Author: admin
-
হাড় কাঁপানো শীতে কাবু রাণীশংকৈলের জনজীবন।
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়েছেন রাণীশংকৈল উপজেলারদুস্থ ও হতদরিদ্র মানুষ। হিমেল হাওয়া, কুয়াশা আর শীতের তীব্রতার কারণে ঘরের বাইরে কেউ তেমন বের হচ্ছেন না। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ।শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় কুয়াশার কারণে গত পাঁচ থেকে ছয় দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল রাণীশংকৈলে।রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় বলে জানায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।শীতল সমীরণ, যা হাড় কাঁপিয়ে দিচ্ছে। গত কয়েকদিনের তুলনায় এই সপ্তাহে শীতের অনুভূতিও বেশি ছিল। কনকনে শীতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।বিশেষ করে খেটে খাওয়া ও অসহায় মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই। শীত নিবারণে মানুষকে বিভিন্ন স্থানে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। পাশাপাশি বেড়েছে সোয়েটার, জ্যাকেট, শাল-চাদর, মাফলার-কানটুপিসহ গরম জামা-কাপড়ের কদর। ফলে বাজারে গরম পোশাকের চাহিদা বেড়েছে।উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়েছেন দুস্থ ও হতদরিদ্র মানুষ। দিনভর পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে থাকে চারদিক। শীতবস্ত্রের অভাবে অনেকে কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। বেড়েছে বৃদ্ধ ও শিশুদের জ্বর, সর্দি ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগ ।নেকমরদ এলাকার খোকা মিয়া বলেন, ‘ঠান্ডা গাওত কাটি বইসোছে। ঘরোত একটা কম্বলও নাই। রাইতোত খুব কষ্ট হয়। নদী থাকি হু-হু করি ঠান্ডা বাতাস আইসে। এই ঠান্ডা শুরু হইলে হামার গরিবের কামাই কমে, কষ্ট বাড়ে।’পৌরশহরের রিকশাচালক আব্দুল মালেক বলেন, ‘কয়েক দিন থেকে ঠান্ডার কারণে সকাল সকাল দোকানপাট খুলছে না। যেখানে দুপুরের আগে আমি দেড়-দুই শ টাকা ভাড়া পাই, এখন পঞ্চাশ টাকাও হাতেআসছে না।’এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে যানবাহন। শীতে কাতর মানুষেরা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে; বিশেষ করে ছিন্নমূল মানুষগুলো শীতের তীব্রতায় দুর্ভোগে পড়েছে।কাজে বের হতে পারছে না শ্রমজীবী মানুষ। দুর্ভোগ বাড়তে শুরু করেছে হতদরিদ্র পরিবারগুলোর শিশু ও বৃদ্ধদের। বাজার ও বাস টার্মিনালে ছিন্নমূল মানুষ অতিকষ্টে শীত নিবারণ করছে।রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সামাদ চৌধুরী বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে শীতের তীব্রতা বাড়ায় সর্দি-জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে বেশি আসছেন।’যার অধিকাংশ শিশু।চিকিৎসকেরা বলছেন, শিশুদের বিষয়ে অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে হবে। নতুবা ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখা বাড়বে।তবে শীতকালীন ফসল সরিষা, গম, আলু, বেগুন, পেঁয়াজ, মরিচ ও বোরো ধানের বীজতলা শীত বা কুয়াশায় থেকে রক্ষা পেতে মাঠপর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ ও লিফলেট দেওয়ার কথা জানান রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম।ধর্মগড় এলাকার সহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ছয় দিন ধরে সূর্যের দেখা পাইনি। কুয়াশায় চারদিক অন্ধকার হয়ে আছে। এত ঠান্ডা যে, ঘরে থাকা যায় না। বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা।’উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)রকিবুল হাসান জানান, ‘দরিদ্র শীতার্তদের জন্য বরাদ্দ পাওয়া সাড়ে ৪ হাজার কম্বল বিতরণ করেছি। আরও বরাদ্দ চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হয়েছে।’ -
শ্রীমঙ্গল পৌরসভার উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ।
