ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সাভার থানায় নুরুল আমিন ও মীর মনির নামের দুই প্রতারক চক্রের সদস্য নিজেদের আনসার ব্যাটিলিয়ানের কর্মকর্তার পরিচয় চাকুরী দেয়ার কথা বলে চাদাবাজির অভিযোগ উঠেছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায় যে-প্রতারক নুরুল আমিন ( ৩০ ) চাঁদপুরের উত্তর মতলব থানার ফরাজিকান্দি গ্রামের আক্কাছ আলীর ছেলে। অপর প্রতারক মীর মনির ( ৩৫ ) বরগুনার পাথর ঘটা থানার কামার হাট গ্রামের সুলতান মীরের ছেলে।
সাভার থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়-সুমন আলী, রাসেল সরদার,আবু হুরাইরা, মোঃ রুবেল মিয়া,পাইলট কাবিরয় এর সবাই চাকুরি প্রত্যাশি। অনুমান ১ বছর পূর্বে আনসার ব্যাটালিয়নে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে গাজিপুর জেলার শফিপুরস্থ আনসার একাডেমি মাঠে চাকুরির জন্য প্রাথমিক বাছাই এর লাইনে দাড়ায় তারা। ঐ সময়ে বিবাদী নুরুল আমিন (৩০) ও মীর মনির(৩৫) আনসার ব্যাটালিয়নের বড় কর্মকর্তা পদে আছেন বলে জানায় তাদের।
চাকুরী পাওয়ার নিশ্চয়তার জন্য প্রতারক নুরুল আমিন তার নিজের মোবাইল নাম্বার দিয়ে পরবর্তীতে যোগাযোগ করার জন্য বলে তাদের। পরবর্তীতে ৩ জুন/২০২০ তারিখে প্রতারক নুরুল আমিন সহিত যোগাযোগ করলে, বিবাদী তাদের চাকুরী নিশ্চয়তা দিয়ে ১০০ টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে একটি লিখিত চুক্তি করে ২,৮৪,০০০( দুই লাখ চুরাশি হাজার ) নগদ টাকা গ্রহণ করে। বাদীদের চাকুরীর নিয়োগপত্র না দেওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে প্রতারক মোঃ নুরুল আমিন নানা রকম তালবাহানা করতে থাকে।
ভুক্তভোগীরা পরে জানতে পারে নুরুল আমিন ও মীর মনির প্রতারক। তারা বিভিন্ন সময় একাধিক দপ্তরের কার্ড দেখিয়ে নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করতেন।
পরিবর্তিতে ভুক্তভোগী সুমন বাদী হয়ে সভার মডেল থানায় অভিযোগ করে। এই অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত রিপোর্ট না পেয়ে ভুক্তভোগীরা বাধ্য হয়ে ২৩মে সাভার নবীনগর র্যাব-৪ ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ করে। এ সময় ২৬মে র্যাব -৪’র সদস্যরা অভিযান চালিয়ে প্রতারক নুরুল আমিনকে গ্রেপ্তার করে সাভার থানায় হস্তান্তর করে।
গ্রেপ্তারকৃত প্রতারক চক্রের সদস্যদের সাভার মডেল থানা পুলিশ আদালতে পাঠিয়েছে। একি সাথে পুলিশ জানায় প্রতারক নুরুল আমিন কে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।নবীনগর র্যাব-৪’র সদস্যদের সাভার বাসি ও ভুক্তভোগীর পরিবার অভিনন্দন জানায়।