পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দীর্ঘ দুই বছর ধরে পাওনা টাকার শোক সইতে না পেরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সুনীল চন্দ্র দাস (৪০)।শুক্রবার রাত নয়টায় আলীপুরের নিজ বাড়িতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়। পরে শনিবার সকাল নয়টা থেকে লাশ নিয়ে স্বজনরা দেনাদার ইউসুফ মুসুল্লির ঘরের সামনে অবস্থান করে তারা। এ ঘটনাটি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যেও সৃষ্টি করেছে।
নিহত সুনীল চন্দ্র দাসের স্ত্রী মাধুরী দাস সাংবাদিকদের জানান, প্রায় দুই বছর আগে আলীপুর বাজারে ভিটি দেয়ার কথা বলে আমার স্বামী সুনীল চন্দ্র দাসের কাছ থেকে আট লাখ টাকা নেয় স্থানীয় ইউসুফ মুসুল্লী। দীর্ঘদিন ধরে টাকা ফিরিয়ে দেয়ার বেশ কয়েকটি ওয়াদা দেয় সে। এনি এলাকার চেয়ারম্যানসহ গন্যমান্য ব্যাক্তিদেরা সালিশ করলেও টাকা পায়নি সুনীল দাস। পরে টাকার শোক সইতে না পেওে মূক্রবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, নিহত সুনীল জমি কেনার জন্য ইউসুফ মুসুল্লীকে টাকা দিয়েছিলো।
এ নিয়ে আমরা সালিশ বৈঠক বসলেও টাকা ফেরত দেয়নি। আমার জানা মতে সুনীল অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে। শনিবার সকাল থেকে নিহতের স্বজনরা লাশ নিয়ে ইউসূফ মুসুল্লীর বাড়ির সামনে অবস্থান করে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানের চেষ্টা করছি।এ বিষয়ে ইউসুফ মুসুল্লীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মহিপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, ঘটনাস্থলে তিনি নিজে উপস্থিত হয়ে সুষ্ঠ সমাধানের চেষ্টা করছে ।