নিজস্ব প্রতিবেদক, জালাল উদ্দিন। চায়ের রাজধানী হিসেবে পরিচিত মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীত জেঁকে বসেছে।ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতের কারণে বিপর্যস্ত এখানকার জনজীবন। গত কয়েকদিন ধরে চলছে শীতের দাপট দেখা মিলেনি সূর্যের।ঠান্ডায় হাড় কাঁপানো এ শীতে হতদরিদ্র শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে শ্রীমঙ্গল পৌরসভা।রবিবার ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ইং, দুপুরে পৌরসভার উদ্যোগে পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে দরিদ্র মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা হয়।শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দরিদ্র শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) মানুষের হাতে তুলে দেন শ্রীমঙ্গল পৌরসভার মেয়র মোঃ মহসিন মিয়া মধু।এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জহিরুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর (প্যানেল মেয়র-১) কাজী মোঃ আব্দুল করিম, পৌর কাউন্সিলর (প্যানেল মেয়র-২) মীর এম এ সালাম, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শারমিন জাহান-সহ পৌরসভার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। -
সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান বন অধিদপ্তরের অভিযানে ১২টি বন্যপাখি অবমুক্ত।
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃবন অধিদপ্তরের অভিযানে হবিগঞ্জের মাধবপুরে ১২টি বন্যপাখি উদ্ধার করা হয়েছে। বন্যপাখি উদ্ধারের এ অভিযান চালিয়েছে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।উদ্ধারকৃত পাখিগুলো শনিবার বিকালে ৪ টায় চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) নীলিমা রায়হান এর সামনে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান ১২টি বন্যপাখি অবমুক্ত করা হয়েছে।শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ শ্রীমঙ্গল, তেলমাছড়া বিট কার্যালয়, সাতছড়ির রেঞ্জ কার্যালয়, মনতলা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের অংশগ্রহণে বন্যপাখি উদ্ধারের এ অভিযান সম্পন্ন হয়েছে। উদ্ধার অভিযানে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছে পাখি প্রেমিক সোসাইটি।জানা যায়, মাধবপুর উপজেলার পৌর এলাকা, আদাঐর ইউপির মিরাশানি ও সোনাই ইটভাটা এলাকায় যৌথ অভিযানে বিভিন্ন প্রকার পাখি, শিকারের ফাঁদ ও খাঁচা জব্দ করা হয়। এ সময় ২টি তিলা ঘুঘু, ৪টি শালিক, ৩টি দেশি টিয়া, ১টি চন্দনা টিয়া, ১টি ডাহুক, ১টি দেশি ময়না পাখি উদ্ধারসহ পাখি শিকারের অসংখ্য ফাঁদ ও খাঁচা জব্দ করা হয়।অভিযানের পর স্থানীয় মনতলা বাজারের বন্যপ্রাণী বন্যপাখি ব্যবসায়ী মালু (৫০) মিয়ার বিরুদ্ধে বন বিভাগের মামলা দায়ের প্রক্রিয়াও চলছে বলে জানা যায়।এ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গলের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা প্রকৃতি ও সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক জামিল মোহাম্মদ খান, সাতছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন, তেলমাছড়ার বিট কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ, ই-প্রেস নিউজের নির্বাহী সম্পাদক মাসুদ লস্কর, পাখি প্রেমিক সোসাইটির আহবায়ক মুজাহিদ মসি, ছাত্রলীগ নেতা শেখ মো.শাহিন উদ্দিন,সাতছড়ির বিট কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ,জুনিয়র ওয়াইল্ড লাইফ স্কাউট তাজুল ইসলাম ও বন বিভাগের সদস্য মো. ইব্রাহিম ও মোমেন মিয়া প্রমুখ।এ ব্যাপারে সহকারী বন সংরক্ষক জামিল মোহাম্মদ খান জানান, আমরা মাধবপুর এলাকায় বেশ কয়েকজন পাখি শিকারির সন্ধান পেয়েছি যারা পাখি শিকার ও বন্যপাখির অবৈধ বাণিজ্য করছে। ডিএফও মহোদয়ের নির্দেশনায় পরিচালিত অভিযানের দোষীদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী আইনে খুব দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। -
মৌলভীবাজারের শেরপুরে পৌষ সংক্রান্তি ২ দিন ব্যাপি ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা।
