Author: admin

  • মৌলভীবাজার-২ আসনে তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর ভোট বর্জন।

    মৌলভীবাজার-২ আসনে তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর ভোট বর্জন।

    মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনের তৃণমূল বিএনপি প্রার্থী ও সাবেক দুইবারের সংসদ সদস্য এম এম শাহীন ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে ছিলেন। এই প্রার্থী বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
    রবিবার ৭ জানুয়ারি ২০২৩ইং, ভোটের দিন বিকেল সাড়ে ৩টায় কুলাউড়া পৌর শহরের মাগুরা এলাকার তার নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের সামনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন শাহীন।
    জানা যায়, এর আধঘণ্টা আগে রাবিয়া আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে এম এম শাহীন ও আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
    এতে ওই কেন্দ্রে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
    সকালে রাবিয়া আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সস্ত্রীক ভোট দেন শাহীন। সে সময় তিনি বলেন, আমাদের কাছে গুঞ্জন রয়েছে সরকারি দলের প্রার্থী ভোটে কারচুপি ও প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করবে।
    সেন্টার দখলের চেষ্টা করবে। প্রশাসন আমাকে বার বার আশ্বস্ত করেছে। আমি শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। কিন্তু চারটার মধ্যে কোথাও কোনো বাধা এলে আমি নিজেকে প্রত্যাহার করবো।
    সেই ঘোষণা অনুসারে বিকাল চারটার কিছু সময় আগে নিজেকে ভোট থেকে সরিয়ে নেন তৃণমূল বিএনপি প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এম শাহীন।
    এ দিকে মৌলভীবাজার-৩ (মৌলভীবাজার সদর-রাজনগর) আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ আলতাফুর রহমানও আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন একই অভিযোগে।
  • রাণীশংকৈলে নীলগাই জবাই করে মাংস ভাগাভাগি করে নিলেন গ্রামবাসী।

    রাণীশংকৈলে নীলগাই জবাই করে মাংস ভাগাভাগি করে নিলেন গ্রামবাসী।

    ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলায় বিলুপ্তপ্রায় একটি নীলগাই উদ্ধার করে মাংসের জন্য জবাই করেছে এলাকাবাসী।

    রবিবার (৭ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার রাতোর ইউনিয়নের ভেলাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    স্হানীয়রা জানান রবিবার বিকালে এলাকার পুকুরপাড়ের ঝোপঝাড়ে ছোটাছুটি করছিল অপরিচিত একটি প্রাণী। গ্রামের কয়েকজনের নজরে এলে তাঁরা প্রাণীটিকে ধাওয়া করে ধরে ফেলেন। খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক গ্রামবাসী সেখানে ভিড় জমান। একসময় গ্রামবাসী প্রাণীটিকে জবাই করে মাংস খাওয়ার পরিকল্পনা করেন। এ সময় নীলগাইটি জবাই করা হয়। পরে গ্রামবাসী নীল গাইটির গোশত ভাগাভাগি করে নেয়।

    রাতোর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরৎ চন্দ্র রায় জানান, গ্রামবাসী একটি নীলগাই আটক করে জবাই করে গোশত ভাগাভাগি করে নেয় আমি শুনেছি। কাজটি তারা ঠিক করেনি। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।

    রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, নীলগাইটি জবাই দেওয়া ঠিক হয়নি। খবর পেয়ে বন বিভাগের লোককে সেখানে পাঠানো হয়েছে। তারা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

    খবর পেয়ে বন বিভাগ ও বন্য প্রাণী সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা কর্মকর্তা শাহজাহান আলী জানান, ঘটনাস্থলে আমাদের পরিদর্শন দল পাঠানো হয়েছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শ মতে ও তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    উল্লেখ -এ নিয়ে জেলায় ৮টি নীলগাই উদ্ধার হলো। যার একটিও বেঁচে নেই।

  • মৌলভীবাজার-১ আসনে জাপা মনোনীত প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন।

    মৌলভীবাজার-১ আসনে জাপা মনোনীত প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন।

