ফজল উদ্দিন,ছাতক প্রতিনিধিঃ পুলিশের পেশাগত দায়িত্ব পালন ও মাসিক অক্টোবর মাসে অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ধানক্ষেতে অজ্ঞাত নামা ব্যবসায়ি আখলাদ আলীর হত্যার রহস্য উন্মোচন এবং আসামি গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি আদায় এর জন্য পুরস্কার পেয়েছেন ছাতক থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ও গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের বিট অফিসার মামলার তদন্তকারি এসআই মহিন উদ্দিন।
মামলার দায়িত্ব গ্রহনের পর মামলা দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত করে রহস্য উদঘাটন করে আসামীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক মো.মহিন উদ্দিন ব্যবসায়ি হত্যার রহস্য ৪দিনের মধ্যে উদঘাটন করে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রথমে ২জন গ্রেপ্তার করা হয়।
গোবিন্দগঞ্জ সৈদের গাও ইউপির গোবিন্দগঞ্জনগর গ্রামে ফজলু মিয়া ছেলে আবু সুফিয়ান সোহাগ (২৬) একই ইউপি দীঘলীচাকলপাড়া গ্রামের আশরাফুল হকের ছেলে আলিম উদ্দিন(২৮) কে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার দায় স্বীকার করেছে তারা।
অভিযুক্ত আসামীরা আবু সুফিয়ান সোহাগ ও আলিম উদ্দিন আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে বলেছে,এ বিষয়টি নিয়ে আখলাদ ও সোহাগের মধ্যে টাকা ব্যাগ নিয়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পর থেকে তার পাশে আনসার মাকেটের উপর থেকে একটি দোকানে বসে সন্ত্রাসীরা ব্যবসায়ি আখলাদ কে নজর রাখে। ওই রাতে সাড়ে ১০টায় মোবাইল ফোনে কে ডেকে নেয় সোহাগ ও তার সহযোগীরা। সেখানে রাস্তা তুমুল ঝগড়া বাঁধে দু’জনের মধ্যে। একপর্যায়ে সোহাগ ও তার সহযোগীরা মিলে টাকা ব্যাগ না দেয়ায় ব্যবসায়ি আখলাদকে ছুরি ও ডেগার দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
জানা যায়,গত ১৮ সেপেম্বর রাতে গোবিন্দগঞ্জের হোছন সুপার মার্কেটের সামনে মামা ভাগিনা নামে খোলাবাজারে মুদি মালামালের ব্যবসা করতেন আখলাদ বাড়ী ফেরার পথে দূর্বত্তরা কুপিয়ে ধান ক্ষেতের জমিতে ফেলে ৫/৬ মিলে পরিকল্পিত ভাবে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় গত ২০ সেপেম্বর রাতে উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ সৈদের গাঁও ইউনিয়নের মোল্লাআতা গ্রামের নিহত আখলাদের বড় ভাই আশিক মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞতনামা আসামী করে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার দায় স্বীকার করেন ৪জন আসামি। এ মামলার দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামীদের গ্রেফতার করার ঘটনায় গতকাল শুক্রবার বিকালে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের মাসিক সভায় পুরস্কার তুলে দেন সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বিপিএম।
এ ব্যাপারে এসআই মহিন উদ্দিন জানান, থানার সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জের সঠিক নেতৃত্বের কারণে এবং ছাতকবাসীর ঐকান্তিকতার ফলস্রতিতে এ সম্মাননা পেয়েছি। এভাবেই সর্বমহলের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে সকল প্রকার অপরাধ নির্মূলে আরোও নিরংকুশ দায়িত্ব পালনে অপরাপর সহকর্মীরাও উদ্বুদ্ধ হবে।।
তার এ অভূতপূর্ব সাফল্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।