শনিবার মুসলিম উম্মাদের ছিল প্রিয়ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। এই দিনে সড়কে দূরপাল্লার যানবাহন না চলায় সড়ক গুলো অনেকটা ফাঁকা থাকে।এরই মধ্যে রাস্তা ফাঁকা পেয়ে ঈদের আনন্দে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে পৃথক ঘটনায় ২জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে৷
ঘটনাটি ঘটে বগুড়ার সদর উপজেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে মিলন দাস (২৭) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয় রবিন (২৮)।
মিলন দাস বগুড়া পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে পুরান বগুড়া হিন্দু পাড়ার বাসিন্দার। তার পিতার নাম শ্রী সখা দাস। প্রতক্ষ্যদর্শীরা জনান, শুক্রবার (১৪ মে) মিলন দাস ও বন্ধু রবিনকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে মহাস্থানগড়ের দিকে বেড়াতে যাচ্ছিলেন।
এসময় উপজেলার বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে বারপুর এসওএস শিশু পল্লী এলাকার সন্নিটে পৌঁছালে তাদের মোটরসাইকেলের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে মহাসড়কে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মিলনের মৃত্যু হয়।স্থানীয়া মৃত্যুর কারণ হিসেবে মোটরসাইকেল বেপরোয়া গতিতে চালানোকে দায়ী করেন।
এঘটনায় ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) সুজন মিয়া জানান, আমরা দূর্ঘটনা সম্পর্কে জেনেছি। তবে ঠিক কার সঙ্গে কীভাবে হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি।
অপর দিকে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে নুরুন্নবী (২৩) নামে এক কলেজ ছাত্র মৃত্যু হয়েছে।
নিহত নূরুন্নবী সে উপজেলার সাজাপুর কাগজীপাড়া এলাকার আশরাফ আলীর পুত্র এবং বগুড়া আজিজুল হক কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
জানা যায়, মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে মাঝিড়া বন্দর বারনিঘাটা এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে প্রাইভেটকারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এসময় গুরুতর আহতাবস্থায় মোটরসাইকেল চালক নুরুন্নবীকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
এঘটনায় বগুড়া হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আল-হাসান জানান, দুর্ঘটনা কবলিত প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পে হেফাজতে রয়েছে। দূর্ঘটনার কারণে তদন্তপূর্বক নিশ্চিত করে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।