আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ দক্ষিণ লেবাননে যুদ্ধ বিরতির পর কারফিউ জারি করা হয়েছে। এই সংবাদ ছড়িয়ে পরার সাথে সাথে লেবাননের বিভিন্ন অংশে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি-ঘরে ফিরতে শুরু করেছে বাস্তুচ্যুত মানুষ। ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর লেবাননের বেসামরিক নাগরিকরা নিজেদের আশ্রয়স্থলে ফিরতে শুরু করেছেন। এই চুক্তিকে নিজেদের বিজয় বলে উল্লেখ করেছে হিজবুল্লাহ। অপরদিকে ইসরায়েলি বাহিনী বলছে, তাদের সেনারা সব সময় প্রস্তুত আছে।
এদিকে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে রাত্রীকালীন কারফিউ জারি করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। লিতানি নদীর আশেপাশে লোকজনকে চলাফেরার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত সেখানে চলাফেরা নিষিদ্ধ করা হয়।
এর আগে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর তিনি এ ঘোষণা দেন। লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিনি এই চুক্তিকে সমর্থন করেন।
মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন নেতানিয়াহু। এ সময় চুক্তির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, উত্তর লেবাননের বাসিন্দারা এখন তাদের বাড়ি ফিরে যাবেন। একই সঙ্গে তিনি জানান, হিজবুল্লাহ চুক্তি ভঙ্গ করলে ইসরায়েল ফের হামলা চালাবে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তগুলোর বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে অন্যতম শর্তের মধ্যে একটি হচ্ছে ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহ উভয়ই ৬০ দিনের জন্য দক্ষিণ লেবানন থেকে তাদের বাহিনী প্রত্যাহার করবে।
হিজবুল্লাহ সীমান্তের প্রায় ১৯ মাইল উত্তরে লিতানি নদীর উত্তরে থাকবে। দক্ষিণে তাদের কোনো অবস্থান থাকবে না। সেখানে সশস্ত্র গোষ্ঠী বলতে কেবল লেবাননের সেনাবাহিনী ও জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা অবস্থান করতে পারবেন। যুদ্ধবিরতির সময়কালের বিষয়ে নেতানিয়াহু বলেন, লেবাননে কী ঘটে তার ওপর নির্ভর করবে এর সময়।
এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লেবানেনে ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধের খবরকে স্বাগত জানায় তেহরান।
এ বছর ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকে ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যেও সংঘাত বাঁধে। এতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩ হাজার ৮২৩ জন নিহত এবং আরও ১৫ হাজার ৮৫৯ জন আহত হয়েছে।