    নিজস্ব প্রতিবেদক,জালাল উদ্দিন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহনের একদিন আগে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ী) আসনের জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আহমেদ রিয়াজ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
    শনিবার ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ইং, নির্বাচনের ১৮ ঘন্টা পূর্বে নিজের ফেসবুকে লাইভে এসে তিনি ফল পাল্টানোর আশঙ্কা থেকে নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেন।
    তিনি বলেন, তফশিল শুরুর পর থেকে আমি নির্দ্বিধায় নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। প্রশাসন ও পুলিশ আমাকে সহযোগিতা করেছে। কিন্তু এ আসনে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী (শাহাব উদ্দিন) হওয়ার কারণে কোন অবস্থাতেই আমাকে জয়ী হতে দিবেন না। আমি পাস করলেও ফলাফল বদল করে উনারা মন্ত্রীকে পাস করিয়ে দিবেন। এ কারণে আমি নির্বাচন বয়কট করলাম।
    সিলেটি ভাষায় ব্যাঙ্গাত্বক বক্তব্য দিয়ে এ প্রার্থী সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর আত্মীয়-স্বজন ও দলীয় কিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে তিনি এতোদিন আলোচনায় ছিলেন।
    মুঠোফোনে তিনি বলেন, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আগেই আমাকে সমর্থন দিয়েছিলেন। মন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন যে, ইউনিয়ন থেকে যে বেশী ভোট দেওয়াবে তাকে তিনি তাদেরকে পুরষ্কৃত করবেন; এ কারণে চেয়ারম্যান, মেম্বার ও নেতারা প্রতিযোগিতা শুরু করে দিয়েছেন কালকে যেকোন অবস্থাতেই তারা জয় ছিনিয়ে নেবে।
    এর আগে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আনোয়ার হোসেন মন্জু জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছেন।
    মৌলভীবাজার-১ আসনে চার প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থী সরে দাঁড়ানোয় শাহাব উদ্দিন এমপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী ময়নুল ইসলাম নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। শেষ মুহূর্তে এসে জাতীয় পার্টির নির্বাচন বয়কট করা এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যতিত অপর প্রার্থীর পরিচিতি কম থাকায় এ আসনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
  • মৌলভীবাজারে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ে গেল ভোটকেন্দ্র|

    মৌলভীবাজারে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ে গেল ভোটকেন্দ্র|

    নিজস্ব প্রতিবেদক,জালাল উদ্দিন। মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের শহরতলী সাবিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে। শুক্রবার ০৫ জানুয়ারি ২০২৪ইং, রাত ৮টার সময় এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ওই বিদ্যালয়টি মৌলভীবাজার-৩ আসনের একটি ভোটকেন্দ্র।
    সাবিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল গফফার বাবলু ও সহকারী শিক্ষক গোপন চক্রবর্তী জানান, আনুমানিক রাত ৮টার সময় দুটি মোটরসাইকেলে চার ব্যক্তি এসে একটি প্লাস্টিকের বোতল থেকে দাহ্যপদার্থ ঢেলে বিদ্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায়। আগুন দেখে এলাকার লোকজন ছুটে এসে নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে বিদ্যালয়ের তিনটি কক্ষের সামনের দরজা পুড়ে যায়। ভোটকেন্দ্রটিতে কোনও পাহারাদার না থাকায় অরক্ষিত ছিল। খবর পেয়ে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নাসরিন চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
    মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর-সার্কেল) মোঃ আজমল হোসেন বলেন, স্থানীয়দের ভাষ্যমতে চারজন দুর্বৃত্ত একটি প্লাস্টিকের বোতল থেকে দাহ্যপদার্থ ঢেলে কেন্দ্রটিতে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে গেছে। ওই বিদ্যালয়ে রাতে কোনও পাহারা ছিল না, ফলে এমন ঘটনা ঘটেছে।
    এছাড়া অন্যান্য ভোটকেন্দ্রে পাহারা জোরদার করা হয়েছে।
    জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মৌলভীবাজারের চারটি সংসদীয় আসনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র‌্যাবের চারটি টহল টিম, সেনাবাহিনীর ৫৭৫ সদস্য, ২০ প্লাটুন বিজিবি, আনসার ব্যাটালিয়নের আট টিম, ২৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, আট জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটির চার জন সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। জেলার ৬৭ ইউনিয়ন ও পাঁচ পৌরসভায় ভোটার রয়েছেন ১৫ লাখ ১৬ হাজার ৫৩৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ সাত লাখ ৬৯ হাজার ৯৪৩ ও নারী সাত লাখ ৪৬ হাজার ৬৪৮ এবং ট্রান্সজেন্ডারের পাঁচ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ৫৪৯টি ও স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে বুথ থাকবে তিন হাজার ৩০৫টি।
    মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল বলেন,‌ ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। সেখানে কেরোসিনের অস্তিত্ব রয়েছে। কেরোসিন ব্যবহার করে কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে তা তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।
  • রাণীশংকৈলে ইটভাটা বন্ধের দাবীতে জেলা প্রশাসকের বরাবরে অভিযোগ।

