উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন আলী আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ডাব পারাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার বহিরাগত কিছু দুবৃত্ত স্কুলে ঢুকে এক শিক্ষক ও ছাত্রকে বেধড়ক মারপিট করে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত শিক্ষক ও ছাত্রকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
আহতরা হলেন, এই স্কুলের শরীর চর্চা শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম ও দশম শ্রেণির ছাত্র মোঃ আবির হোসেন। বুধবার স্কুলের নারকেল গাছ থেকে শিক্ষার্থীরা ডাব পেরে খাওয়ার সময় নিজেদের মধ্যে গোলযোগের সৃষ্টি হয়। এ সময় আহত শিক্ষক শহিদুল ইসলাম গোলযোগ নিরসনের জন্য ছাত্রদের ধমক দেওয়ার জের ধরে এই মারপিটের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আহত শহিদুল ইসলামের অভিযোগ, গতকাল ডাব পারার ঘটনায় জড়িত ছাত্রদের তিনি ধমক দিয়ে তাদের মধ্যে সৃষ্ট গোলযোগ নিরসন করেন। এই ঘটনার জেরধরে তার স্কুলের গোলযোগে জড়িত থাকা কতিপয় শিক্ষার্থীর প্ররোচনায় বৃহস্পতিবার স্থানীয় বাসিন্দা বিঠু হোসেন, সজিব হোসেন, তৌহিদুল ইসলাম, হাসান আলী, মানিক হোসেনসহ ৮/১০ জন যুবক লাঠি, প্লাস্টিক পাইপ, দা সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে স্কুলে ঢোকে। এ সময় তিনি স্কুল অঙ্গনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ করে দুবৃত্তরা হামলা চালিয়ে তাকে এলোপাথারি পেটায়। তাকে বাঁচাতে স্কুলের ছাত্র আবির হোসেন এগিয়ে এলে আক্রমনকারীরা তাকেও মারধর করে। আর এতে শিক্ষক ছাত্র দুজনই তারা গুরুতর আহত হন। শহিদুল ইসলাম এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন আলী আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, বুধবার ডাব পারা নিয়ে ছাত্রদের মধ্যে সৃষ্ট গোলযোগ নিরসনের জন্য তার স্কুলের শরীর চর্চা শিক্ষক শহিদুল ইসলামকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছিলেন। তিনি ছেলেদের ধমক দিয়ে তখন গোলযোগ নিরসন করনে। এই ঘটনার জেরধরে স্থানীয় উল্লিখিত যুবকেরা লাঠি-সোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বৃহস্পতিবার স্কুলে এসে শহিদুল ইসলামকে অন্যায়ভাবে মারধর করেন। বিষয়টি তিনি উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে নির্বাহী কর্মকর্তা দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। বর্তমানে এব্যাপারে স্কুলের পক্ষ থেকে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে উল্লাপাড়া মডেল থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত যুবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টার করা হলেও তাদেরকে এলাকায় পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রাকিবুল হাসান জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনায় ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ পাঠানো হয়। স্কুলের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ বা মামলা দেওয়া হলে পুলিশ উপযুক্ত তদন্তের প্রেক্ষিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।