দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে সাবেক পৌর মেয়র মুরতুজা সরকার মানিক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তার সময়ের উন্নয়নের ফিরিস্থি তুলে ধরেন। শনিবার সকাল ১১টায় পৌরসভা হল রুমে স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে বিগত ১০ বছরের উন্নয়নমূল কাজসহ বিভিন্ন চিত্র সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরে এই সংবাদ সম্মেলন করেন বিদায়ী মেয়র মুরতুজা সরকার মানিক।
সংবাদ সম্মেলনে, বিদায়ী মেয়র মুরতুজা সরকার মানিক বিগত ১০বছরে রাস্তাঘাট,ড্রেন,কালভার্টসহ পৌর শহর উন্নয়নে তার নেয়া বিভিন্ন পরিকল্পনার বাস্তবায়নের ফিরিস্থি তুলে ধরে বলেন,তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার ২০১১ সালে ১কোটি ২২লক্ষ ৮৫হাজার ৬শত ৩৬ টাকা বকেয়া নিয়ে পৌর পরিষদের দ্বায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
২য়বার দ্বায়িত্ব নেবার পর ২০১৫ সালে পৌরসভার আয় বৃদ্ধি করে “খ” শ্রেণী থেকে পৌরসভাকে “ক” শ্রেণীতে উন্নীত করেন। তিনি বিগত ১০বছরে তার দেয়া সেবা ও উন্নয়নের তথ্যসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন কর্মকান্ডের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেন বলেও তার লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন । তিনি বলেন ২০১১ সালে প্রথমবার নির্বাচিত হওয়ার পরে গত ১০ বছরে ৩৪কোটি ৪৩লক্ষ্র ৯৩হাজার টাকার উন্নয়ন কাজ করেছেন। বর্তমানে ৩ কোটি ৮৪ লক্ষ ৭৬ হাজার ৪ শত ৭ টাকা বকেয়া রেখে দায়িত্ব হস্তান্তর করছেন। অনেক পৌরসভায় কর্মকর্তা কর্মচারীদের ১৩ মাস থেকে ৫৬ মাস পর্যন্ত বেতন বকেয়া রয়েছে।
সেই তুলোনায় এই পৌরসভায় মাত্র ৬মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। যা অন্য পৌরসভার চেয়ে কম। পৌরসভার আয়ের উপর কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন প্রদান করা হয়।এ বিষয়ে সরকার কোন ধরনের সহযোগিতা করেন না।
তিনি আরো বলেন,পৌর এলাকার সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে একনো পর্যন্ত ৭৫লক্ষ্য তিন হাজার নয়শত টাকা পাওনা,ব্যাবসায়ীদের কাছে ট্রেড লাইসেন্স বাবদ ৬লক্ষ ৬৫হাজার ত্রিশ টাকা পাওনা,আবাসিক ও বানিজ্যিক হোল্ডিং টেক্স এক কোটি ৪৯ লক্ষ ৬২ হাজার নিরানব্বই টাকা পাওনা রয়েছে। যার সর্বমোট ২কোটি ৩১লক্ষ ৩১হাজার একশত টাকা বকেয়া।
সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ের সাথে সাথে তার ১০বছরের দ্বায়িত্বের ইতি টানছেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে পৌর এলাকার সাপ্লাই পানির বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মেয়র মুরতুজা সরকার মানিক বলেন,সড়ক ও জনপদ বিভাগ রাস্তার খনন কাজ করতে গিয়ে ভূ-গর্ভের নিচের পানির লাইনের অনেক জায়গায় পাইপ ফেটে নষ্ট হয়ে যাওয়ায়, পানি সাপ্লাই চালু করা সম্ভব হয়নি।
নতুন বরাদ্দ আসলে পানির লাইনের কাজ সচল হবে,সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। অপরদিকে হাট বাজারের বকেয়া ১৩ লক্ষ্য টাকার ট্রাক্সের টাকা পরিশোধ হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন হাট বাজারের বকেয়া টাকা আদায়ের যে বিষয়টি রয়েছে তা অডিট অপত্তি রয়েছে। পরবর্তিতে তা নিষ্পত্তি হবে বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।