    রাণীশংকৈলে ইটভাটা বন্ধের দাবীতে জেলা প্রশাসকের বরাবরে অভিযোগ।

    আনোয়ার হোসেন,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি

    ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলে একটি ইটভাটা বন্ধের দাবীতে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের মহেষপুর এলাকার শতাধিক বাসিন্দা। জেলা প্রশাসক ছাড়াও ওই দরখাস্তের অনুলিপি দিয়েছেন বন পরিবেশ মন্ত্রণালয়, সচিব বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়,বিভাগীয় কমিশনার, রংপুর,বিভাগীয় বন কর্মকর্তা দিনাজপুর, জেলা শিক্ষা অফিসার,উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্থানীয় চেয়ারম্যান বরাবরে।

    অভিযোগের সাথে ওই এলাকার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইটভাটার কারণে তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা উল্লেখ্য করে ইটভাটা বন্ধের দাবী জানিয়ে প্রত্যয়ন পত্র দিয়েছেন।

    গত ১৮ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক বরাবরে দেওয়া অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, গত ৪ বছর যাবত পূর্ব মহেষপুর এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে মাহাতাব উদ্দীন ও তার ছেলে জসীম উদ্দীনসহ কয়েকজন মিলে আবাদী জমিতে জে.এম.কে  নামক ইটভাটা স্থাপন করে ব্যবসা করছে। সেখানে ইটভাটার কারণে আশপাশের আম লিচুসহ বিভিন্ন বাগানের ফল ভালো হচ্ছে না। আবাদী জমিতে ফসল ভালো হচ্ছে না। তারা অভিযোগে আরো উল্লেখ্য করেন,জে.এম.কে ভাটার পাশে ফোর স্টার নামক ইটভাটা রয়েছে। দুটি ইটভাটার কারণে এলাকার রাস্তা দিয়ে চলাচলে খুব সমস্যা হচ্ছে। তাছাড়া রাস্তার পাশে ইটভাটার মাটি স্তুপ করে রাখায় রাস্তায় গাড়ী চলাচলে ধুলোবালু সৃষ্টি হয়।

    ইটভাটা দুটির আধা কিলোমিটারের মধ্যে ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানকার শিক্ষার্থীরা বেপরোয়া ইটের গাড়ী চলাচলের কারণে রাস্তা দিয়ে চলতে নিরাপদবোধ মনে করে না। ইটভাটার ধোয়ায় বিদ্যালয়ের পরিবেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ। তাই ওই ৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা ইটভাটা বন্ধের দাবী জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরের অভিযোগের সাথে প্রত্যয়ন পত্র দিয়েছেন।

