লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেয়ারিগঞ্জ ইউনিয়নের এমলিতলার মৃত আখতারুজ্জামানের ছেলে বেলাল হোসেন জমি কিনে দখলে যেতে পারছেন না বলে জানা গেছে। সরকারি সম্পত্তির উপর তৈরি ঘর গুড়িয়ে দিল ভূমি অফিস।
চরমনসা গ্রামের বেল্লালের বাড়ির দিনমজুর বেল্লাল হোসেন ৩১ শতাংশ নাল জমি ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা দামে স্থানীয় সাইফুল ইসলামের সাথে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বায়না করলে জমির মালিক সাইফুল ইসলাম বেলালকে দখলে যেতে বলেন। বাকি টাকার মধ্যে ১লাখ ৫০ হাজার টাকা ৬ মাস মাস পরে ও বাকি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জমি রেজিস্ট্রি করার সময় পরিশোধ করবেন বেলাল।
জমি দখলে গিয়ে বসত ঘর তোলার সময় স্থানীয় তহশীলদার এসে বাধা দেয় ও উক্ত জমি সরকারি বলে বেলালকে দখল ছেড়ে যেতে নির্দেশ দেয়। ঘটনাটি সাইফুল ইসলামকে জানালে তিনি উক্ত জমি তার বাবার নিজস্ব সম্পত্তি বলে বেলালকে দখলে থাকতে বলেন। সাইফুল এও বলেন যদি বেলাল দখল ছেড়ে যায় তাহলে তাকে জমি বা টাকা কোনটাই দেয়া হবে না। এমনটি স্থানীয় নাসির মিয়া, বাচ্চু মিয়া ও মসজিদের ইমামও জানিয়েছেন।
এদিকে স্থানীয় তহশীলদার, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বিক্রেতা সাইফুল ইসলামের উপস্থিতিতে দখল না ছেড়ে দেয়ায় নিবার্হী কর্মকর্তা (ভূমি) ভেকো দিয়ে বেলালের বসতঘর গুড়িয়ে দেয়। তখন সাইফুল বেলালকে অন্যত্র জমি দেয়ার আশ্বাস দিলেও অদ্যবধি জমি না দেয়ায় বোনের বাড়ীতে থেকে মানবেতর জীবনযাপন করছেন দিনমজুর বেলাল।
বেলাল কান্নাজড়িত কণ্ঠে এই প্রতিবেদকে বলেন-আমি জমি কিনতে পাঁচ লাখ ৭০ হাজার টাকা খরচ করেছি। কিন্তু জমি সরকারি হওয়ায় আমি চরম ক্ষতির মুখে পড়েছি। আমার দুই ছেলে রাগ করে আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। আমি অসহায় অবস্থায় জীবনযাপন করছি।’
এ বিষয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন-ওখানে একটা সিন্ডিকেট কাজ করে। ওটা আমার বাবা হাবিবুর রহমানের খরিদকৃত সম্পত্তি। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান।’
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ আমিন মাঝি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন-বেলাল যে জমি কিনেছে ওটা সরকারি হওয়ায় এসিল্যান্ড দখল উচ্ছেদ করেছে। বেলালের একটা দোচালা টিনের ঘর ছিলো ওটা ভেকো দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে। ‘