মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে এক পা ও দুই হাতের পর এবার প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে পাওয়া গেছে তাঁর দেহ। তবে মস্তক খুঁজে বের করতে পুলিশের তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুস ছালেক জানান, মীর্জাপুর ইউনিয়নের দক্ষিন পাচাউন গ্রামের পৃথক স্থান থেকে অজ্ঞাত এক নারীর হাত পা পাওয়ার পর মঙ্গলবার সকালে পূর্বের ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দুরত্বে উত্তর বৌলাছড়ার নির্জন পাহাড়ী এলাকায় পাওয়া যায় শরীরের গলা থেকে কোমরের অংশ।
তিনি আরও জানান, যেখানে শরীরের অংশ পাওয়া গেছে এটি পাহাড়ী এলাকা। এর আশে পাশে কোন বসতি নেই। তারা মুখমন্ডল সহ লাশের বাকী অংশ খোঁজতে পুরো এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছেন। উদ্ধার হওয়া দেহ একজন নারীর সেটি পরিস্কার বুঝা যাচ্ছে।
এর আগে ২১ জুন সোমবার দূপুরে মীর্জাপুর ইউনিয়নের পাচাউন গ্রামে কৃষক মাখন দেবের মুখি ক্ষেতে মানুষের দেহ থেকে খন্ডিত একটি পা দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে দেখতে পায় কমর থেকে হাঁঠু পর্যন্ত এক টুকরো এবং হাঁঠু থেকে পায়ের নিচের অংশ আরেক টুকরো। পাশে একটি প্লাস্টিকের ছোট বস্তা রয়েছে। ধারণা করা হয় প্লাস্টিকের ওই বস্তাতে পায়ের এ টুকরা গুলো ছিলো।
পরে ওই দেহের বাকী অংশ খোঁজতে গিয়ে প্রায় অর্ধ কিলোমিটার দূরে একই গ্রামের সুশাঙ্ক দত্তের বাঁশঝারে একটি হাত ও পাশে গৌরাঙ্গ দত্তের বাঁশঝারে আরও একটি হাতের সন্ধান মিলে।
পুলিশ মুখমন্ডল সহ লাশের বাকী অংশ খুঁজছে। দেহ, পা ও দুটি হাত উদ্ধার করে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সংরক্ষণে রাখতে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।