অনলাইন ডেস্কঃ বাগেরহাটে বিলাস আবাসিক হোটেলে মোছাঃ নাছিমা বেগম(৩৪)নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয়েছে।পুলিশ হোটেল থেকে নিহত নাছিমার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ নিহত নারীর স্বামী রবিউল ইসলাম(২৪)কে আটক করেছে।
শনিবার ১৬ অক্টোবর দুপুরের সময় শহরের রাহাত মোড় এলাকার বিলাস আবাসিক হোটেল থেকে নাছিমার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত নাছিমা ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ত্রিবেনী দক্ষিণপাড়া গ্রামের ওয়ালীদ হোসেনের মেয়ে।
রবিউল ইসলাম একই এলাকার চতুরা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। শুক্রবার তারা দুজন স্বামীস্ত্রী পরিচয়ে আবাসিক হোটেল বিলাসে উঠেছিলো।
পুলিশের হাতে আটক রবিউল ইসলাম জানান ২০১৫ খৃষ্টাব্দে ঝিনাইদহ পলিটেকনিকে পড়ালেখার সময় স্বামী পরিত্যক্ত নাছিমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সূত্রধরে গত ২০১৫ খৃষ্টাব্দে ২ মে নাছিমার পরিবার জোরপূর্বক রবিউলের সাথে বিয়ে পড়িয়ে দেন। পরবর্তী সময়ে স্ত্রীকে নিয়ে রবিউল ইসলাম তার নিজ বাড়িতে আসেন। ২০১৬ খৃষ্টাব্দে নাছিমা রবিউলের পরিবার থেকে বাপের বাড়ি চলে গিয়ে কোর্টে স্বামীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করেন। এ সময় উভয়ের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর মধ্যে রবিউল ইসলাম দ্বিতীয় বিয়ে করে।
এ ঘটনার এক বছর পর নাছিমা ও রবিউলের মধ্যে মোবাইলে যোগাযোগ শুরু হওয়ায় দেখা স্বাক্ষাত করতে থাকে। এ সুবাদে শুক্রবারে আবাসিক হোটেল রাত যাপন করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
হোটেল ম্যানেজার হুমায়ন গণমাধ্যমকে জানান রবিউল ও নাছিমা স্বামীস্ত্রী পরিচয়ে এর আগেও আমাদের হোটেলে থেকেছে। রুমের মধ্যে কি হয়েছিলো এ ব্যাপারে আমাদের জানা নাই।
এ ঘটনা নিশ্চিত করে বাগেরহাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি কে এম আজিজুল ইসলাম জানান আবাসিক হোটেল বিলাসের একটি কক্ষে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় আমরা নাছিমার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।এ সময় তার সাথে থাকা রবিউল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসার জন্য হোটেল ম্যানেজারকে থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে।নিহতের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।