    অভিযোগকারীদের মধ্যে ১ম স্বাক্ষরকারী নুর আলম বলেন, ইটভাটার বিষাক্ত ধোয়ায় ঘরের টিন নষ্ট হয়ে যায়। রৌদে বাসাবাড়ীর কাপড়ের উপরে ছাই এসে পড়ে। ফসলের মাঠ আমের বাগানের পরিবেশ নষ্ট করেছে ইটভাটা। তিনি অভিযোগ করে বলেন, গেল বছর যেমন মাঠের ফসল ভালো হয়নি। একইভাবে আমের ফলনও খুব একটা বেশি ভালো হয়নি। তাই তিনি মহেষপুর এলাকার স্বার্থে ইটভাটা বন্ধের দাবী জানান।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জে.এম.কে ও ফোর স্টার ইটভাটা দুটি মীরডাঙ্গী বাজার থেকে মহেষপুর গ্রামের প্রবেশ পথে। এখানে এলজিইডি কর্তৃক পাকা রাস্তা রয়েছে। এ রাস্তার দু,পাশেই ইটভাটা দুটি।  রাস্তার পাশেই ইটভাটার সংরক্ষিত মাটি স্তুপ করা রয়েছে। ইটভাটার গাড়ীগুলো অনায়াসে উঠানামা করছে। গাড়ী চলাচলের সাথে সাথে ব্যাপক ধুলোবালু উড়ছে। ইটভাটা দুটির পাশে একর একর আবাদী জমি ও আম বাগান রয়েছে। কৃষি জমির ঠিক মাঝেই ইটভাটা পরিচালনা হচ্ছে।

    ফোর ষ্টার ইটভাটার স্বত্তাধিকারী হিমেল আলী বলেন, নিয়ম মেনেই ইটভাটা করা হচ্ছে। তার ইটভাটার লাইসেন্স রয়েছে।

    জেএমকে ইটভাটার স্বত্তাধিকারী জসিমউদ্দীন বলেন, উদ্যোশ্যে প্রণিতভাবে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় ধুলোবালু না উড়ানোর জন্য সব সময় পানি দেওয়া হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাণীশংকৈলের আর ১০টি ইটভাটা যেভাবে চলছে তার ইটভাটাটিও সেভাবে চলছে।

    রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, রাণীশংকৈল উপজেলায় কোন ইটভাটার লাইসেন্স নেই। লাইসেন্সহীন ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে ১টি ইটভাটায় অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে।

    ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, এ ধরনের অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • মৌলভীবাজারে ৪টি আসনে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনাই প্রার্থীদের বড় চ্যালেঞ্জ।

    মৌলভীবাজারে ৪টি আসনে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনাই প্রার্থীদের বড় চ্যালেঞ্জ।

