ছাতক(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের ছাতকে সৈদেরগাঁও পশু উন্নয়ন কেন্দ্রের হাতুড়ে চিকিৎসক এখন কোটিপতি নীরব উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা হুমায়ুনের খুঁটির জোর কোথায় এক যুগের বেশি সময় ধরে কেন্দ্রটি ওই চিকিৎসকের দখলে ?
সম্প্রতি সময়ে এ কেন্দ্রে প্রায় ৪০ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল বখেয়া থাকার বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলা জুড়ে তোলপাড় চলছে। এ উপজেলায় ৩টি পশু উন্নয়ন কেন্দ্র থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে তিনটিই ডাক্তার বিহীন পড়ে আছে।
এই সুবাদে হাতুড়ে পশু ডাক্তার সেজে পশু উন্নয়ন কেন্দ্রের ভবন দখল করে পরিবার নিয়ে বসবাস করছে কিছু অসাধু লোক। অথচ সরকার বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করছে। এ যেনো সরাকারের মাল দরিয়ায় ঢাল। এ বিষয়ে জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হলেও কতৃপক্ষের টনক নড়েনি।
জানা যায়, উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে চিকৎিসা সেবায় স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রাণিসম্পদ অফিসের ৬টি পদ শূন্য ও ৩টি পশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ডাক্তার না থাকায় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলার লক্ষাধিক হাঁস মুরগী ও গবাদিপশু। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া, হাঁস, মোরগ, কোয়েল, কবুতরসহ অন্যান্য গৃহপালিত প্রাণীর মালিক ও ক্ষুদ্র খামারীরা।
অভিযোগ উঠেছে সৈদেরগাঁও পশু উন্নয়ন কেন্দ্রের ভবনে এক যুগের অধিক সময় ধরে হূমায়ুন নামের এক হাতুড়ে পশু ডাক্তার স্ব-পরিবারে বসবাস করে আসছেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল দুরে থাকার কারনে আবার অনেকেই চিকিৎসা সেবা না পেয়ে বাধ্য হয়ে এই হাতুড়ে ডাক্তারের শরনাপন্ন হন। কিন্ত ভুল চিকিৎসায় ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন গবাদি পশুর মালিকেরা।
সরকারী ভবনে স্ব-পরিবারে বসবাস করে কোন প্রশিক্ষন ছাড়াই ডাক্তার সেজে অবাদে চালিয়ে যাচ্ছেন ঔষধ বানিজ্য এই কথিত পশু ডাক্তার। প্রতারনা মাধ্যমে গবাদি পশুর ভুল চিকিৎসা দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছন লাখ লাখ টাকা।
সুত্র জানায়,পশু উন্নয়ন কেন্দ্রের পাশেই হুমায়ুন ক্রয় করেছেন সাড়ে ১৪ লাখ টাকায় বাসার জায়গা। অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার যোগসাজেসে হুমায়ুন এসব অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন। হুমায়ুনের বিরুদ্ধে ও পশু উন্নয়ন কেন্দ্র উদ্ধার করতে কার্যত কোন ব্যাবস্থা না নিয়ে নীরব ভূমিকা পালন করায় উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সচেতন মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
এ বিষয়ে সৈদেরগাঁও পশু উন্নয়ন কেন্দ্রে অবস্থানরত হাতুড়ে চিকিৎসক হুমায়ুন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিল অফিস দেওয়ার কথা রয়েছে।
ছাতক উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো. ইব্রাহিম মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,হুমায়ুন তিন মাসের সময় নিয়েছিলেন। কয়েকদিনের মধ্যে তিনি সৈদেরগাঁও পশু উন্নয়ন কেন্দ্রটি ছেড়ে যাবেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,বিদ্যুৎ বিল আমার হাতে আসেনাই।