সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় কুমাজপুর দারুল আবরার ক্বওমী হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটিলিয়ান র্যাব-১২’র সদস্যরা।
ঘটনা সূত্রে জানা যায় নলছিয়া গ্রামের মাসুদ রানা তার ছেলে অলিউল্লাহকে দ্বীনি শিক্ষার জন্য কুমাজপুর দারুল আবরার ক্বওমী মাদ্রাসায় ভর্তি করেন।
শিক্ষার্থী অলিউল্লাহ মাদ্রাসায় আবাসিকে থেকে গত এক বছর যাবত পড়া লেখা করে আসছিল। গত ১১ আগস্ট রাতে মাদ্রাসার শিক্ষক আবু রায়হান শিক্ষার্থী অলিউল্লাহকে তার কাছে ডেকে নিয়ে ইচ্ছার বিরদ্ধে বলাৎকার করে। বলাৎকারের বিষয়টি প্রকাশ করলে শিক্ষক তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
এভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ছাত্রটিকে বলাৎকার করে। কয়েক দিন পর আবার কু-কর্মকরার প্রস্তাব দিলে শিক্ষার্থী অলিউল্লাহ তার প্রস্তাবে রাজি না হলে পর দিন সকালে তাকে মারধর করে। মারধরের ঘটনার পর শিক্ষার্থী অলিউল্লাহ ছুটি চায় শিক্ষক ছুটি না দিলে শিক্ষার্থী অলিউল্লাহ গোপনে ১৯ আগস্ট নিজ বাড়ি চলে যায়।
শিক্ষার্থী অলিউল্লাহ বাড়ি গিয়ে শিক্ষক আবু রায়হানের কু-কর্মের কথা তার পরিবারের কাছে খুলে বলে এবং জোড়পূর্বক ভাবে একাধিকবার বলাৎকার করার ঘটনাও খুলে বলে।
পরবর্তীতে শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির কাছে বিষয় টি জানালে কমিটির লোকজন উচিৎ বিচারের আশ্বাস দেয়। কিন্তুু আসামী আবু রায়হান আত্ম গোপন করে। উক্ত ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে এবং স্থানীয় জনগনের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি করে।
পরবর্তীতে শিক্ষার্থী’র পরিবার সলঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করে এবং র্যাব-১২ এর কাছে আসামীকে গ্রেফতারের আকুতি জানায়। র্যাব-১২ র্যাব-১২ বিষয়টি আমলে নিয়ে র্যাব-১২’র স্পেশাল কোম্পানীর সহকারী পুলিশ সুপার মি. জন রানার নেতৃত্বে গোয়েন্দা তথ্য ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আত্ম গোপনকারী আসামী আবু রায়হানকে ঢাকার ভাটারা থানার বাড্ডা এলাকা থেকে ২৭ আগস্ট শুক্রবার ভোর সোয়া ৫ টার সময় গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ আবু রায়হান (২৪), সলঙ্গা থানার খোলাপাড়া গ্রামের মোঃ হাসেন আলীর ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত পলাতক আসামীকে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।