছোঁয়া স্বপ্নের গল্প। এবারের বিদেশি প্রতিবেদন পর্বে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অবস্থিত ‘এন সিউল টাওয়ার’-এর উপর একটি প্রতিবেদন। এছাড়াও মৌলভীবাজারের মঞ্চে যথারীতি সমসাময়িক বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে রয়েছে নানি-নাতির কথার মাতামাতি। চিঠিপত্র বিভাগে মুক্তিযুদ্ধের তথ্যচিত্র ও স্মারক সংগ্রাহক হিসাবে পরিচিত শ্রীমঙ্গলের বিকুল চক্রবর্তীর কার্যক্রম তুলে ধরে একটি প্রতিবেদন দেখানো হয়। নিয়মিত অন্যান্য পর্বসহ রয়েছে বিভিন্ন সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু সরস অথচ তীক্ষ্ণ নাট্যাংশ। খাঁটি মাটির মানুষ, নিত্যপণ্য মূল্যে নিম্নবিত্তের নাভিশ^াস, দুয়ারে খাবার-দুঃচিন্তায় অভিভাবক, তারকা বাজার, মূল্যহীনকে মূল্যবান বানানোর পরিণতি, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের করুণ হাল, ঘরোয়া অশান্তি, অযথা কথা, উপরে ওঠার শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর রয়েছে বেশ কয়েকটি নাট্যাংশ। বরাবরের মত এবারও ইত্যাদির শিল্প নির্দেশনা ও মঞ্চ পরিকল্পনায় ছিলেন ইত্যাদির নিয়মিত শিল্প নির্দেশক মুকিমুল আনোয়ার মুকিম। পরিচালকের সহকারী হিসাবে ছিলেন রানা সরকার ও মোহাম্মদ মামুন।ইত্যাদির এই পর্ব একযোগে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচার হবে আগামী ২৯ ডিসেম্বর, শুক্রবার-রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। ইত্যাদি স্পন্সর করেছে যথারীতি কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের সৌজন্যে এটি নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন।