ভিসা দেয়ার কথা বলে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে লক্ষীপুরের লামচরি আজিজিয়া মাদ্রাসা সুপারিন্টেনডেন্ট নুর হুজুরের ছেলে শোয়াইবের বিরুদ্ধে।
পুলিশ সুপার বরাবর দায়েরকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের আব্দুল কাদেরের ছেলে ফিরোজ আলম ও
পৌরসভার(তেরবেকি)নুর হুজুরের ছেলে শোয়াউব আল-মাহমুদ ওমান থাকাকালীন সময় দুজনের পরিচয় হয়। পরবর্তীতে সেখানে ভিসা করিয়ে দেয়ার কথা বলে ফিরোজ আলমের কাছ থেকে ১লাখ টাকা করে তিনবারে তিন লাখ টাকা পূবালী ব্যাংক লক্ষ্মীপুর শাখা, মেসার্স হক ট্রেডার্সের (একাউন্ট নং ২৫৩৩৮) মাধ্যমে গ্রহণ করেন।
৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর ওমানেই ফিরোজ ও শোয়াইবের কর্মস্থল ৫০ কিলোমিটার দূরত্বে থাকলেও ফিরোজ কয়েকবার দেখা করতে গেলে শোয়াইব দেখা না করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উভয়ে দেশে আসার পর শাকচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় বসলেও শোয়াইব ও তার ভাই জুবায়ের আর্ট তা প্রত্যাখ্যান করে চলে আসে।
এরপর সদর মডেল থানায় অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার না পেয়ে ভুক্তভোগী ফিরোজ আলম পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন। সেখানেও তারা সময় নিয়ে নানা ভাবে গড়িমসি করতে থাকেন।
এ বিষয়ে শাকচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী টিটু বলেন- ‘দু’জনই প্রবাসী। চেয়েছিলাম স্থানীয় পর্যায়ে তা সমাধান করব। কিন্তু শোয়াইবরা না মানায় সমাধান করতে পারেনি।’
সদর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক হেলাল উদ্দিন মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন-‘টাকা পাবে সত্য কিন্তু বারবার থানায় বসে কোনো সুরাহা করতে পারিনি। দেনাদার দিতে নারাজ।’
অভিযুক্ত শোয়াইব আল মাহমুদের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে ঘটনাটি অকপটে স্বীকার করে বলেন-‘ফিরোজ আলম আমাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। সে আমাদের কাছে কোন টাকা পাবে না।’
টাকা পাওয়ার স্বীকারোক্তি দিয়েছেন মোবাইল ফোনে সেরকম একটা কল রেকর্ড আমাদের কাছে আছে। এ কথা বললে শোয়াইব বলেন-‘আমার কাছেও কল রেকর্ড আছে।’ বলেই লাইন কেটে দেন।
প্রবাসী ফিরোজ আলম ধারদেনা করে ভিসা পাবার আশায় ৩ লাখ টাকা দিয়ে সে অসহায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে জানান।