রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর গেটে থেকে এক তরুণীকে উদ্ধার করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার এ ঘটনায় মানবপাচার মামলার প্রধান আসামী মনির হোসেন(২৫)কে গ্রেফতার করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।সে পঞ্চগড়ের রাজমহল গ্রামের জালাল মোল্লার ছেলে মনির হোসেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উদ্ধারকৃত তরুণী চলতি বছর স্থানীয় কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছে। তার মা ক’বছর আগে বাবার সাথে ডির্ভোস হয়। বাবা পুনরায় বিয়ে করেন।তার সৎ মা বিভিন্ন সময় নির্যাতন করতেন। মনিরের বাড়ি তার পূর্ব পরিচিত। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে পরিবারিক সমস্যার জন্য মনির তাকে চাকুরী দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।তাকে পোশাক কারখানায় ভালো বেতনে চাকুরীর দিবেন। সোমবার (৭ জুন) বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে তরুনী বাসে রওয়ানা করে পরদিন মঙ্গলবার (৮জুন) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকায় পৌছে মনিরকে ফোন করলে তাকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আসতে বলে।
বিকেল ৪টার দিকে সে ফেরিতে নদী পাড়ি দিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে পৌছে ফোন করলে মনির পঞ্চগড় সদর উপজেলার বাদুমৃধা গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে মাসুমকে (৩০) সাথে করে ঘাটে যায়। পরবর্তীতে তারা ঘাট এলাকায় ঘোরাফেরার পর রাতে গার্মেন্সের কথা বলে দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী জানান, যৌনপল্লির প্রবেশ পথের এক স্থানে তাকে বসিয়ে রেখে দুইজন ফোনে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে ডেকে আনে। তাকে বসিয়ে রেখে দূরে গিয়ে কথা বলতে থাকে এতে তরুণীর মনে সন্দেহ নেয়।
পরেক্ষণ যৌনপল্লীর ভিতরে নিয়ে যায়। বিভিন্ন বয়সী মেয়ে ও পুরুষের আনাগোনায় আরো সন্দেহ দেয়।তাকে দাঁড় করিয়ে মনির ও মাসুম অজ্ঞাত ব্যক্তির থেকে টাকা নেন। তখন স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পারেন এটা যৌনপল্লি। তারা অজ্ঞাত ব্যক্তিকে সাথে করে জোরপূর্বক ভিতরে নেওয়ার চেষ্টা করলে চিৎকার দেন।
এসময় স্থানীয় লোকজন মনিরকে আটক করে বাকি দুইজন পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে গোয়ালন্দ থানা পুলিশ মনিরকে আটক ও তরুনীকে থানায় নিয়ে আসে। রাতেই ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মানবপাচার আইনে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে এবং গ্রেফতারকৃত আসামীকে বুধবার আদালতের মাধ্যমে রাজবাড়ী কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছ।