করোনা কালে অন্যন্য মৌসুমি ফলের পাশাপাশি লাল টসটসে মিষ্টি রসালো মৌসুমী ফল আনারসে জমে উঠেছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী ফলের বাজার। পাহাড়ের পরিবেষ্টিত সিলেটের শ্রীমঙ্গলের জলডুঙ্গী ও টাঙ্গাইলের মধুপুরের কেলেন্ডার জাতের আনারসের। দেশে ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে এই দুই জাতের আনারসের।
ব্যবসায়ীরা জানান,দেশের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় নানা জাতের আনারস জন্মালেও সিলেটের শ্রীমঙ্গলের জলডুঙ্গী ও টাঙ্গাইলের মধুপুরের কেলেন্ডার জাতের আনারস খেতে যেমন স্বাদ তেমনি মিষ্টি ও ঘ্রাণের দিক থেকেও অদ্বিতীয়।
শ্রীমঙ্গলে বাণিজ্যিকভাবে আনারসের চাষাবাদ শুরু হয় ৭০-এর দশক থেকে। শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন পাহাড়ি দুর্গম এলাকার টিলায় সারি সারি বাগানে প্রচুর পরিমান জলডুঙ্গী জাতের আনারসের ফলন হয়। এসব বাগান থেকে মওসুম ছাড়াও সারা বছর আনারস উৎপাদিত হয়। সেখান থেকে সারা দেশের ফলব্যবসায়ীদের মতো ফুলবাড়ীর ফল ব্যাসায়ীরাও হাজার হাজার আনারস সংগ্রহকরে ট্রাকে করে বাজারে নিয়ে এসে খুচড়া এবং পাইকাড়ি বিক্রয় করছেন।
ফুলবাড়ী বাজারের ফল ব্যাবসায়ী সাদেক আলীসহ একাধিক ব্যাবসায়ী বলেন, জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরু থেকেই শ্রীমঙ্গলের এই আনারস আসতে শুরু করে আষাড় মাস পর্যন্ত পাওয়া যায়, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার রেকর্ড পরিমাণ আনারস উৎপাদন হয়েছে। ফলে মধু মাসে অন্যান্য মওসুমী ফলের পাশাপাশী শ্রীমঙ্গলের জলডুঙ্গী জাতের আনারসে বাজার ভরে উঠেছে।
এখন শ্রীমঙ্গলের জলডুঙ্গী জাতের এই আনারস প্রায় শেষের পথে। জলডুঙ্গী জাতের আনারস খেতে যেমন মিষ্টি তেমনি স্বাদও রয়েছে।
অন্যান্য জাতের আনারস জোড়া হিসেবে বিক্রি হলেও এ জাতের আনারস ওজনে বিক্রি হয়। যা প্রতি কেজি আনারস বাজারে বিক্রি হয় খুচরামুল্য ৬০টাকা থেকে ৮০টাকা কেজি পর্যন্ত। এর পাশাপাশি বাজারে উঠতে শুরু করেছে টাঙ্গাইলের মধুপুরের কেলেন্ডার জাতের আনারস। এ জাতের আনারস প্রতি জোড়া বিক্রি হয় ৮০-১শ টাকা পর্যন্ত।
ফলকিনতে আসা দিলশাদ হোসেন বলেন করোনার কারনে বাইরে বের হওয়া অনেকটাই ঝুকিপুর্ন কিন্তু চিকিৎসকারা বলছেন এসময় পুষ্টি জাতীয় খাবার খেতে তাই ফল কিনতে এসেছি। অন্য অরেক ক্রেতা রাহাদ গাজী বলেন বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিদিন অন্যান্য খাবারের সাথে কিছু ফল খাওয়া প্রয়োজন তাই ফল নিতে এসেছি।
প্রতি বছরের মতো মধু মাসের ফল ক্রয় করতে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন ক্রেতারা আসছেন ফুলবাড়ী ফল বাজারে।পুর্বে রাতদিন ফল বেচা কেনা করলেও করোনার কারনে বর্তমান সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ফল বিক্রি করতে পারছেন বলে জানিয়েছেন ব্যাবসায়ীরা। এতে তাদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে পর্যাপ্ত ফল কেনাবেচার উপযুক্ত সময় এখনই । ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে তাই এর পরেও জমে উঠেছে ফলের বাজার, ক্রেতারাও কিনছে তাদের পছন্দের ফলটি।