    নিজস্ব প্রতিবেদক,জালাল উদ্দিন। মৌলভীবাজার জেলার ৪টি আসনে সাধারণ ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে আ’লীগ, স্বতন্ত্র ও ছোট দলের সবচেয়ে বড় ‘চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর তাই প্রচার প্রচারণার শেষ দিন। বৃহস্পতিবার ০৪ জানুয়ারি ২০২৪ ইং, সকাল থেকে বাসা-বাড়িতে প্রার্থীদের প্রতিনিধিসহ টিম ওয়ার্ক তৈরি করে সর্বস্তরের মানুষকে বুঝানো হচ্ছে। এছাড়াও পরিকল্পনামাফিক পৃথক পৃথক টিম সদস্য তৈরি করা হয়েছে, যাতে ভোটের দিন সকাল থেকে ভোটারদের কেন্দ্রে আনা যায়। রাজনৈতিক বিভিন্ন মহল থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
    মৌলভীবাজার-৩ (সদর-রাজনগর উপজেলা) আসনে একমাত্র আ’লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান। এই আসনে মোট ৭ প্রার্থী রয়েছেন। জেলা আ’লীগ সভাপতি নেছার আহমদ বর্তমান এমপি। রয়েছেন জেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, পৌর মেয়র মোঃ ফজলুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদ’র চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন। নৌকার প্রার্থী জিল্লুর পুরো আসন জুড়ে সভা-সমাবেশ করেছেন। কেন্দ্রে ভোটার বাড়াতে নির্ঘুম রাত পার করে তিনি এখনো বাসা বাড়িতেও দৌড়াচ্ছেন। মূলত তার নৌকা পাবার কারণেই জেলা আ’লীগের বহু নেতা তার সাথে প্রকাশ্যে আসেননি। তার বলয়ের নেতা-কর্মীরা এখনো শঙ্কায় আছেন যে, আসলেই ভোট কেন্দ্রে কেমন ভোটার উপস্থিতি হবে।
    মৌলভীবাজার-১ আসনে আ’লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য মোঃ শাহাব উদ্দিন। মৌলভীবাজার-৩ আসনে আ’লীগের মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান ও মৌলভীবাজার-৪ আসনে আ’লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক চীফ হুইপ উপাধ্যক্ষ ড. মোঃ আব্দুস শহীদের বিজয় অনেকটা সুনিশ্চিত বলা যায়। তবে কি পরিমান ভোটার আসবেন এ নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষে নেই। এদিকে, বৃহস্পতিবার জেলা শহরের বিভিন্ন পেশার প্রায় ২ ডজন ভোটারদের সাথে আলাপচারিতা হয় এ প্রতিবেদকরে। তাদের সবার প্রশ্ন কাকে ভোট দেবো? পছন্দের প্রার্থী এলে ভোট কেন্দ্রে যেতাম। কিছু ভোটার বলেন, বিএনপি নির্বাচনে এলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে অবশ্যই ভোট প্রয়োগ করতাম। আবার কিছু ভোটার জিল্লুরে খুশি।
    মৌলভীবাজার-২ আসনে নৌকার প্রার্থী কেন্দ্রীয় আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। এই আসনটিতে তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন শক্তিমান আরো তিন প্রার্থী। তিন প্রার্থীরই রয়েছে স্থানীয়ভাবে ব্যক্তি ইমেইজ ও রাজনৈতিকভাবে ব্যাপক পরিচিতি। সবমিলিয়ে মৌলভীবাজার-২ আসনে নৌকার বিজয় অনেকটা সন্দেহের মুখে রয়েছে। নৌকার প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় রয়েছেন তৃণমূল বিএনপি থেকে সোনালী আঁশ প্রতীকে এম এম শাহীন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন এই আসনের সাবেক এমপি আব্দুল মতিন। সাবেক এমপি হিসেবে এই আসনের তার রয়েছে ব্যাপক জনসমর্থন।
    এদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যন এ কে এম সফি আহমদ সলমান ওই আসনে আরেকটি ফ্যাক্টর। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
  • রাজশাহীর বাঘায় ভোটকেন্দ্রসহ দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগুন।

    রাজশাহীর বাঘায় ভোটকেন্দ্রসহ দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগুন।

    বাঘা প্রতিনিধি:বাঘা উপজেলার দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগুন লাগার খবর পাওয়া গেছে। এগুলো হলো উপজেলার আড়ানী পৌর এলাকার ঝিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাকুড়িয়া ইউনিয়নের জোতনশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ই ভোটকেন্দ্র হলেও জোতনশী বিদ্যালয়ের আগুন লাগার ভবনটি পরিত্যক্ত।

    পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রাতের কোনো এক সময়ে উপজেলার দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর আসবাব পুড়ে গেছে। এর মধ্যে আড়ানী পৌর এলাকার ঝিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আসবাবসহ শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে গেছে। অন্যদিকে জোতনশী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনে থাকা আসবাবও পুড়েছে।

    ঝিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুরাদ আলী বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁর বিদ্যালয়ের প্রহরী ফোন দিয়ে ভবনে আগুন লাগার কথা জানান। এরপর সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেখানে ছুটে যান। বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় ও আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। এতে বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষের ১৫টি চেয়ার, টেবিল, আলমারিসহ আসবাব পুড়ে গেছে। এর মধ্যে শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রও আছে। তিনি বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছেন।

    প্রধান শিক্ষক বলেন, অনেকেই বলছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে হতে পারে। কিন্তু তিনি সেখানে গিয়ে পেট্রলের আলামত পেয়েছেন। আর ওই কক্ষের পেছনের জানালার গ্রিল বাঁকানো আছে। ধারণা করা হচ্ছে, কোনো দুষ্কৃতকারী আগুন দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ করবেন। তিনি আরও বলেন, আজকের মধ্যেই সবকিছু ঠিকঠাক করা হবে। প্রশাসন বলেছে, ‘ভোট গ্রহণে কোনো সমস্যা হবে না।’