জালাল উদ্দিন,নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে ২ দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা শুরু হয়েছে মৌলভীবাজার জেলার শেরপুরের পশ্চিমের মাঠে।শনিবার ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ইং, ভোর থেকে শুরু হয়েছে এই মেলা। মাছের মেলাটি এখন সার্বজনীন উৎসবে রূপ নিয়েছে। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বাংলা পৌষ মাসের শেষের দিন এই উৎসব পালন করা হয়। মৎস্য ব্যবসায়ীদের দাবি অনুযায়ী দেশের সবচেয়ে বড় মাছের মেলা এটি।এটি যদিও মাছের মেলা নামে পরিচিত তথাপি মাছ ছাড়াও বিভিন্ন পসরার কয়েক হাজার দোকান বসে কুশিয়ারার নদীর তীর জুড়ে। মেলায় এখন মাছ ছাড়াও ফার্নিচার, গৃহস্থালী সামগ্রী, খেলনা সামগ্রী, নানা জাতের দেশীয় খাবারের দোকানসহ গ্রামীণ ঐতিহ্যের দোকান স্থান পায়। এছাড়া শিশুসহ সব শ্রেণীর মানুষকে মাতিয়ে তোলার জন্য রয়েছে বায়োস্কোপ ও চড়কি খেলা। পিঠা খাওয়া, ঘুড়ি উড়ানো অন্যতম।আগে এই মাছের মেলায় স্থানীয় বিভিন্ন হাওর-বাওরের, নদ-নদীর মাছ নিয়ে আসতো জেলেরা। এখন মৎস্য খামারগুলোর মাছতো আসেই। আসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মৎস্য ব্যবসায়ীদের বিরাট বিরাট বড় বড় মাছ-সহ অন্যান্য চালান। সিলেটের কুশিয়ারা নদী, সুরমা নদী, মনু নদী, হাকালুকি হাওর, টাঙ্গুয়ার হাওর, কাওয়াদিঘি হাওর, হাইল হাওরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মৎস্য ব্যবসায়ীরা বাঘ, রুই, কাতলা, বোয়াল, গজার, আইড়সহ বিশাল বিশাল মাছ নিয়ে আসেন।মাছের এ মেলায় ৫ হাজার টাকা মূল্যের কমে চাহিদার মাছ কেনা যায় না। কারণ মাছের মেলা বলে কথা। বড় ব্যবসায়ীরা সপ্তাহখানেক পূর্বে বড় বড় মাছ সংগ্রহ করতে থাকেন। সেই অনুযায়ী মাছের দাম ও হাঁকা হয়।স্থানীয় সূত্র জানা যায়, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসে আড়ত থেকে ছোট বড় অনেক জাতের মাছ নিয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়েন। মাছের গন্ধে মৌ মৌ করে ওঠে পুরো এলাকা। মেলায় ছোট আকারের মাছের দাম হাকানো হয় ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা, মাঝারি সাইজের মাছের দাম হাঁকানো হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা এবং বড় সাইজের মাছের দাম ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকাও হাঁকানো হয়।এছাড়া মেলা উপলক্ষ্যে শেরপুর, নবিগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারসহ আশেপাশের গ্রামের প্রবাসীরা প্রতিবছর মেলার জন্য দেশে এসে থাকেন। বর্তমানে এই মেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান, মুসলিমসহ সব ধর্মের মানুষের জন্য মিলনমেলা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।বিগত প্রায় ২০০ বছর ধরে সেখানে ধারাভাহিকভাবে এই মাছের মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।প্রতি বছরে ঐতিহ্যবাহী শেরপুরের মাছের মেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা মানুষ মূলত আসেন মাছ কেনার জন্য। এই মেলা বাঙালির সংস্কৃতির সাথে জড়িয়ে আছে।মাছের পাশাপাশি বিশেষ করে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন- নকশীকাঁথা, শীতলপাটি এবং কাঠের তৈরি হরেকরকমের জিনিসপত্র পাওয়া যায়। পাশাপাশি দেশেরও বিভিন্ন জায়গা থেকে বিক্রেতারা বাচ্চাদের খেলনা, টাঙ্গাইলের জনপ্রিয় জামদানী শাড়ি, বগুড়ার দই ইত্যাদি নিয়ে আসেন বিক্রি করার জন্য।পৌষসংক্রান্তি ও নবান্ন উৎসব উপলক্ষে সদর উপজেলার সত্রস্বতী পরগনার সাধুহাটি গ্রামের জমিদার রাজেন্দ্রনাথ দাম (মথুর বাবু) কুশিয়ারা তীরবর্তী তৎকালীন বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক স্থলবন্দর হিসেবে খ্যাত শেরপুরে এ মেলার প্রচলন করেছিলেন প্রায় ২ শত বছর আগে। এরই ধারাবাহিকতায় এখন পর্যন্ত অতীত ঐতিহ্যকে ধারন করে এ মেলা চলে আসছে। -
অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করার অপরাধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা।
নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।হবিগঞ্জের মাধবপুরে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলনের দায়ে এক ব্যাক্তিকে অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার( ১২ জানুয়ারি) দুপুর ২.৩০ ঘটিকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: রাহাত বিন কুতুব উপজেলায় শাহজাহানপুর ইউনিয়নের পরমানন্দপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মাটি কাটা ও পরিবহনের দায়ে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী বিল্লাল মিয়া(২৯) নামে এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: রাহাত বিন কুতুব সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। -
