ডিমলা(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডিমলা বুড়িতিস্তা সেচ প্রকল্প খননের উদ্দোগ গ্রহন করেছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। তিন ফসলি কৃষিজমি নষ্ট করে বুড়িতিস্তা সেচ প্রকল্পের জলাধার খননের উদ্দোগে বৃহস্পতিবার বিকেলে ফুঁসে ফেঁপে উঠেছে উপজেলা কুঠির ডাঙ্গা এলাকার স্থায়ী জনগোষ্ঠি । তাদের দাবী তাদের বৈধ কৃষিজমি দখল করে জলাধার খনন করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে নীলফামারী জেলার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার কুঠিরডাঙ্গা, রামডাঙ্গা, পচারহাট, চিড়াভিজা ও খারিজা গোলনা মৌজার কৃষকদের তিন ফসলি ১২১৭ একর আবাদী জমিসহ আধা পাঁকা ও কাঁচা ঘরবাড়ী, মসজিদ ও স্কুল গুলো বিনষ্ট হবে। এখনও পর্যন্ত জমি অধিগ্রহন সংক্রান্ত কোন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। জমির মালিক জাহিদুল ইসলাম, আব্দুল আলিম, স্বপন ইসলাম, আল-আমীন, বীরেন্দ্র নাথ সিংহ রায়, অবিলাস চন্দ্র রায়, জনগোষ্ঠির নেতা শহিদুল ইসলাম মাস্টার বলেন, আমাদের পৈত্রিক মালিকানা সুত্রে প্রাপ্ত জমিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড জোর পূর্বক জলাধার খননের নামে তারা ইতিপূর্বে ৭০০ কৃষকের নামে দফায় দফায় মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলা করে কৃষকদের আর্থিক ক্ষতিসহ হয়রানী করে আসছে। আবারও তারা বুড়িতিস্তা সেচ প্রকল্পের নামে অপরিকল্পিত ভাবে জলধার খনন করবে “কৃষি জমি রক্ষায় জীবন দিব তবুও জলাধার খনন করতে দিব না”। সারা দেশে যে ভাবে নদী খনন হচ্ছে সেই নিয়মে নদী খনন হোক আমাদের কোন আপত্তি নেই। প্রকৃত জমির মালিকগন বলেন, আমাদের না জানিয়ে বুড়িতিস্তা সেচ প্রকল্পের নামে অপরিকল্পিত ভাবে জলধার খননের উদ্দ্যোগ গ্রহন করেছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। ২০১০ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জমিগুলোর মালিকানা দাবী করে ৪৯২ দশমিক ৭১ হেক্টর ব্যক্তি মালিকানা জমি মের্সাস তুষকা লিমিটেডকে ইজারা দেন। তুষকা লিমিটেড এই জমিতে কার্যক্রম শুরু করলে স্থানীয় জনগোষ্ঠিরা বাধা দেয়। জমি রক্ষায় প্রকৃত মালিকরা উচ্চ আদালতের শরনাপন্ন হলে এক আদেশে তাদের কার্যক্রম স্থগিত হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, মালিকানা সুত্রে স্থানীয় জনগোষ্ঠিরা এসব জমিতে দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা পাঁকা ঘরবাড়ী নির্মান করে ধান, ভুট্টা, কপি, আলু, মরিচ, রসুন, পিয়াজ, বেগুন ও অন্যান্য কৃষিফসল চাষাবাদ আসছেন এসব জমিতে দীর্ঘদিন ধরে। এসব জমির ফসল স্থানীয় জনগোষ্ঠিরা চাষাবাদ করে উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য উপজেলারও চাহিদা মিটিয়ে আসছেন। বুড়িতিস্তা সেচ প্রকল্পের নামে অপরিকল্পিত ভাবে জলধার খনন করলে এসব জমিতে বছরে প্রায় ১০০ কোটি টাকার ফসল উৎপাদন হ্রাস পাবে ।