বাঘা উপজেলা (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহযোগিতায় ঋণমুক্ত হলেন বাঘার অটো রিকশা চালক জায়দা।
সম্প্রতি ‘জায়দার জীবন চিত্র তুলে ধরেথ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে পড়ে বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাপিয়া সুলতানার।
তিনি সোমবার সকালে ঝণ দেওয়া এনজিও কর্মকর্তাকে ডেকে তাঁর কার্যালয়ে উপজেলার অধিকাংশ অফিসারের সামনে জায়দা বেওয়ার এর হাতে ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা নগদ অর্থ তুলে দিয়ে এ ঝণ পরিশোধ করেন। এ সময় আবেড় আপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন জায়দা বেগম। তিনি প্রাণ ভরে দোয়া করেন নির্বাহী অফিসার পাপিয়া সুলতানাকে।
উল্লেখ্য, গত ৯ অক্টোবর ‘জায়দার জীবন যুদ্ধথ শিরোনামে- দারিদ্র্য, ক্ষুধা আর জীবন যন্ত্রণায় তাকে বাধ্য করেছে সাহসী নারী হতে। শিরনামে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর আগে আরো দুথটি দৈনিকে জায়দার জীবন চিত্র তুলে ধরে খবর ছাপা হয়। সেই সংবাদে উল্লেখ করা হয়, শখের বশে নয়, বরং টিকে থাকার লড়াই করতেই আজ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক জায়দা।
জায়দার বাড়ি বাঘা উপজেলার জোতকাদিরপুর গ্রামমে। স্বামী শাহাজামাল আরেকটি বিয়ে করে অন্যত্র চলে যাওয়ার পর পেশা বদলে এখন তিনি অটোরিকশা উল্কার চালক। তিনি জানালেন, আমি একদিকে দরিদ্র পরিবারের সন্তান, অন্যদিকে কালো বলে কেউ আমাকে বিয়ে করতে চায়নি। এ কারণে ৩০ বছর বয়সে বিয়ে হয় তার। গর্ভে ছেলে ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই স্বামী তাকে ফেলে যখন চলে যায়। তখন জীবন-জীবিকার তাগিদে পরের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করতে শুরু করেন। এরপর ছেলে কোলে নিয়েই সীমান্তবর্তী কুষ্টিয়ার দুর্গম দৌলতপুর চর এলাকার বাংলাবাজার গ্রাম ছেড়ে চলে আসেন বাঘার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের জোতকাদিরপুর গ্রামে।
অত:পর তাকে সহায়তা করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজ। এরপর ঝণ করে এইটি অটোরিকশা কিনে নেমে পড়েন জীবন যুদ্ধে। এ থেকে তার সংসার চললেও ঋণ নিয়ে তিনি ছিলেন চরম বিগাকে। অবশেষে তাকে ঝণ মুক্ত করলেন বাঘা উপজেলার মানব প্রেমী দানশীল শানুষ পাপিয়া সুলতানা।
অসহায় অটোরিকসা চালকের হতে নগদ অর্থ তুলে দেওয়ার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বাঘা শাখার সাধারন সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল,কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ রাশেদ আহমেদ,মৎস্য অফিসার আমিরুল ইসলাম,বিআরডিবি অফিসার এমরান আলীসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান কর্মকতাগন।