মিজানুর রহমান (লাভলু) কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ
চলতী বছরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্টিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে স্থগিত করা হয়। যার কারণে সরকার এখন বর্তমান চেয়ারম্যান বৃন্দের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এদিকে তাঁর ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ এখন থেকে তাদের প্রিয় জনপ্রতিনিধিকে তাদের কাছ থেকে একদিনের জন্য ও হারাতে চাচ্ছেন না। যদিও চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হুসাইন চতুলী ইতি মধ্যে ঘোষনা দিয়েছেন জনপ্রতিনিধি হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হতে না পারলেও অত্র ইউনিয়নের মানুষের জন্য কখনো তাঁর সেবা কার্যক্রম এক মুহুর্তের জন্য ও থেমে থাকবে না।
ঘোষনায় তিনি আরো বলেন, আমি এই ইউনিয়নের মাটির কাছে চির ঋণী, আমি এই ইউনিয়নের মানুষের কাছে ঋণী- তাই আমি অত্র ইউনিয়নের মানুষের ধারে ধারে ঘুরি, কোন ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়া নেই আমার, শুধু এই ইউনিয়নের মানুষের মুখে হাশি ফুঁটাতে পারলেই নিজের স্বার্থকতা মনে করি। তাই আমি নিজেকে এই ইউনিয়নের মানুষের সেবায় উৎসর্গ করলাম। জনপ্রতিনিধি থাকি আর নাই থাকি অত্র ইউনিয়নের মানুষের জন্য আমার সেবা কার্যক্রম কখনো থেমে থাকবে না ইনশাআল্লাহ।
৫নং বড়চতুল ইউনয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হুসাইন চতুলী যে মানুষের অন্তরজুড়ে কেবল মানুষের ভালোবাসায় বিধ্যমান, যার শব্দ মালায় ধ্বনিত হয় দুঃখি মানুষের আর্তনাধ তিনিই মানবদরধী প্রকৃত মানুষ। এমনিই একজন সফল জনপ্রতিনিধি, বিশিষ্ট রাজনীতিবীধ, সমাজ সেবক, শিক্ষানুরাগী, মানবতাবাধী, জনপ্রিয় মানুষ জমিয়তে উলামা বাংলাদেশের কেন্দ্রিয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কানাইঘাট উপজেলার ৫নং বড়চতুল ইউনিয়নের জননন্দিত চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হুসাইন চতুলী।
যিনি নিজ জীবনের স্বর্ণালী দিনগুলো নিস্বার্থভাবে অতিবাহিত করেছেন মানুষের জন্য। তিনি তাঁর জীবনের দীর্ঘ সময় ৫নং বড়চতুল ইউনিয়নবাসীর একজন সেবক ও সফল জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানুষের সেবায় অতিবাহিত করেছেন। জীবনটাও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে চান এই মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিতি লাভ করা চেয়ারম্যান আবুল হুসাইন চতুলী। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি ছাত্র জমিয়তের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। সেই সূত্রেই মানুষের কাছ থেকে মানুষের সেবা করাতেই তাঁর জীবনের মূল কাজে পরিণত করেছেন। দুঃস্থ অসহায় মানুষের কাছে থেকে অনুভব করেন তিনি তাদের কষ্টের আর্থি।
জনকল্যাণ মূলক কাজের ভেতর ভূলেযান নিজের ব্যক্তি জীবনের কথা। নানা দূর্যোগের সময় মানুষের ধারে ধারে গিয়ে সাহায্য করেন।
সৃষ্টিশীল যেন কোন কাজকে জীবনের অন্যতম ব্রত মনে করেন তিনি। তিনি মনে করেন তাঁর ইউনিয়নের জনগণই তাঁর পরিবারের মানুষ। এই করোনা মহামারির সময় যেখানে অনেক জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে, পরিবারের আপন মানুষ থেকে শুরু করে অনেক ডাক্তার, অনেক রাজনীতিবীদরা মানুষের পাশে না থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে চেষ্টায় ছিল ঠিক সেইখানে মাওলানা আবুল হুসাইন চতুলী মানুষের পাশে থেকে তাদের সুখ দুঃখের সাথী হয়েছেন দিনরাত না ভেবে।
