এম এইচ শান্ত,বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ নাব্যতা সংকটের কারণে নিদিষ্ট সময়ে মোংলা বন্দরের জেটিতে ভিড়তে পারছেনা এম,ভি এসটিএল হারভেস্ট নামক একটি বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজ। যার ফলে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আমদানীকৃত মালামাল নিয়ে গত দুইদিন ধরে বন্দরের ফেয়ারওয়ে এলাকায় বাধ্য হয়ে অবস্থান করছে বিদেশী জাহাজটি।
বিদেশী জাহাজ এম,ভি এসটিএল হারভেস্ট’র স্থানীয় শিপিং এজেন্ট কিউএনএস’র খুলনাস্থ ম্যানেজার মো: নাজমুল জানান, পানামা পতাকাবাহী এম,ভি এসটিএল হারভেস্ট ভারত থেকে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩৯শ মেট্টিক টন মালামাল নিয়ে গত সোমবার সকাল ৯টার দিকে মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়েতে আসে।
ফেয়ারওয়েতে আসার আগের দিন রবিবার জাহাজটি বন্দর জেটিতে আনার জন্য পাইলট বুকিং দেয়া হয়েছে। কিন্তু বন্দর জেটিতে পযার্প্ত পরিমাণ গভীরতা না থাকায় কর্তৃপক্ষ জাহাজটি আনতে পারছেন না। বন্দর জেটির শুধুমাত্র ৯ নম্বরে নাব্যতা রয়েছে। সেখানেও বর্তমানে আরো একটি জাহাজ রয়েছে। এছাড়া ৭ ও ৮ নম্বরেও নাব্যতা সংকট রয়েছে। ফলে সময় মত জাহাজটি জেটিতে আনতে পারছেনা বন্দর কর্তৃপক্ষ। গুরুত্বপূর্ণ রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল নিয়ে আসা জাহাজটি জেটিতে আনতে না পারায় ও দ্রুত খালাস করতে না পারলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চলমান কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়ে পড়বে।
এ মাসের ১৫ তারিখও রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল নিয়ে আরো একটি বিদেশী জাহাজ এ বন্দরে আসবে। তবে জেটিতে যে নাব্যতা সংকট রয়েছে তাতে জাহাজ আনা ও পণ্য খালাসে কি অবস্থা যে হবে তা এখন বলতে পারছিনা।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন বলেন, জেটিতে প্রতি বছরই ড্রেজিং করে নাব্যতা সংরক্ষণ করতে হয়। এবারও তা করতে গিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টিতে বিলম্ব হচ্ছে। জেটির ৯ নম্বরে নাব্যতা রয়েছে, সেখানে ৭ মিটারের জাহাজ ভিড়তে পারছে। আর সেখানে বর্তমানে একটি জাহাজও রয়েছে। বাকী ৭ ও ৮ নম্বরে ড্রেজিংয়ের জন্য ডাইক (বালু ফেলার স্থান) নিমার্ণে বন্দরের নিধার্রিত জায়গা প্রস্তুত করতে গেলে সেখানে অবৈধ ধান ক্ষেতের কারণে তা বিলম্ব হয়। আশা করছি ডিসেম্বরের মাঝামাঝি এ সমস্যা আর থাকবেনা।