কলাপাড়ায় মিথ্যা, ভুয়া ও বানোয়াট সংবাদ এবং উত্তরাধিকার সূত্রে মাতৃজমি জাল-জালিয়াতি মামলা ও জোড়-জবরদস্তি করে নেয়ার অভিযোগে কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে অসহায় কৃষক মো: বাহাউদ্দিন। রবিবার বেলা ১২টায় ইউনিটি কার্যালয়ে রিপোর্টার্স ইউনিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি উত্তম কুমার হাওলাদারের সভাপতিত্বে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সংবাদ সম্মেলনে বাহাউদ্দিনের সাথে তার কিছুসংখ্যক আত্মীয়, এলাকাবাসী ও ইউনিটির সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে কৃষক মো: বাহাউদ্দিন বলেন, নীলগঞ্জ ইউনিয়নের হলদিবাড়িয়া গ্রামে আমাদের মাতৃক ওয়ারিশ প্রাপ্ত ভাগবন্টন নিয়া দীর্ঘদিন পর্যন্ত দ্বন্দ চলিয়া আসিতেছে। উক্ত জমি সংক্রান্ত বিষয় ভাগ-বাটোয়ারের জন্য আমার ভাই মো: সাইফুল্লাহ বাদী হয়ে ১৭.০৭.২০২০ ইং: তাং: নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর দরখাস্ত দাখিল করার পর প্রতিপক্ষ এবং তাহার বাবা আমাদের উপর প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের নামে কলাপাড়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চাঁদাবাজীর অভিযোগ এনে সি,আর ৫৫১/২০২০ নং এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এম,পি ২৪/২০২০ নং মোকাদ্দমা দায়ের করেন। প্রতিপক্ষ মো: শাহাবুদ্দিন একজন সংবাদকর্মী এবং মানবাধিকার কর্মী পরিচয় দেয় বটে। উল্লেখিত মামলা তদন্তের জন্য নীলগঞ্জ ইউনিয়নের নাওভাঙ্গা মাদ্রাসার সুপার মো: জিয়াউল ইসলাম (হাবিব) বরাবর বিজ্ঞ আদালত তদন্ত দিলে তিনি তদন্ত করিয়া বিগত ০৫.০১.২০২১ ইং: তাং: বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চাঁদাবাজী মামলার প্রতিবেদন দাখিল করেন। উক্ত প্রতিবেদনে আমরা নির্দোষ প্রমানিত হলে প্রতিপক্ষ মো শাহাবুদ্দিন আমাকে সাংবাদিকতার ভয় দেখিয়ে এলাকা ছাড়ার এবং অমাকে দেখে নেয়ার হুমকী প্রদান করে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও মিডিয়ায় আমাদের নামে অসত্য ও মিথ্যা তথ্য প্রচার করে আমাদের এলাকা ছাড়তে বাধ্য করবে বলে এই মর্মে হুমকী প্রদান করে।
তিনি আরো বলেন, আমি একজন অসহায় কৃষক, কোনোরকমে কৃষিকাজ করিয়া জীবিকা নির্বাহ করিতেছি। দীর্ঘদিন পর্যন্ত অঅমার একমাত্র কন্যা মোসা: লামিয়া অসুস্থ থাকায় তাকে চিকিৎসার জন্য বিগত ১০.০১.২০২১ ইং: তাং: আমতলীতে নিয়ে যাই। পরের দিন বিকেলবেলা মেয়েসহ বাড়িতে ফিরে আসি। এসময় জনৈক আ: জলিল হাওলাদার মোবাইলে আমার চাষকৃত বরবটি গাছ ছাগলে খাইতেছে জানাইলে আমি রাস্তায় আসিয়া আমার ক্ষেতে অনেকগুলো ছাগলে প্রায় ৩০০ গাছ খেয়ে ফেলেছে দেখিয়া ছাগল ধরার জন্য থাওয়া করিলে হঠাৎ ১নং প্রতিপক্ষ ও তাহার বাবা লাঠি-সোটা নিয়ে আমাকে এলোপাথারী পিটায় এবং বেধরক কিল-ঘুষি মারিতে থাকে। একপর্যায়ে বাঁচার জন্য আমার চিৎকার-চেচামেচিতে আমার স্ত্রী ও মেয়ে আমাকে বাঁচানোর জন্য দৌড়াইয়া আসিলে প্রতিপক্ষ শাহাবুদ্দিন তাহার কোমড়ে থাকা লালরংয়ের একটি গামছা দিয়ে আমার গলায় প্যাচ লাগাইয়া আমাকে শ্বাষরোধ করিয়া হত্যার প্রচেষ্টা চালায়। এসময় আমার ৭মাসের গর্ভবতী স্ত্রী ও কন্যা আমাকে বাঁচানোর জন্য প্রতিপক্ষ শাহাবুদ্দিনের বাবার কাছে আকুতি-আবেদন জানাইলে তা না শুনিয়া উপরন্ত বাবা ও ছেলে একত্রে মিলিয়া আমার গর্ভবতী স্ত্রীকে এলোপাথারী কিল-ঘষি মারিতে থাকে। উপুর্যপুরী এ আঘাতে আমার স্ত্রীর প্রচুর রক্তক্ষরন হয়ে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়া আসিলে প্রতিপক্ষ কতিপয় অচেনা লোকের মাধ্যমে ভর্তি প্রদানে বাঁধা দিলে আমরা কোন অনুপায় হইয়া তৎক্ষনাৎ পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে গিয়া ভর্তি করাই এবং ১৭.০১.২০২১ ইং: তাং: কলাপাড়া জুডিশিয়াল আদালতে মো: শাহাবুদ্দিন ও তার পিতার বিরুদ্ধে সি,আর ৭৫/২১ নং মামলা দায়ের করি। এমতঅবস্থায় বর্তমানে আমি ও আমার পরিবারের উপর প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হওয়ায় আমরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় মিডিয়ার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বহিনী ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ শাাহাবুদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এসব অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। বাহাউদ্দিনের স্ত্রী ঐসময় কখনই রাস্তায় ওঠেনাই এবং তার সাথে আমার দেখাও নাই। তবে কথা কাটাকাটি, তর্ক-বিতর্ক ও কিছুটা ধস্তাধস্তি হয়েছে তবে তা আমার সাথে নয় , আমার পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে, এর বাহিরে কিছুই নয়, মূলত: আমি একজন মিডিয়া কর্মী ও মানবাধিকার কর্মী, তাই এসকল অন্যায় কর্মকান্ড থেকে সর্বদাই দূরে থাকি।