ভয়াবহ মরণব্যাধির নাম ক্যান্সার। এটা থেকে মুক্তির উপায় আছে, কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন সময় মতো চিকিৎসার ও অর্থের। এর চিকিৎসা খরচ অনেক বেশি হওয়ায় বহু রোগী মারা যায়। তাই সমাজের বিত্তবান থেকে শুরু করে সবাই যদি সাধ্যমতো সাহায্যের হাত বাড়ায় তাহলে বেঁচে যেত অনেক প্রাণ।
কথা বলছি গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সাহাজউদ্দিন মাতব্বর পাড়া এলাকার দিনমজুর আমজাদ জোয়াদ্দারের স্ত্রী সালমা বেগম ২৮। সালমা বেগম দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ তিনি চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান ।
চিকিৎসকরা তাকে চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেন। পরীক্ষা নিরীক্ষায় দেখা গেছে তার পিত্তথলিতে টিউমার। তাদের পরিবার থেকে সিদ্ধান্ত নেয় টিউমার অপারেশনের জন্য। টিউমার থেকে বের হয় অনেক পাথর। তারপরেও সালমা বেগম সুস্থ হয়ে ওঠেন নি তার ব্যথা কমেনি। পরবর্তীতে সালমা বেগম আবার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করলে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেখে চিকিৎসক বলেন আপনার পেটে ক্যান্সারের জীবাণু দেখা গেছে।
দিনমজুর আমজাতের সংসারে তার স্ত্রী সালমা বেগম ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে আমজাদের সাধ্য অনুযায়ী স্ত্রীর জন্য চিকিৎসা করেছেন।
সালমা বেগম কে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে দেয়া হচ্ছে কেমোথেরাপি। চিকিৎসক বলেছে বারোটি কেমোথেরাপি দিতে হবে এ পর্যন্ত দেয়া হয়েছে কেমোথেরাপি দুইটি।প্রত্যেকটি কেমোথেরাপিতে এ দারিদ্র পরিবারের জন্য খরচ ধরা হয়েছে ১৮ হাজার টাকা করে।
দিনমজুর আমজাদ পরিবারের জন্য চালডাল কিনবেন নাকি স্ত্রীর চিকিৎসা করবেন এ নিয়ে হতাশায় ভুগছেন তিনি।সালমা বেগম তিন সন্তানের জননী, বড় ছেলে নাম সোহেল বয়স ১৪ মেজো ছেলে রানা বয়স নয় ছোট মেয়ে ময়না ৯ মাস বয়স।এত কম বয়সে মা মরণব্যাধি ক্যান্সারে ভুগছে সন্তানরা দুশ্চিন্তায় ভুগছেন।
স্ত্রী সালমা বেগম কে বাঁচাতে স্বামী দিনমজুর আমজাদ জোয়াদ্দার সাহায্যের জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।