    অন্যদিকে উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের জোনতশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মী মেহেদী হাসান বলেন, তিনি ভোরে আগুন লাগার বিষয়টি টের পান। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনকে অবহিত করেন। ভবনটি দীর্ঘদিন ধরেই পরিত্যক্ত। এ সময় ভেতরে থাকা কিছু আসবাব পুড়ে গেছে। দুর্বৃত্তরা পেছনের জানালা দিয়ে আগুন ধরাতে পারে। সকালে ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসেছে।

    বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আড়ানীর ঘটনায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে আগুন লাগার খবর পেয়ে তারা সেখানে যান। তবে সেখানে এমন আলামত পাননি। এটা নাশকতাও হতে পারে। আর পাকুড়িয়ায় পরিত্যক্ত বিদ্যালয় ভবনে আগুন দেওয়া হয়। ওই ভবনের পেছন দিক থেকে কেউ আগুন দিয়েছিল বলে ধারণা ওসির। ভবনটি ভোটকেন্দ্র না বলে তিনি জানান

  • হতদরিদ্র পরিবারের ছেলে লিমন বাঁচতে চায়,বাঁচাতে সবাই এগিয়ে আসুন।

    হতদরিদ্র পরিবারের ছেলে লিমন বাঁচতে চায়,বাঁচাতে সবাই এগিয়ে আসুন।

    পীরগঞ্জ(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:মানুষ তো মানুষের জন্য, জীবন তো বাঁচার জন্য,একটু সহানুভূতি হলে ছেলেটি বেঁচে যাবে।

    এই ছোট ছেলেটির নাম লিমন বয়স ১১ বছর তার বাবা ইসাহক আলী পেশায় একজন অটো চালক গ্রাম সেতরাই,থানা :পীরগঞ্জ, জেলা: ঠাকুরগাঁও।
    পীরগঞ্জ এর ২নং কোষারানীগঞ্জ ইউনিয়ন বাসা ছেলেটার।

    আমার বাসার সাথেই তার বাসা সম্পর্কে দিক দিয়ে
    চাচাতো ভাইয়ের ছেলে। লিমন তার দুই বছরের বোনকে নিয়ে বাসার গেটের ভিতরে খেলা করতেছিল।
    এমতাবস্তায় চালক রাস্তা য় না চালিয়ে ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাড়ির গেটের পিলারে ধাক্কা মারে, ভিতরে থাকা ভাই ছোট বোনকে ছুঁড়ে দিয়ে নিজে পালানোর সময় পিলার ভেঙে তার উপরে পরে, একটি পা পুরোটাই ক্ষতবিক্ষত হয়ে আলাদা হয়ে যায়।

    সাথে সাথে পীরগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার সাথে সাথে বলে দিনাজপুর হাসপাতালে নিয়ে যেতে সেখানে পা কেটে ফেলতে বলে সবার পরামর্শ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্য নিয়ে যায় পা না কেটে ভালো একটি সিদ্ধান্ত নেয় তারা ঢাকা যাওয়ার।

    বর্তমান ঢাকা জাতীয় পঙ্গু হাসপাতাল ও পূনর্বাসন কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে একটি অপারেশনের মাধ্যমে পা জোড়া লাগানো হয়েছে । তাদের কাছে জমানো টাকা ছিল শেষ হয়ে গেছে।

    আরো কয়েকটি অপারেশন হবে যা তাদের পক্ষে এই চিকিৎসা বহন করা সম্ভব নয়। এই চিকিৎসা বহন করতে ৬/৭ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। লিমনের বাবা, মা, চাচা সমাজে সবার কাছে সাহায্য সহযোগিতা চায় তাদের একমাত্র ছেলেকে বাঁচাতে সমাজের বৃত্তবানদের সহযোগিতা চায়।

    এই দিকে ছোট লিমন হাসপাতাল বেডে শুয়ে তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আকুতি মিনতি করতেছে। তার বাবা আমাকে জোর দাবি করে বলে যে যা পারে সাহায্যের হাত টুকু যদি বাড়িয়ে দিত তবে আমার ছেলে লিমনকে ফিরে পেত তার হারানো পা সহ!!

