সারা দেশের ন্যায় কলাপাড়ায় শুরু হয়েছে দূরপাল্লাসহ অভ্যন্তরীন রুটের সকল বাস ও লঞ্চ চলাচল। গত রাত থেকেই ছেড়ে যায় বিভিন্ন ঢাকাগামী পরিবহন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে অভ্যন্তরীন রুটের বাস চলাচল। এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চ। এরমধ্যেই লঞ্চ শ্রমিকরা ধোয়া-মোছাসহ লঞ্চ চলাচলের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এসব গনপরিবহনে পুরোপুরি মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি, বাসের সম্মুক্ষ্য স্থানে রাখা হয়নি হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা। অনেক যাত্রীই ব্যবহার করেনি মাক্স, তবে বাসে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে।
বাস শ্রমিক মো: শাহআলম এ প্রতিনিধিকে বলেন, ২ সপ্তাহ লকডাউন থাকায় ঘরে মজুদ থাকা খাবার বহু আগেই শেষ হয়ে গেছে, এর পরের সময় ধার-দেনা-লোন করে সংসার চালাতে হয়েছে। এখন ঈদুল-আযহা উপলক্ষে এক সপ্তাহ লকডাউন শিথিলের সময়টুকুতে কাজ করে যদি কিছটা হলেও পুষিয়ে নেয়া যায়।
সৌদিয়া পরিবহনের কলাপাড়া রুটের পরিচালক সৈয়দ কায়েস গনমাধ্যমকে বলেন, মহামারি করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের কারনে শ্রমিক-কর্মচারীদের সকল প্রকার আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো, কোরবানীর আগে এক সপ্তাহ শিথিলের এই সময়টাতে শ্রমিক-কর্মচারীরা কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কলাপাড়া লঞ্চ টার্মিনালের ইজারাদার মো: নুরজামাল খালাসি সাংবাদিকদের বলেন, মহামারি করোনা দুর্যোগের ফলে লঞ্চ শ্রমিকদের অবস্থা এখন নুন আনতে পান্তা ফুরোবার মতো, তবে ঈদুল-আযহা উপলক্ষে সরকারের দেয়া এক সপ্তাহ লকডাউন শিথিল করায় লঞ্চ শ্রমিকরা একটু হলেও স্বস্তি ফিরে পেয়েছে।