শিরোনাম
실시간 메이저사이트, 풋볼스피크 추천 플랫폼 How To Handle Every MEGA Challenge With Ease Using These Tips দুর্গাপুরে জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে কেন্দ্র পরিচালক ও পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ। ডিমলায় বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। গাঁজায় চলম ধ্বংসষজ্ঞ ও প্রানহানীর প্রতিবাদে ডিমলায় বিক্ষোভ। গাঁজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে মাধবপুরে বিক্ষোভ মিছিল। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে কালিয়াকৈরে বিক্ষোভ মিছিল। ইহুদীদের সাথে হযরত মুহাম্মদ (স.) জামাকে তুলনা করায় মৌলভীবাজারে প্রতিবাদ। কালিয়াকৈর চাপাইর তুরাগ নদীতে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার। উল্লাপাড়ায় শ্রমিক লীগ নেতার বিরুদ্ধে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা অভিযোগ।
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৪৯ অপরাহ্ন

লাইনের নিচে নেট না দেয়ায় এত বড় দুর্ঘটনা-দায়ী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।

জালাল উদ্দিন, নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ / ২৫৪ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ি এলাকা দিয়ে আশির দশকে বিদ্যুতের লাইন টানে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। আর বাকপ্রতিবন্ধী দিনমজুর ফয়জুর রহমান ঘর নির্মাণ করেন চার থেকে পাঁচ বছর আগে। বিদ্যুতে ১১ হাজার ভোল্টের সঞ্চালন লাইনের নিচে ঘর নির্মাণের সময় বাধা দেয়নি মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
বৈদ্যুতিক তারে নিরাপত্তার জন্য কোনো রাবারও যুক্ত করেনি তারা। ফলে গত মঙ্গলবার রাতে ঘটে মর্মন্তুদ ঘটনা। বজ্রপাতসহ ঝড়বৃষ্টির সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যান ফয়জুরসহ পরিবারের পাঁচ সদস্য। এ ঘটনার জন্য স্থানীয় অনেকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অবহেলাকে দুষছেন।
ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া পরিবারের একমাত্র সদস্য দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী সোনিয়া সুলতানাও গতকাল বুধবার ভোরে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যায়। ফলে পরিবারের শেষ প্রদীপটিও নিভে গেল। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুস সালাম চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘরের ওপর দিয়ে ১১ হাজার ভোল্টের লাইন গেলেও ফয়জুরের বসতের ভেতর কোনোদিন জ্বলেনি বিদ্যুতের আলো। সম্প্রতি ঘরের মধ্যে ওয়ারিংয়ের কাজ শেষ করে সংযোগের জন্য আবেদনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তবে আলোকিত ঘর আর দেখতে পারেননি তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ মৌলভীবাজার জোনাল অফিসের ডিজিএম সোহেল রানা জানান, তাদের লাইনটি আশির দশকে টানা হয়। ২০২০ সালের দিকে লাইনের নিচে ঘর তৈরি করেন ফয়জুর। এক সময় সেখানে কাজ করতে গিয়ে তারা জায়গার মালিকপক্ষের বাধার সম্মুখীন হন বলে দাবি করেন। ঘর তৈরির অনেক আগে থেকে লাইন ছিল দাবি করে দায় এড়াতে চান তিনি।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ফয়জুরের বাড়িটি ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও লাইনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয় আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, ঘরের পাশের দুটি খুঁটির দূরত্ব অনেক বেশি। তারে অনেকগুলো জোড়া রয়েছে। যে কোনো সময় হালকা বাতাসে এসব তারে বিজলির মতো চমকায়। আগুনের মতো এই বিজলি দেখে সবাই ভয় পেত। অনেকবার পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের বলার পরও তারের নিচে নেট বা রাবার দিয়ে আবৃত করা হয়নি বলে জানান তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর