নাহিদ মিয়া,মাধবপুর(হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের মাধবপুরে ভারী বর্ষন ও সীমান্তের ওপার থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের ফলে টমেটো সহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েক শতাধিক একর জমির ফসল।
এতে আগাম জাতের টমেটো ফসল ব্যাপক ক্ষতির মূখে পড়েছে। গত কয়েকদিনের থেমে থেমে ভারী বৃষ্টি পাতের কারণে ও সীমান্তের ওপার থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সিমনাছড়া,ত্রীপরাছড়া, তেলালিয়াছড়া সহ বিভিন্ন ছড়ার পানি উপচে শাহজাহানপুর ইউনিয়নের ভান্ডারুয়া,লোহাইদ, নোয়াগাও,বনগাও, জালোয়াবাদ,শাহজাহানপুর, গোয়াসনগর,সহ বিভিন্ন এলাকার কয়েক’শ একর উঠতি শাক সবজি সহ মৌসমী ফসলি জমি বালি মিশ্রিত পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে বালি আসায় আন্দিউড়া ইউনিয়নে অনেক আমনধানী জমি বালিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধু টমেটো ফসলের ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকার উপরে বলে জানা যায়। স্হানীয় কৃষকরা জানান, পানি ধিরে ধিরে নেমে গেলেও এতে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
শাহজাহানপুর গ্রামের রানা মিয়া জানান, তিনি ১ লাখ টাকা খরচ করে ৬০ শতাংশ জমিতে টমেটো চাষ করেছিলেন। এ এলাকার অনেক কৃষকের প্রধান আয়ের উৎস টমেটো। বানিজ্যেক ভাবে কৃষকরা আগাম জাতের টমেটো চাষাবাদ করে। হঠাৎ করে ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে টমেটো ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকের টমেটো ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
ভান্ডারোয়া চেয়ারম্যান বাড়ির নিপু মোল্লা বলেন তিনি দুই লাখ টাকা খরচ করে ১’শ ২০ শতাংশ জমিতে টমেটো চাষ করেছিলেন। আকস্কিক পাহাড়ি ঢলে টমেটো ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হওয়ার ফলে টমেটো গাছ আর বাচাঁনো সম্ভব হবে না।পানি সরে গেলেও টমেটো গাছের শিকড়ে পানি লাগায় দু এক দিনের মধ্যে শেকড়ে পচন ধরে মরে যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গত মঙ্গলবার ভারী বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন এলাকা পরির্দশন করেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন হাসান বলেন,পানি সরে গেলে টমেটো ছাড়া অন্য কোন ফসলের তেমন ক্ষতি হবেনা।