স্বামীর খোঁজে নীলফামারী থেকে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় চলে এসেছে মোছাঃ রিতা খাতুন(৩০)।সে নীলফামারীর ডোমার থানার পাঙ্গা চৌপাতি গ্রামের হামিদুল ইসলামের মেয়ে। তার কোলে ৫ বছরের এক মেয়ে ও ৭ মাসের এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
রিতা জানান ৭/৮ বছর আগে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পৌরশহরের ঝিকিড়া মহল্লার রবিউল ইসলামের সাথে তার বিয়ে হয়। এ সুবাদে আমার কোলে দু’টি সন্তানের জন্ম হয়।
সে আরো জানান ৮/৯ বছর আগে আমার স্বামী রবিউল ইসলাম কাজের সন্ধানে নীলফামারীর ডোমার শহরে আসে। কিছু দিন জামাই পিঠার ব্যবসা করে পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে মিস্ত্রির কাজ করে। এ সুবাদে ৫০,০০০/= পঞ্চাশ হাজার টাকার দেনমোহর ধার্য্য করে কাজী অফিসে নিয়ে পিতামাতা আমাকে তার সাথে বিয়ে দেয়। ঐ সময় তার ভোটার আইডি কার্ডে উল্লেখিত ঠিকানা লেখাছিলো। বিয়ের পর বাবার বাড়ি এলাকায় ভাড়া করা বাসায় স্বামীস্ত্রী বসবাস শুরু করি। ২য় সন্তান গর্ভে রেখে প্রায় বছর খানেক আগে ঢাকা শহরে কাজ করার কথা বলে, সেই যে চলে গেল,এ পর্যন্ত স্ত্রী সন্তানের খবর নেয়নি।আমি দরিদ্র পরিবারের মেয়ে,এতদিন হয়ে গেল ছেলে সন্তান নিয়ে কিভাবে খাইপরি তার খবর নিচ্ছে না।স্বামীর খোঁজ না পেয়ে নিরোপায় হয়ে উল্লেখিত ঠিকানায় চলে এসেছি।
ঝিকিড়া মহল্লার একাধিক ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করে রবিউল ইসলামের ঠিকানা খুঁজে পাচ্ছি না।যার কাছে জানতে চাই সেই বলে এ নামের কাউকে চিনি না। মেয়েটি উপজেলা পোস্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় বসে নিরব নিবৃত্তি কণ্ঠে দু’চোখের পানি ছেড়ে চাপা কান্না করছে।সে তার স্বামীর সন্ধান চায়।
স্ত্রী রিতাঃ০১৭৯৬০৮৯৪৩৭,স্বামী রবিউলঃ ০১৭৩৪৪২৪৩৩৯ ও ০১৩১৭৮৪৭৬৩১,