যশোরের বেনাপোল ইউনিয়নের গয়ড়া গ্রামে পারিবারিক পৈত্রিক ভিটা হতে উচ্ছেদ করতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে আমিন গংরা। গুরুতর জখম অবস্থায় আহতদের আত্মীয় স্বজনেরা উদ্ধার করে ৭ জনকে স্থানীয় শার্শা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় আবারও সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। গত সোমবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৭ টার সময় বেনাপোলের গয়ড়া চৌরাস্তাপাড়া গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন (১)খাইরুল ইসলাম-৩৭,পিতাঃ কুদ্দুস,(২) মনিরুল ইসলাম-২৬, পিতাঃ কুদ্দুস,(৩)মোমিন-৪২,পিতাঃ মৃত আহম্মদ,(৪) ফজের আলী-৩৫,পিতাঃ আঃ রব,(৫) ছোটন হোসেন-৩২,পিতাঃ ইসহাক।
স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক জমি জায়গা নিয়ে সোমবার সকালে গয়ড়া গ্রামে আমিন গং কর্তৃক তার প্রতিবেশি আত্মীয়দের ওপর এই হামলা চালায়। এসময় পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে দুই জনের স্বজনদের পরস্পরের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আমিন উদ্দীনের ছেলেরা দেশিয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করলে ৫ জন গুরুতর জখম হয়।
সংঘর্ষে আহত খাইরুল ইসলাম জানান, আমার মামা আমিন উদ্দীন সোমবার সকালে আমার বসত বাড়ির উপর এসে আমাদের পৈত্রিক ভিটার জমি দখল নিতে সে এবং তার ৩ ছেলে সহ আরও ২ জন গাঁছি দাঁ,হাসুয়া,অস্ত্র সহ আমাদের বাড়িতে এসে ভাংচুর শুরু করে। আমরা প্রতিবাদ করলে আমার মামাতো ভাই সাইফুল (মটর ম্যাকানিক) গাঁছি দা দিয়ে এলোপাতাড়ী ভাবে আমাদের ওপর আক্রমন করে এতে আমার ভাই সহ খালাতো ভাইয়েরা গুরুতর জখম হয়ে শার্শা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছি। উক্ত মারামারির ঘঠনার পরে আমার ছোট ভাই জহিরুল ইসলাম বাদি হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। তবে এখনও কোন আসামীকে আটক করেনি পুলিশ।
আমরা দরিদ্র ও অসহায় এজন্য অর্থ শালী আমার মামা আমিন উদ্দীন বারবার আমাদের পরিবারের উপর হামলা ও মামলা চালাচ্ছে কিন্তু সমাজে বিচার পাচ্ছি না। ঘটনার বিষয়ে আমিন উদ্দিন জানান,তার সৎ ভাই মোমিন উদ্দীন আমার জমি দখল করে রেখেছে সেটা ছেড়ে দেওয়ার কথা বললে আমাকে গালিগালাজ করলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বাড়িতে থাকা আমার ছেলেরা তাদের সাথে হাতা হাতির ঘটনা ঘটে। দাঁও হাসুয়া দিয়ে কোপ মারার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে বলেন আমি আঘাত প্রাপ্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় সেখানে কি ঘঠেছে আমি বলতে পারব না।
বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মুরাদ শেখ জানান, বেনাপোল গয়ড়া গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে খাইরুলের ভাই জহিরুল বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। অপরাধীদের খুব দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। তবে আর যেন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য পুলিশ সতর্ক রয়েছে।