    আমার বিকাশ ও রকেট নাম্বার👇বিকাশ ০১৭০১০১৬৯৯৯
    নগদ :০১৭৯১৮৮১৪৪৮ রুগীর চাচার👇বিকাশ+রকেট: ০১৭২৩৬৩০৭২৮

  • জনগণ দেশ কখনো পরাজিত শক্তির হাতে তুলে দেবেনা- হাবিবুন নাহার।

    জনগণ দেশ কখনো পরাজিত শক্তির হাতে তুলে দেবেনা- হাবিবুন নাহার।

    মল্লিক জামান, রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধি: আগামী ৭ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সারাদেশে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা চালিয়েছেন প্রচার প্রচারণা। প্রার্থীরা ছুটে গেছেন জনগণের দারে দারে, চেয়েছেন ভোট। সারাদেশের মতো জাতীয় সংসদের ৯৭ বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) সংসদীয় আসনেও এর ব্যতিক্রম নয়। এই আসনে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দলের পাঁচজন ও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা তালুকদার আব্দুল খালেকের পত্নী বেগম হাবিবুন নাহার। 

    নির্বাচনী জনসভায় উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে পৃথিবীর মানচিত্রে ক্ষুদ্র বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। যারা এ দেখে জ্বালাও-পোড়াও অগ্নিসংযোগ করে, রেললাইনের ফিসপ্লেট তুলে এরা পরাজিত শক্তির দালাল, পরাজিত শক্তির দোসর। এদের বাংলাদেশর রাজনীতি করারই কোন অধিকার নেই।  খুনি, সন্ত্রাসী,  জঙ্গি, দুর্নীতিবাজ এদের বাংলাদেশে কোন স্থান সাধারণ জনগণ দিবেনা।

    তিনি আরও বলেন যে, বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ,  বাংলাদেশের মানুষ তাদের অধিকার, ভোটের অধিকার প্রয়োগ করবে। জনগণ শান্তিতে বাস করবে। উন্নত জীবন পাবে এটাই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য। 

    তিনি আরও বলেন যে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে মানুষ সেবা পায়। এখন মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা প্রতিটি মৌলিক অধিকার শেখ হাসিনা জনগণকে নিশ্চিত করেছে। আজ সারাবিশ্বে   বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। এই সম্মানটা দিতে পারে না আমাদের দেশের কিছু কুলাঙ্গার। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যেমন ওই হানাদার বাহিনীর দোসর দোসর যারা ছিল, এরাই তাদের পেতাত্মা হয়ে সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে মানুষ হত্যা করে যাচ্ছে এবং হত্যার পরিকল্পনায় লিপ্ত আছে। 

    তিনি আরও বলেন যে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার নারী বান্ধব সরকার। শেখ হাসিনা দেশের নারীদের যত সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন তা সারাবিশ্বে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে। শেখ হাসিনা নারীদের মাতৃত্বের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। নারীদের অনাগত সন্তানের দায়িত্ব শেখ হাসিনা নিয়েছে। 

    আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের কথা বলতে গেলে বলে শেষ করা সম্ভব নয়। বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে এই অঞ্চলে মাত্র একটি ইটের রাস্তা ছিল। আমাদের বাগেরহাট-৩ আসনের প্রধান আয়ের উৎস মৎস্য ঘের। বিএনপি জামায়াতের ক্যাডার বাহিনী সাধারণ মানুষের মৎস্য ঘের দখল করে নিতো। সাধারণ মানুষ ঘেরের হারীর টাকা চাইতে গেলে তাদের হামলার শিকার হতে হত, অনেককে তারা খুনও করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাসের জনপদকে শান্তির জনপদে রূপান্তরিত করেছে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মোংলা,  বিএনপি ক্ষমতায় এসে মোংলা বন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে মৃতপ্রায় মোংলা বন্দর পুনরায় সচল করেছে। মোংলা বন্দরের পাশে ছিল কাঁশবন, শেখ হাসিনা সেই কাঁশবনকে ইপিজেডে রূপান্তরিত করেছে।  আমাদের অঞ্চলের আট হাজারেরও বেশি নারী পুরুষ সেখানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।

