রামপাল(মোংলা)প্রতিনিধিঃ মোংলায় আমন ফসলে পোকা মাকড় দমন ও রোগ প্রতিরোধে ব্যতিক্রমধর্মী কর্মসূচী চালু করেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,মোংলা,বাগেরহাট-চাষীদেরকে উদ্ধুদ্দ ও সচেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে উঠান বৈঠক, ক্যাম্পেইন, লিপলেট বিতরণ ও কৃষক সমাবেশের আয়োজন করেন। এছাড়াও ধান ক্ষেতে পোকার উপস্থিতি সনাক্ত করতে আলোর ফাঁদ স্থাপনে কৃষকদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
জানা যায়, চলতি খরিপ-২ মৌসুমে রোপান আমন ধানে বাদামী গাছ ফড়িং, পাতা মোড়ানো পোকা,ব্লাস্ট রোগ,বিএলবি রোগ ও অন্যান্য রোগ বালাই দমনে করণীয় শীর্ষক কৃষক সমাবেশ রোজ সোমবার উপজেলার পাওয়ার হাউস মোড়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস,মোংলা,বাগেরহাট- আয়োজিত এ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা,কৃষিবিদ শেখ সাখাওয়াত হোসেন।মোংলা পোর্ট পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, উত্তম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কৃষক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন,কৃষক, শাহজাহান হাওলাদার,শামীম আহসান, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সীমান্ত দাস,উপজেলা কৃষি অফিসার শেখ সাখাওয়াত হোসেন।স্থানীয় আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক,উত্তম সরকার।অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মোকাররম হোসেন।
এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ডিএই পোকামাকড়ের হাত থেকে খরিপ ২ মৌসুমে চাষাবাদ ও ফসল রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তৎ মধ্যে আলোর ফাঁদ স্থাপনের মাধ্যমে পোকামাকড়ের উপস্থিতি জরিপ কর্মসূচী মোংলায় চলমান রয়েছে। ইতি মধ্যে বিভিন্ন রোগবালই দমন ও প্রতিরোধে জৈবির পদ্ধতি ব্যবহার সম্পর্কে চাষীদেরকে সচেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে মোংলা উপজেলার- মোংলা পোর্ট পৌরসভা, সোনাইলতলা, মিঠাখালী,চাঁদপাই,বুড়িরডাঙ্গা,চিলা ও সুন্দরবন ইউনিয়নসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে কৃষক সমাবেশ ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি আরোও বলেন, রোপা আমন চাষাবাদে বাদামী গাছ ফড়িং পোকার আক্রমন সম্ভাবনা বেশি। তাই আগাম প্রস্তুতি হিসাবে কৃষি বিভাগ এ ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।