তিনি সরকারী বরাদ্ধের পাশাপাশী বিভিন্ন দাতার সংস্থার অর্থায়নে রেকর্ড পরিমাণ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছেন তাহার এলাকায়। বলা হচ্ছে কানাইঘাট উপজেলার ৫নং বড়চতুল ইউনিয়নের জনসাধারণই সবচেয়ে সাহায্য সহযোগীতা পেয়েছেন জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে। বড়চতুল ইউনিনের স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, শিক্ষা, স্বাস্থ, শিল্প, সাহিত্য, সাংস্কৃতি, ক্রিড়া অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন তাঁরই প্রচেষ্টার ফল। তাঁর হৃদয় জুড়ে শুধু ৫নং বড়চতুল ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ। তাইতো বড়চতুল ইউনিয়নবাসী আজ গর্বিত।
এ জীবনের সকল সফতার মূলে রয়েছে তার বুদ্ধিমত্তা, ধৈর্য্যর সাথে এগিয়ে চলা, সিদ্ধান্তে অবিচলতা, প্রতিকুলতা মোকাবেলা করার অতুলনীয় শক্তি ও সাহস, জনগণের সঠিক মূল্যায়নের ক্ষমতা, অসীম সাহসিকতা, মানবিকতা, ও আত্মপ্রত্যয়ের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন। অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন আল্লাহ পাকের অপার কৃপায় বিভিন্ন উন্নয়ন অবকাঠামো বাস্তবায়নের মাধ্যমে। আহলে হক্ব উলামায়ে ইসলামের আদর্শে উজ্জীবিত জমিয়তে উলামার নিবেদিত প্রাণ কর্মি হিসেবে তিনি একজন সৃজনশীল কর্মী বান্ধব দক্ষ সংঘঠক।
কানাইঘাটের ৫নং বড়চতুল ইউনিয়নের আহলে হক্ব উলামায়ে ইসলামের বা আদর্শের সংগঠন গুলোর মধ্যে প্রাণ সঞ্চার করে সংগঠনের ঐক্য, শৃঙ্খলা ও কর্ম চাঞ্চাল্য ফিরিয়ে আনেন তিনি। কর্মির প্রতি তার আন্তরিক নির্ভেজাল ভালোবাসা পূর্ণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। এ জনপ্রতিনিধি ইতি মধ্যে তারঁ নির্বাচনী এলাকার মানুষের কাছে একজন পরিক্ষিত, নিঃস্বার্থবান, ত্যাগী, কর্মপরায়ণ, স্পষ্টবাদী, ব্যক্তিগত জীবনের একজন সাহসী মানুষ হিসেবে পরিচিত ও সকলের কাছে সমাদৃত হয়েছেন।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র,শোষণ মুক্ত স্বনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণে জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং সরকারে নির্দেশনা মোতাবেক তিনি সরকারী বরাদ্ধের পাশাপাশি তার প্রত্যক্ষ পরোক্ষ অর্থায়নে তার এলাকায় করেছেন অসংখ্য উন্নয়ন কর্মকান্ড ঈদ উল ফিতরের ঈদ উপহার বিতরণ ও নগদ টাকা বিতরণ করেন। প্রতিবার ঈদ উল আযহাতে অসহায় পরিবারের মাঝে তেল ও মাংস বিতরণ করেন। বন্যায় এলাকায় পানি উঠলে ক্ষতিগ্রস্থদের খাবার বিতরণ সহ গৃহের ক্ষতিগহ্রস্থদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ ও নতুন করে গৃহ নির্মাণের মাধ্যমে পূণর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন অসংখ্য অসহায় মানুষের। জাতীয় দিবসগুলো চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হুসাইন চতুলী তাঁর ইউনিয়নের জনগণকে নিয়ে দায়িত্বের সাথে পালন করে থাকেন।
প্রতি বছর বিজয় দিবসে এলাকার সর্বস্থরের মানুষকে সাথে নিয়ে বিজয় র্যালির মাধ্যমে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন। নিউ ইয়ার ১লা জানুয়ারীতে এলাকার শিশুদের নিয়ে বই উৎসব অনুষ্টানের আয়োজন করেন তাঁর ইউনিয়নে।
এছাড়াও মাওলানা আবুল হুসাইন চতুলী চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলো যথাযোগ্য মার্যাদায় পালিত হয় এই ইউনিয়নে। ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন এলাকা সি সি ক্যামেরা দিয়ে নিয়ন্ত্রিত। তাই এই এলাকার আপামর জনসাধারণ তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে এখন অনেকটা সস্তিতে আছেন।
