মোস্তাফিজুর রহমান,বাঘা(রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার একটি পূজা মন্ডপের বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে কতিপয় উগ্রবাদীদের দ্বারা সাংঘর্ষিক ও ভাংচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩ টার সময় বাঘা উপজেলা সম্মমেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাপিয়া সুলতানার সভপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সভায় বাঘা উপজেলাতে যে ভাবে শান্তিপূর্ণ ও সু-শৃঙ্খল ভাবে পূজা উৎযাপিত হয়েছে, ঠিক একই ভাবে কোন প্রকার সাংঘর্ষিক ঘটনা ছাড়া সম্প্রাদায়িক শান্তি রক্ষার লক্ষ্যে সামনে হিন্দু সম্প্রদায়ের লক্ষী পূজা এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের ঈদে-মিলাদুননবী উৎযাপন করার বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক আগামী দুইদিন আরো সতর্কতা অবলম্বনে বিশেষ নির্দেশনা পালনের যে নির্দেশনা সমূহ প্রদান করেন তা নিম্ন রুপঃ
১. সকল মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র সন্ধ্যার পরে মাদ্রাসার বাহিরে ঘুরাঘুরি করা যাবে না।
২. নামাজ শেষে প্রতিটি ইমাম যেন মুসল্লীদের একে উপরের উপর হিংসা বা সহিংসতা না ঘটাই, সে সকল বিষয়ে আলোচনা করা।
৩. সকল পূজা মন্ডবসহ বিশেষ স্থানে আনসার বাহিনী রাতভর বাঁশি বাজিয়ে টহল দেওয়া।
৪. পূজামন্ডবের আসা পাশে উচ্চ স্বরে মাইক বা কোন প্রকার গান বাজনা না করা।
৫. পুজামন্ডবের আশে পাশে জরে গাড়ি চালানো যাবে না।
৬. কোন স্থানে অপরিচিত কাউকে দেখলে তার পরিচয় জান্তে চাওয়া সহ সর্বসাধারণদের সচেতনতা অবলম্বনের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এই সভাকালে উপস্থিত ছিলেন, বাঘা উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল,বাঘা পৌরসভার মেয়র আব্দুর রাজ্জাক, সকল ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলার সকল দপ্তরের প্রধান কর্মকর্তা বৃন্দ, সাংবাদিক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের স্থানীয় কডিনেটর ও সুশিল সমাজের নেতৃবৃন্দ।