ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য প্রফেসর ড.আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী বলেছেন, রাবির একজন উপাচার্যর নির্লজ্জতা আমাদের লজ্জিত করে,ব্যথিত করে,বঙ্গবন্ধু আসলে এমন দেশ দেখতে চাঁন নাই। তিনি দূর্ণীতিমুক্ত অসাম্প্রদায়ীক দেশ আমাদের উপহার দিতে চেয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাহজাদপুর উপজেলার সর্বজন শ্রদ্বেয় চিকিৎসক ও শাহজাদপুর উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও আওয়ামীলীগের বর্ষীয়ান নেতা প্রয়াত ডাঃ ইউনুস আলী খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়ালি স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধু মানুষকে খুব ভালবাসতেন। জনগণই ছিল তার শক্তির আধার। জনগণও তাকে খুব ভালবাসতেন বলেই আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্ত করে এনেছেন। ভুট্টো খানও তাকে জেলে আটকে রাখতে পারেননি। ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তাই আমরা বুক ভরে নিঃস্বাশ নিতে পারছি। তিনি এ দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রাবির উপাচার্যর মত গুটি কয়েক নির্লজ্জর কারণে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা আজ কলুশিত হয়ে পড়েছে। এদের বিরুদ্ধে এখনই সঠিক ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে পরিণতি আরো খারাপের দিকে যাবে। তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধু মঞ্জুরি কমিশন গঠন করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে আলাদা সায়ত্বশাসন দিয়ে ছিলেন।
এ বিল যখন জাতীয় সংসদে পাশ হয়, তার আগে আমরা বলেছিলাম,তাদের উপর নিয়ন্ত্রণ না থাকলে তারা দূর্ণীতিতে জড়িয়ে পড়তে পারে। প্রতিত্তরে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন,বিশ্ববিদ্যায়য়ের শিক্ষকরা আমাদের আস্থা ও সম্মানের পাত্র। তাদের উপরে যাতে সচিব মন্ত্রী ছড়ি ঘুরাতে না পারে তাই এ ব্যবস্থা নিয়েছি। তারা মেধা ও মনন দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করবেন। তারা আজ বঙ্গবন্ধুর সেই আস্থার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছেন।
তিনি বলেন, এই প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেতা ডাঃ ইউনুস আলী খান ছিলেন,বঙ্গবন্ধুর একজন পরীক্ষিত আদর্শ সৈনিক। তিনি আমৃত্যু আওয়ামীলীগের নিবেদিত প্রাণ হিসাবে কাজ করে গেছেন।
এলাকার মানুষের কাছে তিনি ছিলেন,আস্থা ও ভরসার জায়গা। তাই তাকে তারা ভালবাসতেন শ্রদ্ধার সাথে দেখতেন। তিনিও আজীবন এ এলাকার মানুষকে ভালবেসে তাদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে গেছেন। আমেরিকার সিটিজেন পাওয়া সত্বেও তিনি এদের ছেড়ে যাননি। সব সময় সাথে পাছে থেকেছেন। আওয়ামীলীগের দূর্দিনের কান্ডারি ছিলেন বলেই আজ আওয়ামীলীগ এ জায়গায় পৌছাতে পেরেছে।
শাহজাদপুর উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রওশন আলীর সঞ্চালনায় এ ভার্চুয়াল স্মরণসভায় প্রধান আলোচক ছিলেন,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য প্রফেসর ড.আব্দুল খালেক। বিশেষ অতিথি ছিলেন,কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য মো: মতিউর রহমান লালটু,সাবেক এমপি চয়ন ইসলাম। বক্তব্য রাখেন,ডাঃ আব্দুল খালেক,শহিদুল ইসলাম শাহিন,আব্দুল জব্বার প্রমুখ।
এ অনুষ্ঠানে আমেরিকা থেকে ভার্চুয়ালী অংশ গ্রহণ করেন,প্রয়াত ডাঃ ইউনুস আলী খানের মেয়ে ডাঃ ইউনুস আলী খান ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক প্রীচিলা খান মলি,তার মা,বোনসহ পরিবারের অন্যান্যরা। শাহজাদপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের হল রুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন, শাহজাদপুর উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও সার্বিক সহযোগীতায় ছিলেন, প্রয়াত ডাঃ ইউনুস আলী খান ফাউন্ডেশন। এ ছাড়া দিনভর কোরআনখানি,মিলাদ মাহফিল ও দোয়া-মোনাজাত করা হয়।