মাধবপুরে পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জেরে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন।
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃহবিগঞ্জের মাধবপুরে পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জেরে ফার্মেসী ব্যবসায়ী সুভাষ পাল (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১২ জানুয়ারী) সকালে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের বেঙ্গাডোবা গ্রামে এই নিহতের ঘটনা ঘটেছে।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের মৃত জয়চন্দ্র পাল এর ছেলে সুভাষ পাল (৫৩), শ্রীবাস চন্দ্র পাল (৪৫) ও সুমিত পালের মধ্যে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে সকালে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়।হাতাহাতির এক পর্যায়ে সুভাষ পাল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এতে তার মৃত্যু হয় বলে স্থানীয় লোকজন জানায়। খরব পেয়ে মাধবপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) দীন মোহাম্মদ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন।এ ব্যাপারে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ রকিবুল ইসলাম খাঁন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ সময় তিনি জানান, সুরতহাল রিপোর্ট তৈরীর জন্য ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।সত্য ঘটনা উদঘাটনের তদন্ত চলছে শেষ হলে বিস্তারিত জানা যাবে। -
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ব্যারিস্টার সুমনের পুস্পস্তবক অর্পন।
নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪,মাধবপুর-চুনারুঘাট আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমনের সমাধিতে পুস্পমাল্য অর্পন করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।আজ বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি ) সকালে ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়া এসে পৌছান এবং টুঙ্গিপাড়া পৌঁছেই তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পন করে শ্রদ্ধা জানান। এরপর তিনি ফাতেহাপাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তাঁর পরিবারের শহীদ সকল সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। সুমন বলেছেন,একজন এমপি চাইলে একজন এলাকার মানুষের ভাগ্য কতটা পরিবর্তন করতে পারে,সেটা দেখাতে চাই। ‘আগামী সপ্তাহে নির্বাচনী এলাকার চুনারুঘাট পৌর শহর ঘেষা মরা নদীর ময়লা পরিষ্কারের মধ্য দিয়ে শুরু হবে কাজ। তারপর অন্যান্য পরিবর্তনগুলো আমি সাধন করব। আমার পুরো সময়টাই (৫ বছর) চমকের ওপর থাকবে। এটা আমি দেখাব যে, একজন এমপি চাইলে একটা এলাকার মানুষের ভাগ্য কতটুকু পরিবর্তন করতে পারে।ফুটবল প্রসঙ্গে এই নতুন সংসদ সদস্য বলেন,আমার চুনারুঘাট-মাধবপুর এলাকায় ছোট ছোট প্রায় এক’শ ফুটবল মাঠ বানাতে চাই। ফুটবল খেলাটা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এবং সংসদে ফুটবল নিয়ে কথা বলতে চাই। কারণ, বাচ্চাদের ফুটবল মাঠে নিয়ে না গেলে মাদক ও মোবাইলের আসক্তি থেকে দূরে রাখতে পারবেন না। এজন্য ফুটবলটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর বাফুফেকে যতটুকু প্রেসারে রাখা যায় ততটুকুই প্রেসারে রাখতে চাই।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিচিত মুখ ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন আরও বলেন,এমপি হিসেবে শপথ গ্রহণ করে সকালে চলে আসছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা জানাতে।কারণ, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ওপর ভিত্তি করে নিজেকে সবসময় দাবি করে বলি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। এজন্য উনাকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়েই আমি আমার কাজ শুরু করতে চাই। আমি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাব।উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিচিত মুখ ও যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক হবিগঞ্জ-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীকে প্রায় এক লাখ ভোটে হারিয়ে নির্বাচিত হন তিনি। -