তার প্রচেষ্টায় বড়চতুল হাই স্কুলের চার তলা বিশিষ্ঠ নতুন বিল্ডিং স্থাপন, ছাত্রীদের আলাদা সেইফরুম নির্মাণ সহ শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত করেছেন যা অত্র এলাকার শিক্ষা বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। যেহেতু কৃষি প্রধান এলাকা এবং হাওরের নিকটতম কৃষি জমি বন্যায় প্লাবিত হওয়া থেকে বাঁচাতে হাওরাঞ্চলে কর্মসূচীর মতো মেঘা প্রজেক্ট প্রায় সাত কোটি টাকার প্রজেক্ট একজন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হয়েও অক্লান্ত পরিশ্রমে সেটা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হন।
যার ফলে ইউনিয়নটির সাতটি ওয়ার্ডের কৃষি জমি বন্যায় প্লাবিত হওয়া থেকে বাচানো সম্ভব হচ্ছে। জনগণকে বিশুদ্ধ পানি পান করানোর জন্য দুই কোটি টাকা ব্যায়ে টেস্টিং টিউবওয়েল প্রকল্প শুরু করেন। জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন স্থানীয় চতুল ঈদগাহ বাজারে। চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হুসাইন চতুলী তার ইউনিয়নে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম প্রসারিত করতে গিয়ে এতটা জনপ্রিয়তা পেয়েছেন যে তারঁ ইউনিয়নের জনগণ এবং তার জনকল্যাণমূখী কাজগুলোই তাকে মানবতার ফেরীওয়ালা হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে।
তাঁর অতিরিক্ত বরাদ্ধের অর্থায়নে গরিব মেয়েদের যৌতুক বিহীন গণবিয়ে কার্যক্রম, অসহায় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাতা সংস্থার অর্থায়নে পড়ার সুযোগ করে দেন, ঘর সংস্কার থেকে শুরু করে অসহায়দের মাঝে সেলাই মেশিন বন্টন, বিকলাঙ্গ দের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ, নৃগোষ্ঠীকে উন্নত জাতের গাভী প্রদান, তথা অসহায়দের জন্য তিনি একজন অভিবাবকের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
তার এলাকার কোন মানুষ তার কাছে গিয়ে কিছু চাওয়ার পর খালি হাতে ফিরতে হয়েছে এমন নজির নেই তিনি তার সাধ্যমতো যতটোকো পেরেছেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সবসময়। ৫নং বড়চতুল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সফল চেয়ারম্যান মরহুম আনিছুল হক এর ছোট ভাই জনাব বাবুল মিয়ার সাথে কথা হলে চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হুসাইন চতুলী একজন সফল ও আদর্শবান জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে ইতি মধ্যে প্রমানিত করেছেন।
আমাদের এই ৫নং বড়চতুল ইউনিয়নে ওনার প্রতিদন্ধী এখন তিনি নিজেই । তিনি যে পরিমান উন্নয়ন কর্মকান্ড এই মেয়াদে করেছেন, সেই তুলনায় বিগত কোন জনপ্রতিনিধি তার ধারে কাছেও পারেন নাই । শুধু তাই নয় তিনি এলাকায় মাদক নির্মূলে দৃশ্যমান সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। শিক্ষা বিস্তারে নিয়েছেন বিভিন্ন কার্যকরি পদক্ষেপ।
রাস্তা-ঘাট অবকাঠামো উন্নয়ন, নালা-নর্দমা সম্প্রসারণ করে জলবদ্ধতা নিরসনে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছেন। সি সি ক্যামেরা স্থাপন করে এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। করোনা কালে রেকর্ড পরিমান উপহার সামগ্রী বিতরণ করে মানবতার ফেরীওয়ালা হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছেন। তবুও আমরা ওনাকে একদিনের জন্য ও হারাতে চাই না। আমরা আশা করছি অতিসত্বর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের প্রিয় জনপ্রতিনিধিকে আমাদের মাঝে আবারো ফিরিয়ে আনবো ইনশাআল্লাহ। এই প্রত্যাশায় রইলাম।