করোনার ক্রান্তিকালেও খোশ মেজাজে ধান কাটতে শুরু করেছেন শাহজাদপুরের কৃষকেরা। চলতি বোরো মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ নেমে না আসায় শাহজাদপুরে বোরো ধানের ফলন অতীতের তুলনায় বেশ ভালো হয়েছে ।
ইতিমধ্যেই নদী তীরবর্তী নীচু স্থানে ও বিভিন্ন নীচু নালায় রোপিত স্থানীয় বোরো জাতের ধান (আগুর ধান) পেঁকে যাওয়ায় কৃষকেরা করোনার ক্রান্তিকালের মধ্যেও হাঁসি খুশি মনে ধান কাটতে শুরু করেছেন। এবার ধানের ফলনও বেশ ভালো হয়েছে বলে কৃষকেরা জানিয়েছেন।
শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর শাহজাদপুর পৌর এলাকাসহ ১৩টি ইউনিয়নে মোট ২২ হাজার ৮’শ ৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছে কৃষকেরা। ইতিমধ্যেই বোরো স্থানীয় জাতের ধান পেঁকে যাওয়ায় তা কাটা শুরু হয়েছে। আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে উফসী জাতের ধানও পেঁকে যাবে এবং ১ সপ্তাহ পর কৃষকেরা পুরোদমে ধান কাটার কাজে লেগে যাবেন বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। ধান রোপন থেকে কৃষকের ঘরে তোলা পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে কৃষকদের উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ দেয়াসহ নানা ধরনের সহযোগীতা করা হচ্ছে।
শাহজাদপুর উপজেলার নরিনা ইউনিয়নের চর-নরিনা গ্রামের কৃষক শাহীনূর রহমানসহ বেশ কয়েকজন প্রান্তিক কৃষক জানান, ‘চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও চলতি বোরো মৌসুমে কোন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দেয়ায় স্থানীয় বোরো জাতের ধানের ফলনও খুব ভালো হয়েছে । ইতিমধ্যে এসব ধান পেঁকেও গেছে। লকডাউনে কৃষকদের হাতে তেমন কোন কাজ নেই। তাই শ্রমিকদের সাথেপাশে রেখে কৃষকেরাও উৎসবের আমেজে ধান কাটছেন।
শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুস সালাম জানান, ‘দুর্যোগমুক্ত আবহাওয়ার কারণে এবার ধানের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও ফলনও অতীতের চেয়ে বেশ ভালো হয়েছে। শেষ পর্যন্ত এভাবেই আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ধানের বাম্পার ফলন নিয়ে কৃষকেরা যে স্বপ্ন বুকে লালন করেছেন, তাদের সেই স্বপ্ন ও বুকভরা আশা এবার বাস্তবে রূপ নেবে। এতে কৃষকেরা অর্থনৈতিকভাবেও বেশ লাভবান হবেন।