বগুড়ায় তারাবি নামাজ আদায় করতে গিয়ে নিখোঁজ ব্যক্তির ২ দিন পর ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। নিহতের নাম মশিউর রহমান সোনা মিয়া (২৬)।
শনিবার (১মে) সকাল ৯টায় বারপুর দক্ষিণপাড়ার একটি ধানক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সোনা মিয়া বগুড়া সদর উপজেলার বারপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত নান্নু মিয়ার পুত্র। সে পেশায় একজন দলিল লেখক ছিলেন।
পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ২৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর সোনা মিয়া অন্যান্য দিনের ন্যায় রাতে বাড়ির পাশে মসজিদে তারাবি নামাজ আদায় করতে বাড়ি থেকে বের হয়। এদিকে রাতে তারাবি নামাজ শেষ হলেও যথা সময়ে সোনা মিয়া বাড়িতে ফেরেনি। সে রাতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন চিন্তায় মসজিদসহ সম্ভাব্য স্থানে খোঁজ নিয়েও তার কোন সন্ধান পায় না।
পরের দিন শুক্রবার সোনা মিয়ার স্ত্রী সোনিয়া সদর থানায় এ সংক্রান্ত একটি জিডি দায়ের করেন। এরপর এলাকায় মাইকিং করলেও সোনা মিয়া নিখোঁজই রয়ে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (১মে) সকালে নিহতের বাড়ির পাশে একটি মাঠের ধানক্ষেত থেকে পঁচা দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। পঁচা দূর্গন্ধের তালাশ করতে গিয়ে এলাকাবাসী ওই লাশ দেখতে পায়।
একপর্যায়ে নিখোঁজ সোনা মিয়ার লাশ বলে তার পরিবারের সদস্যরা শনাক্ত করেন। এরপর এলাকাবাসী বগুড়া সদর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত সোনা মিয়ার লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
বগুড়া সদর থানার (তদন্ত) ইন্সপেক্টর আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রাথমিক ভাবে হত্যাকান্ড ধারণা করা হলেও তাকে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে ময়না তদন্তের পর এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তিনি আরও বলেন, নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলা হচ্ছে। তাদের পূর্বে কোন শত্রুতার জের আছে কিনা এবিষয় মাথায় রেখে কাজ করা হচ্ছে।