বেগম হাবিবুন নাহারকে চতুর্থ বারের মতো এমপি নির্বাচিত করায় রামপালে মতবিনিময় সভা।
রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ খু
লনা সিটি করপোরেশন মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, বিএনপি জামায়াতের নেতারা মিডিয়ার সামনে গনতন্ত্র নিয়ে বড় কথা বলে বেড়ান তারা এদেশের গনতন্ত্রকে কবর দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিয়েছে। বিএনপি জামায়াত জোট সরকার দ্বারা দেশের কোন উন্নয়ন হয়নি। তারা দেশের সম্পদ চুরি করে বিদেশে পাচার করছে এবং নিজেদের পকেট ভারী করছে। তিনি আরও বলেন যে, বিশেষকরে সুন্দরবনের কোল ঘেঁষা বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) সংসদীয় আসন ছিল বিএনপি জামায়াতের সন্ত্রাসীদের আবাসস্থল। আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের আয়ের প্রধান উৎস মৎস্য ঘের। তারা সাধারণ মানুষের মৎস্য ঘের জোরপূর্বক দখল করে নিতো। সাধারণ মানুষ মৎস্য ঘেরের হারীর টাকা চাইতে গেলে তাদের নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করতো।তিনি আরও বলেন যে, ১৯৯১ সালে আমি এ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে এমপি নির্বাচিত হই সেসময়ে বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকায় আমাকে কোন কাজ করতে দেওয়া হয়নি। এ এলাকার মৎস্য ঘেরগুলো তাদের উশৃঙ্খল লোকজন সাধারণ মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে দখল করে নেয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে এ আসন থেকে জনগণ আমাকে আবারও এমপি নির্বাচিত করে। এরপর আমি সরকারের সহায়তায় এ অঞ্চলের সন্ত্রাসীদের বিতাড়িত করতে শুরু করি। যে সকল মৎস্য ঘের বিএনপি জামায়াতের সন্ত্রাসীরা দখল করে রেখেছিল আমি তাদেরকে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেই। পাশাপাশি প্রকৃত জমির মালিকদের নিজ জমি ভোগদখল করতে সহযোগিতা করি। এর ফলে আস্তে আস্তে জমির প্রকৃত মালিকেরা তাদের অধিকার ফিরে পায়। এছাড়া রামপাল মোংলায় যারা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল তাদেরকে আমি এই এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেই। জোট সরকার ক্ষমতায় এসে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মোংলাকে পুরোপুরি অচল করে রেখেছিল জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে মৃতপ্রায় মোংলা বন্দরকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিনত করেছে। পাশাপাশি এ অঞ্চল ইপিজেডসহ নানা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে সহায়তা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।তিনি আরও বলেন যে, আমাদের সবাইকে রামপাল মোংলার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। কেউ যেন কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন না করতে পারে, এ বিষয়ে তিনি সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহবান জানান। কেউ এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্টের চেষ্টা করলে প্রশাসনকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১ টায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৪ এ বাগেরহাট-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী বেগম হাবিবুন নাহারকে বিপুল ভোটে চতুর্থ বারের মতো এমপি নির্বাচিত করায় রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা তালুকদার আব্দুল খালেক।উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল ওহাবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোল্লা আ. রউফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোজাফফর হোসেন, অধ্যক্ষ মোতাহার রহমান, শেখ নিজাম উদ্দিন আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অতীন্দ্রনাথ হালদার দুলাল।অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. নুরুল হক লিপন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসা. হোসনেয়ারা মিলি, ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল্লাহ ফকির, তপন কুমার গোলদার, জেলা পরিষদ সদস্য শেখ মনির আহমেদ প্রিন্স, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গাজী গিয়াস উদ্দিন, শেখ নুরুল আমিন, গাজী আক্তারুজ্জামান, শেখ বজলুর রহমান, তাঁতী লীগের সভাপতি নাজমুল হাসান সোহাগ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান প্রমুখ।এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান মোসা. সুলতানা পারভীন, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আব্দুল মান্নান, হাওলাদার আবু তালেব, সিরাজুল আযম দ্বারা, ইকরামুল হক কচি, আরাফাত হোসেন কচি, শেখ শরিফুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। -
রামপালে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত।
রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকাল ৫.০০ টায় রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে রামপাল সদর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দিবসটি উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোজাফফর হোসেনে’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন।অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসা. হোসনেয়ারা মিলি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ বজলুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল মান্নান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আকবর আলী, জেলা পরিষদ সদস্য শেখ মনির আহমেদ প্রিন্স, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. হাফিজুর রহমানসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ।আলোচনা সভা শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয় এবং দোয়া মাহফিল শেষে উপস্থিত সবার মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। -
রাণীশংকৈলে শ্মশান কালী মন্দির ভেঙে দিলেন দুর্বৃত্তরা।
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের গন্ডাবাড়ি ঝাঁবোর গ্রামের নালিশী জমিতে শ্মশান কালীসহ মন্দির ভেঙে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে এ ঘটনাটি ঘটে।
শ্মশান কালী মন্দিরের সভাপতি ও বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য খগেন রায় জানান, এ এলাকার লোকজন আজ সকালে শ্মশান কালী মন্দির ভাঙ্গার ঘটনাটি আমাকে জানালে আমি তাৎক্ষণিক বিষয়টি সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানকে অবগত করি। এবং ট্রিপল নাইন এ ফোন দিয়েছি । কালী মন্দিরটি সরকারের খাস জমিতে থাকায় কিছু দুষ্ট প্রকৃতির লোক এ জমি দখল করার জন্য এমন কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে যাচ্ছে । আমি শ্মশান কালী মন্দির ভাঙ্গার সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের শাস্তি দাবী করছি।
শ্মশান কালী মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ রায় বলেন, ‘এই মন্দিরের ছয়টি ধাম ছিল, ধাম গুলো ভাঙছে এবং প্রায় ১শ গাছ ছিল এ গাছগুলোও কাটছে।’ তিনি দু:খ প্রকাশ করে বলেন, ‘ আমরা প্রশাসনের কাছে যেনো সুবিচার পাই।’
এ বিষয়ে উপজেলার বাচোর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, আজ বুধবার সকালে জানতে পারি যে মাঠের মধ্যে থাকা শ্মশান কালী মন্দিরের মূর্তিসহ ঘরের বেড়া ভেঙে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে বিষয়টি প্রশাসনকে জানালে আজ বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসানসহ পুলিশ কর্মকর্তারা এসে পরিদর্শন করেন। তিনি আরো বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে।’
এলাকা সূত্রে জানা যায়, শ্মশানকালী মন্দিরের এ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে দুটি পক্ষের মধ্যে মামলা বিবাদ হয়ে আসছে । যার মৌজা- বাচোর, জে,এল নং- ৬১,খতিয়ান নং দাগ নং ০১ (লায়েক জঙ্গল) ৮৮ পরিমান ১.৫৮ একর জমি।
রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,’ বিষয়টি ওভাবেই রয়েছে, থানায় এখনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ‘