সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার নদনদী ও চলবিলে পানি বাড়ার সাথে সাথে নৌকার পিকনিকের নামে অশ্লীলতার ছড়াছড়ি।এই অশ্লীলতার রসদ যোগাতে ব্যাস্ত সলঙ্গার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের কাচিয়ার চর গ্রামের মৃত – কোরপ আকন্দ ছেলে কাঠ মিস্তি শফিকুল ইসলাম শফি (৩২)।
সিরাজগঞ্জ রোডের আশেপাশে বাসা ভাড়া নিয়ে নারায়নগঞ্জ,বরিশাল,নাটোর থেকে নিত্য শিল্পি ভাড়া এনে নৌকায় দীর্ঘদিন যাবৎ শাফি ভাড়া করা নিত্য শিল্পীদের দিয়ে অনৈতিক কার্যকলাপ করে আসছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীর অনেকেই বলেন,শফি আগে কাঠমিস্ত্রীর দিনমুজুর হিসেবে কাজ করত। হঠাৎ করেই শফি দুরদুরান্ত থেকে মেয়ে মানুষ এনে নৌকায় অশ্লীল নিত্যর জন্য ভাড়া দেওয়া শুরু করে । সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অথবা রাত চুক্তিতে প্রতি শিল্পী ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া দিয়ে থাকে। আর এসকল নৌকা উল্লাপাড়া উপজেলার,ফুলজোর,গাড়াদহ, করতোয়া,জপঝপীয়া নদী ও চলনবিলের একাংশে পিকনিকের নামে দাপিয়ে বেড়ায়।
এসব পিকনিকের আয়োজকেরা সবই উঠতি বয়সী তরুন যুবক ও স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ।
পিকনিকের নামে এসব ভাড়া করা নিত্য শিল্পিরাই আবার একটু সন্ধ্যা হলেই নৌকার উপরই অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়ে যায়।
এসব যাত্রা শিল্পি ও দালালদের কারনে এলাকার কিছু উঠতি বয়সী যুবক বিপথে চলে যাচ্ছে, অনেকেই এসব খপ্পরে পরে দ্বিতীয় বিবাহ্ করে সাংসারিক কলহে জরিয়ে পরছেন ।
এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের দাবি শফির এসব অনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধে প্রসাশনের হস্তক্ষেপ জরুরী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাচিয়ার চর গ্রামের এক গ্রাম প্রধান বলেন,শফি দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মেয়েদের এনে নৌকায় অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য ভাড়া দেয় এবং বাড়িতেই রাখত বার বার নিষেধ করলেও না শোনায় শফিকে সমাজ থেকে বিতারিত করা হয়েছে। তার পরও শফি এসব অসামাজিক কার্যকলাপ করেই যাচ্ছে। প্রসাশন এব্যপারে নজর না দিলে এলাকার যুবসমাজ নষ্ট হয়ে যাবে।শফির এক প্রতিবেশী জানান,শফির দুই বউ ছোট বউ যাত্রা শিল্পি সেও নৌকার পিকনিকে নাচে।
সম্প্রতি শফির দ্বিতীয় স্ত্রী যাত্রা শিল্পী তানিয়া খাতুন (৩০) শফির নামে সলংগা থানায় তাকে জোড় করে নৌকায় অশ্লিল নিত্য ও দেহব্যবসায় বাধ্য করা হয় মর্মে একটি অভিযোগ করেন।
পরে বিষয়টি,সিরাজগঞ্জ রোডে অবস্থিত, সিরাজগঞ্জ যাত্রা শিল্প উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি মনজেল হক ও সেক্রেটারি মিজানুর রহমান মিমাংসা করে দিলে শফির স্ত্রী অভিযোগটি তুলে নিয়ে আসে।
এব্যাপারে যাত্রা শিল্প উন্নয়নের সভাপতি ও সেক্রেটারীর কাছে জানতে চাইলে, ঘটনার সত্যতা স্বীকারও করেন তারা।
এ ব্যপারে শফির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোনটি (০১৭০০৬৭২৩৫১) বন্ধ পাওয়া যায়।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মওদুদ আহমেদ বলেন,নৌকার পিকনিকের নামে অশ্লিলতা বন্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে, কোথাও নৌকায় পিকনিকের নামে অশ্লিল কার্যকলাপ চললে,শুনলে আমি তাৎক্ষণিক প্রসাশনিক ব্যবস্থা গ্রহন করি,এসকল অশ্লিলতা বন্ধে নদীপাড়ের মানুষজনের সহযোগীতা কামনা করে প্রসাশনকে খবর দেওয়ার অনুরোধ ও জানান তিনি ।