ভোলার দৌলতখান উপজেলার কলাকোপা ওয়ার্ডের ফকির বাড়ির মোঃ জসিম উদ্দিনের মাদ্রাসা পড়ুয়া শিশু ছেলে মোঃ রনিকে (৮) মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওই এলাকার মাতাব্বর বাড়ির বনি আমিন এর ছেলে রায়হান (১৭) এলোপাতাড়ি রনিকে মারধর করে।
এতে রনি মারাত্মকভাবে বুকে ও পেটে আঘাত পায়।
ঘটনা ঘটার সাথে সাথে রনির মা তাকে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসেন।
রনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। রনির বুকে নীল ও কালো দাগের আঘাত, যা এখনো দৃশ্যমান।
রনির বাবা স্থানীয় চরে চাষাবাদের কাজে রয়েছে।
সাংবাদিকরা অভিযোগ পেয়ে সরজমিন হাসপাতালে গেলে রনির মা জানান, আমার ছেলেকে এর আগেও তার ছেলে
রায়হান এভাবে দুইবার মারধর করে ।
কিন্তু স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ দিয়েও আমি এর কোন সু-বিচার পাইনি। আপনারা তাদের মতই, এর কোন সুষ্ঠ বিচার করতে পারবেননা।
এসময়, আহত রনির মা বলেন, আমাদের সাথে কোনপ্রকার পূর্ব শত্রুতা নেই। তবুও কেনো বারবার এমন করে আমাদের সাথে।তিনি আরোও বলেন, আমরা গরিব মানুষ আপনাদের মাধ্যমে আমি উক্ত ঘটনার বিচার চাই। যদিও আপনারা এর কোন সঠিক বিচার পারবেননা।
এদিকে, অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত রায়হান এর বাসায় তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে রায়হানকে বাসায় পাওয়া যায়নি।
অপর দিকে, রায়হানের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে রায়হানের অভিভাবক সঠিক তথ্য না দিয়ে হইচই শুরু করে এলাকায় বিশৃঙ্খলা করে লোকজন সমাগম করে বিভ্রান্তে ফেলেন।
এমতাবস্থায়, সার্বিক দিক বিবেচনা করে নিজেদের নিরাপত্তা কথা ভেবে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য হই।
দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সোহেল বলেন, রোগী যেহেতু বুকে ও পেটে আঘাত পেয়েছে,সেহতু, কাশির সাথে যুদি রক্ত আসে তাহলে বুঝতে হবে ফুসফুসে আঘাত লাগতে পাড়ে,আর যুদি বুকের খাচার হাড়ে ব্যাথা না কমে তাহলে বুঝতে হবে। খাচার হাড় ভাঙতে পাড়ে।এসময়, তিনি আরো বলেন,২৪ ঘন্টার পর্যবেক্ষন এর আগে বলা যাবেনা জটিল কতটুকু।
দৌলতখান থানার (এ,এস,আই) ইমরান বলেন,
আহত রনির মা থানায় অভিযোগ করছেন। ঘটনাস্থল সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৌলতখান থানার অফিস ইনচার্জ বজলার রহমান বলেন,থানায় অভিযোগ দিলে উপযুক্ত তদন্ত সাপেক্ষ কঠোরভাবে ব্যবস্থা নিবে।