সিরাজগঞ্জের তাড়াশে রোপনকৃত চারা গাছের সাথে শত্রুতা করে তুলে ফেলছেন দুর্বত্তরা। শনিবার রাতে কে বা কারা উপজেলার বারুহাস বাজার সংলগ্ন ৬৫ নং মৌজার আরএস ১৫৯ নং খতিয়ান জমি থেকে রোপনকৃত প্রায় ১শ টি ইউক্যালিপটাস চারা গাছ তুলে ফেলা হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায় ওই গ্রামের শাহআলম খন্দকারের ছেলে জাহাঙ্গীর খন্দকার সিরাজগঞ্জ এলএসডি মামলা নম্বর ৫২/১৩ ও ২৮-০১-২১তারিখে রায় পাওয়ার পর সহকারী কমিশনার ভূমি অফিস হতে খারিজ করে ও খাজনা দিয়ে ২মাস আগে দখলকৃত জমিতে ১শ টি ইউক্যালিপটাস চারা গাছ রোপন করে। চারা গাছ রোপন করার পর থেকেই নিয়মিত চারা গাছের যত্ন করে আসছিল। হঠাৎ করে ২৩ মে রবিবার সকালে চারা গাছের বাগানে গেলে একটা গাছও পাওয়া যায় নাই। পরে বাজারের লোকজনকে ডেকে বিষয়টি জানায়। পরে এ ব্যাপারে তাড়াশ থানায় একটি অভিযোগ করা হয়।
তবে বাগান সংলগ্ন প্রতিবেশী রাহেলা খাতুন বলেন, সন্ধ্যার আগেও চারা গাছ গুলো দেখেছিলাম। কিন্তু সকালে দেখি একটা গাছও নাই। কে বা কারা রাতে তুলে নিয়ে গেছে আমি জানি না।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী জাহাঙ্গীর আলম খন্দকার বলেন, আমি এই জায়গা নিয়ে সিরাজগঞ্জ কোর্টে মামলা করলে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আমাকে রায় দেন। তার পর থেকেই আমার গ্রামের মৃত দাদ আলী খঁান চৌধুরীর ছেলে কামরুল খান,টিপু খান,টিটু খান ও পিটার খান বিভিন্ন হুমকি দামকি দিয়ে আসতেছিল। শত্রুতা করে তারাই আমার এ চারা গাছ গুলো তুলে গোপন করছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্তকারী টিপু খান বলেন, জাহাঙ্গীর আলম খন্দকার চারা গাছ রোপন করছিল। কিন্ত কে বা কারা এই চারা গাছ তুলছে আমাদের জানা নাই। আমাদের পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই মিথ্যা,বানোয়াট অপবাদ দিয়ে মানক্ষুন্ন করছেন।
তাড়াশ থানার এস আই মাজেদুল রহমান বলেন, সিরাজগঞ্জ কোর্টের বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনা মোতাবেক ওই জায়গার উপর ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সেই মোতাবেক নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।পরবর্তী কোন নিদের্শনা না পাওয়া পর্যন্ত এই আদেশ বলবৎ থাকবে।