গুলিবিদ্ধ ২ যুবকের পরিচয় সনাক্ত করা হয়েছে, তারা হলেন সীমান্তবর্তী এরালীগুল গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের পুত্র আসকর আলী (২৫) একই গ্রামের আব্দুল হান্নানের পুত্র আরিফ হোসেন (২২)।
বিজিবি ও থানা পুলিশ সীমান্ত আইন মেনে নিহতদের লাশ উদ্ধারের চেষ্টায় রয়েছেন বলে বিজিবির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
নিহত আসকর ও আরিফ হুসেনের স্বজনরা জানিয়েছেন,গত মঙ্গলবার বিকেলের দিকে তারা বাড়ি থেকে বের হয়ে স্থানীয় লালবাজারে যায় এরপর তারা আর বাড়িতে ফিরেনি।
সীমান্ত এলাকার অনেকে ধারণা করছেন আসকর ও আরিফ মঙ্গলবার রাতে সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে মেঘালয় রাজ্যের উকিয়াং এলাকায় অনুপ্রবেশ করতে পারে। এসময় তাদের গুলি করে বিএসএফ অথবা ভারতীয় অস্ত্রধারী খাসিয়ারা হত্যা করে তাদের লাশ আন্তর্জাতিক সীমানার ১৩৩১ মেইন পিলারের পাশের একটি ছড়ায় ফেলে রাখতে পারে। সকালে তাদের গুলিবিদ্ধ লাশ অনেকে দেখে তাদের পরিচয় শনাক্ত করেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সকাল থেকে ২ যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ সীমান্ত এলাকায় পড়ে থাকলেও স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পের কোন কর্মকর্তা লাশ উদ্ধারের জন্য এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে জাননি। সুরইঘাট বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কামান্ডার নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি ঘটনাটি বিজিবির উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছেন। ওরা কি ভাবে মারা তা এখনো নিশ্চিত নয় বিজিবি। তবে সীমান্ত আইন মেনে বিজিবি নিহতদের লাশ উদ্ধার করবে বলে তিনি জানান।
থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম পিপিএম জানান, তিনি ২ যুবকের লাশ সীমান্ত এলাকায় পড়ে থাকার সংবাদ পেয়ে বিজিবির কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছেন। পুলিশও সেখানে গিয়েছে। তবে নিহত দুই জনের লাশ ভারতে অভ্যান্তরে হওয়ায় বিএসএফ ও বিজিবির পতাকা বৈঠকের পর তাদের লাশ উদ্ধার করা হবে।