    দেশের মানুষ এখন সচেতন, মানুষ স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে। তাই দেশকে আর কখনো পরাজিত শক্তির হাতে তুলে দেবেনা জনগণ। আগামী ৭ই জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সারাদেশে শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকার প্রার্থীদের ব্যাপক ভোটার উপস্থিতির মাধ্যমে নৌকায় ভোট দিয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনবে।বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রামপাল উপজেলার রামপাল সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত ঐতিহ্যবাহী ঝনঝনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার।

    ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আরাফাত হোসেন কচির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জালাল উদ্দীন দুলালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. ড. এ কে আজাদ ফিরোজ টিপু, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সাইফুল ইসলাম,  উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ (অব.) মোতাহার রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জামিল হাসান জামু, ভাইস চেয়ারম্যান মো. নুরুল হক লিপন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসা. হোসনেয়ারা মিলি, ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল্লাহ ফকির, তপন কুমার গোলদার,  যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সেখ আব্দুস সবুর,  জেলা পরিষদ সদস্য শেখ মনির আহমেদ প্রিন্স,  আওয়ামী লীগ নেতা শেখ শরিফুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান প্রমুখ। 

    এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোল্লা আ. রউফ,  উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ খালিদ আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল মান্নান, ইউপি চেয়ারম্যান সুলতানা পারভীন ময়না, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গাজী গিয়াস উদ্দিন, শেখ মোহাম্মদ আলী, গাজী আক্তারুজ্জামান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরান শেখসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

    নির্বাচনী জনসভা শুরুর আগে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও পাশ্ববর্তী ইউনিয়ন থেকে জয় বাংলা, জিতবে আবার নৌকা স্লোগান নিয়ে হাজার হাজার মানুষ মাঠে প্রবেশ করে। এসময় নির্বাচনী জনসভার  মাঠ সাধারণ মানুষে কানায় কানায় পূর্ণ হয়। নৌকা প্রার্থীর জনসভায় ৭ থেকে ৮ হাজার নৌকার সমর্থক উপস্থিত হয়েছে বলে ধারণা করা  হচ্ছে। 

    (more…)

  • মৌলভীবাজারে স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ ও বিক্ষোভ মিছিল।

    মৌলভীবাজারে স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ ও বিক্ষোভ মিছিল।

    নিজস্ব প্রতিবেদক,জালাল উদ্দিন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মৌলভীবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান (ভিপি মিজান) এর নির্দেশে, ডামি নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের জনমত তৈরীর লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।
    বুধবার ০৩ জানুয়ারি ২০২৪ ইং, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল মৌলভীবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে ১নং খলিলপুর ইউনিয়ন ও ২নং মনুমুখ ইউনিয়নে লিফলেট বিতরণ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দল মৌলভীবাজার জেলা শাখার সদস্য সচিব মোঃ আহমদ আহাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সদস্য মোঃ আবু বক্কর তালুকদার, মোঃ আব্দুস শহীদ, যুগ্ন আহবায়ক মোঃ আব্দুল হান্নান, যুগ্ন আহবায়ক মোঃ আব্দুল মমিন, যুগ্ন আহবায়ক মোঃ আমিনুল ইসলাম সাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মোঃ জাকির হোসেন সাফিন, শেখ আবেদ আলী, থানা বিএনপি’র সদস্য মোঃ টিটু মিয়া, শেখ মহসিন, মোঃ আরশ আলী, মোঃ মুকাব্বির, মোঃ শাহেদ-সহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
    অন্যদিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মৌলভীবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সংগ্রামী আহবায়ক জিএম এ মোক্তাদির রাজুর নেতৃত্বে বুধবার ০৩ জানুয়ারি ২০২৪ ইং, মৌলভীবাজার সদরের বিভিন্ন স্থানে ডামি নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে জনমত তৈরীর লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ, জনসংযোগ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে মৌলভীবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা।