লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানা পুলিশ ও এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)’র যৌথ অভিযানে পালাতক নব্য জেএমবিথর সদস্য নাজমুস সাকিব (২৬) কে ঢাকার খিলগাঁও হতে গ্রেফতার করেছে।
বুধবার (১১ আগস্ট) দুপুরে ১টার দিকে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) এরশাদুল আলম এক প্রেসব্রিফিং এর মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রেসব্রিফিং এ তিনি আরোও জানান, এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) এবং হাতীবান্ধা থানার পুলিশের একটি যৌথ অভিযানিক দল দীর্ঘদিনের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে ৯ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার দিকে ডিএমপি ঢাকার খিলগাঁও এলাকা হতে পলাতক নব্য জেএমবিথর সদস্য নাজমুস সাকিবকে গ্রেফতার করে হাতীবান্ধা থানায় আনা হয়।
আজ বুধবার দুপুরে তাকে লালমনিরহাট জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত পলাতক নব্য জেএমবিথর সদস্য নাজমুস সাকিব হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা এলাকার কোরবান আলীর ছেলে। তার পিতা স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম।
কোরবান আলী জামায়াতের এক জন স্থানীয় নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তি তার নামে একটি নিয়মিত মামলা রয়েছে। তারা ৪ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে নাজমুস সাকিব সবার বড়। তার ছোট ভাই রাকিবুল ইসলাম অরফে রাকিব অরফে নাঙ্গা তরবারী অরফে প্রভাতের মুয়াজ্জিন স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্র ছিলো।
রাকিব নব্য জেএমবিথর সদস্য। সে ২০১৭ সালে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে লালমনিরহাট কারাগারে আটক আছে। তার ভাই রাকিবের নামে ২টি মামলা রয়েছে। নব্য জেএমবিথর সদস্য রাকিবের অন্যতম প্রধান সহযোগী নব্য জেএমবিথর নেতা আজাদুল ইসলাম কবিরাজ অরফে বিপ্লব।
নাজমুস সাকিব স্থানীয় শিশু নিকতন স্কুল হতে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করে। পরবর্তীতে ভবানীপুর ছেফাতিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা হতে আলিম পাশ করে। সে ২০১৫ সালে তিতুমীর কলেজে সমাজ বিজ্ঞান অনার্সে ভর্তি হয়। বর্তমানে সে কেক এন্ড সুইটস কোম্পানির খিলগাঁও এর একটি ব্রাঞ্জ অফিসে চাকরিরত ছিলো। তার নামে হাতীবান্ধা থানায় দুইটি (পুলিশ এসল্ট ও সরকার বিরোধী অন্তর্ঘাতমুলক কার্যক্রম) নিয়মিত মামলা রয়েছে।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, নব্য জেএমবিথর সদস্য নাজমুস সাকিবকে আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।