রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে কিশোরী উদ্ধার ঘটনায় পতিতালয়ের বাড়ীর মালিক কনক মন্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই কিশোরী যৌনকর্মীকে বন্দী দশা অবস্থায় খোদ্দের দিয়ে অনিচ্ছার সত্বেও জোড় পূর্বক যৌন মিলনে বাধ্য করার অপরাধে যৌনপল্লীর বাড়ীর মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার সকালের দিকে এক খদ্দেরের মোবাইল হতে তরুনী গোপনে থানায় ফোন করলে পুলিশ যৌনপল্লীতে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে কনককে আটক করে। কনক গোয়ালন্দ বাজার আড়ৎপট্টির মোশাররফ মন্ডলের ছেলে। তার মা প্রয়াত কল্পনা বেগম পতিতাপল্লীর বাড়ীওয়ালী ছিলেন। এ ঘটনায় তরুণী নিজেই বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া তরুনীর বাড়ি ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার বাসিন্দা। ৪ বছর আগে পাশ্ববর্তী এলাকায় তার বিয়ে হয়। দরিদ্র স্বামীর সংসারে অনটন লেগেই থাকত। সম্প্রতি এক অজ্ঞাত মহিলার সাথে ওই তরুনীর পরিচয় হয়।অজ্ঞাত মহিলা মূলত নারী পাচারকারী চক্রের একজন সদস্য। ভালো বেতনে চাকরির কথা বলে তরুনীকে গত ২৭ মার্চ বিকেলে দেশের সর্ববৃহৎ দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীতে নিয়ে আসে। পরে সে বাড়ীওয়ালা কনকের কাছে তরুণীকে মোটা অংকের টাকায় বিক্রি করে পালিয়ে যায়। কনক তরুণীকে তার বাড়ীর একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে এবং তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে খোদ্দের পাঠিয়ে জোরপূর্বক দেহ ব্যাবসা করে। কনক তরুণীর ব্যাক্তিগত মোবাইল ফোনটিও ভেঙে ফেলে। গত ১৯ মে বুধবার সকালে তার কক্ষে এক খদ্দের পাঠায়। এ সময় তরুনী কৌশলে ওই খোদ্দেরের মোবাইল দিয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় ফোন করে তাকে উদ্ধারের আকুতি জানায়। এরপর থানা পুলিশের একটি দল যৌনপল্লীতে গিয়ে তরুণীকে কনকের বাড়ী থেকে তাকে উদ্ধার করে কনককেও গ্রেফতার করে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, এ ঘটনায় বাড়ীওয়ালা কনক ও পাচার করে আনা অজ্ঞাত মহিলার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। গ্রেফতারকৃত কনককে আদালতের মাধ্যমে রাজবাড়ীর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অজ্ঞাত মহিলাকে খোঁজা হচ্ছে।