রামপাল( বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে পাষন্ড স্বামী মোজাহিদুল ইসলাম রানা ওরফে বাবুর অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে তার স্ত্রী। বর্বর নির্যাতনে গর্ভবতী স্ত্রীর দেড় মাসের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে। বাবু উপজেলার কিসমত ঝনঝনিয়া তালুক গ্রামের জালাল উদ্দিনের পুত্র।
এ ঘটনায় রামপাল উপজেলা মানবাধিকার কমিশন ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং বর্বর নির্যাতন কারী স্বামী বাবুকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন।
নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ এর পিতা ঝনঝনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ফরহাদ শেখ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে, প্রায় ৬ বছর পূর্বে বাবুর সাথে তার মেয়ের বিয়ে হয়। তাদের ৮ বছরের একটি কন্যা সন্তান ও রয়েছে।
কিন্তু বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবীতে বিভিন্ন সময়ে নির্যাতন করত তার স্বামী বাবু।
গত বছর ২০২০ সালেও একবার নির্যাতন করলে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। পরবর্তীতে গ্রামের গন্যমান্য ব্যাক্তিদের শালিশের মাধ্যমে মেয়েকে শ্বশুর বাড়ি পাঠানো হয়।
গত ৩ অক্টোবর ২০২১ ইং তারিখে চরম নির্যাতন করে গৃহবধূর বাড়িতে ফোন করলে তার মা মেয়েকে বাঁচাতে জামাই বাবুর বাড়িতে যায়। মেয়ের বাড়িতে গেলে তার মাকে ও ২ দিন আটক রাখে শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
মা ও মেয়েকে আটক রাখলে রামপাল সদর ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দিন ও রামপাল উপজেলা বি.এন.পির সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমান তুহিন তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
নির্যাতনে গৃহবধূর রক্তক্ষরণ শুরু হলে প্রথমে তাকে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে এরপর তাকে উন্নত চিকিৎসার চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর পিতা ফরহাদ শেখ জানান যে, তারা নির্যাতন ও গর্ভের সন্তান নষ্ট হওয়ার বিষয়টি প্রমান সহ প্রশাসন সহ জনপ্রতিনিধিদের জানিয়েছেন এবং মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছেন।
এদিকে বর্বর নির্যাতনের ঘটনায় রামপাল উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি এ্যাডঃ মহিউদ্দিন শেখ ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইফুল আলম বকতিয়ার সহ মানবধিকার কমিশন রামপাল শাখার সদস্যবৃন্দ চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এবং এ বর্বর নির্য়াতনে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন প্রশাসনের প্রতি