বগুড়ার সদরের গোকুলে ভাড়াটিয়ার দোকান ভেঙ্গে জায়গা দখলের চেষ্টা ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, বগুড়া সদরের ধাওয়াকোলা মৌজার মহাস্থান উত্তরণ তেলের পাম্পের দক্ষিণ পাশে বড় ধাওয়াকোলা গ্রামের মৃত ক্যানেডি ও তার ভাই সেলিম খান নিজস্ব জায়গায় দোকান ঘর রয়েছে। এই দোকান গুলো বিভিন্ন জনের কাছে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। বর্তমান সেখানে গাড়ীর বডি ও ইঞ্জিন মেরামত মার্কেট নামে পরিচিত। এই মার্কেটের মালিক সেলিম খান ও তার ভাই ক্যানেডির জমির সামান্য কিছু অংশ নিয়ে ঝামেলা চলছিল।
সেলিম খানের দোকান ঘর প্রায় ৯বছর ধরে ভাড়া নিয়ে বগুড়ার জয়পুরপাড়া এলাকার টুকু সরকারের ছেলে সুমন সরকার নামের এক ব্যবসায়ী মাহিন গ্যাস ওয়ালিং ওয়ার্কসপ নামে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিদিনের ন্যায় সুমন সরকার রাতে তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ি যায়।
রবিবার সকালে ব্যবসায়ী সুমন জানতে পারেন তার দোকানের পিছনের ওয়াল ভাঙ্গা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক তিনি ছুটে এসে দেখতে পায় দোকানের পিছনে সাইড ভাঙ্গা ও বেশকিছু মালামাল সড়ানো হয়েছে। পরে তিনি জানতে পারেন পাশের জমির মালিক মৃত ক্যানেডি খানের স্ত্রী ছামছুন্নাহার তার কিছু লোকজন নিয়ে দোকান ঘর ভেঙে জমি দখলের চেষ্টা করছিল।
এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সুমন সরকার জানান, দোকানের জায়গা ক্যানেডির স্ত্রী ছামছুন্নার বেগম পাবে ঠিক আছে কিন্তু আমাকে না বলে হঠাৎ বীরদর্পে এসে দোকান ভাংচুর করে মূল্যবান মালামাল নষ্ট ও লুটপাট করা হলো কেন?
এঘটনায় তিনি মামলা প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, সদর থানার এসআই বেদার উদ্দিন। তিনি বলেন, সেলিম খানের পুত্র রেজভী সকালে ফোন করে বলেন, তাদের দোকান ঘর ভেঙ্গে জায়গা দখল করা হচ্ছে। তাঁর ফোনের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসা।
কিন্তু বিষয় হলো জমি দোকানের ভিতরে পেলে সালিসি বৈঠকের মাধ্যমে এটি বের করা দরকার ছিল, বা আশেপাশের দোকানদার কে বলে ব্যবসায়ী সুমনকে নির্ধারিত সময় দিয়ে দোকান ছাড়তে বলা যেত। একজন ব্যবসায়ীর বহাল দোকান ভাংচুর করা আইনগত অপরাধ।