ঝিনাইগাতী(শেরপুর) প্রতিনিধিঃ
বিএডিসির অনুমতির ২ বছরেও পল্লী বিদ্যুৎ এর সংযোগ মিলেনি কৃষক আবির হাসানের ভাগ্যে। ফলে কৃষক আবির হাসান নিজস্ব আবাদি জমিতে সেচ দিতে পারছেন না। আবির হাসান শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল গ্রামের বাসীন্দা।
জানা গেছে, ২০২১সালে আবির হাসান জমি চাষাবাদের উদ্দেশ্যে একটি নলকূপ স্থাপনের জন্য উপজেলা সেচ কমিটির নিকট আবেদন করেন। সকল প্রকার নীতিমালা অনুসরণ করে উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ২২ সালে নলকূপ স্থাপনের অনুমতি দেন।
আবির হাসান অনুমতি পেয়ে নলকূপটি স্থাপন করে উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বরাবর বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু গত দুই বছরেও আবির হাসানের ভাগ্যে জুটেনি বিদ্যুৎ সংযোগ। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার হাফিজুর রহমান নানা অজুহাতে বিদ্যুৎ সংযোগটি দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন আবির হাসান। তবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বলেছেন আবির হাসানের নলকূপের পাশেই নুরে আলমের একটি সেচ পাম্প রয়েছে। সেচ নীতিমালা অনুযায়ী এক নলকূপ থেকে অপর নলকূপের দুরত্ব কম হওয়ায় আবির হাসানের সংযোগের আবেদনটি বাতিল করা হয়েছে। অপরদিকে আবির হাসান বলেছেন নুরে আলমের নলকূপটি বিএডিসি ও সেচ কমিটির অনুমতি ছাড়াই স্থাপন করা হয়েছে। একারনেই বিএডিসি ও সেচ কমিটি তার নলকূপটি স্থাপনের অনুমতি দেয়। তাছাড়া নুরে আলম ইতিপুর্বে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক ছিলেন। একারনে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আবির হাসানের বিদ্যুৎ সংযোগ না দিয়ে হয়রানি করে আসছেন বলে অভিযোগ আবির হাসানের।
আবির হাসান আরো বলেন নুরে আলমের সেচ পাম্পটি বিএডিসি ও সেচ কমিটির অনুমতি থাক আর নাই থাক। নুরে আলম তার সেচ পাম্প স্থাপনে অনাপত্তি পত্র লিখে দিয়েছেন। এর পরেও বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছেন না আবির হাসান। ফলে লাখ লাখ টাকা খরচ করে নলকূপ স্থাপন করে বিপাকে রয়েছেন তিনি।
এবিষয়ে প্রতিকার চেয়ে আবির হাসান উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভুঁইয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন অভিযোগের বিষয়টি আমার জানা নেই। এক সপ্তাহ তিনি বাইরে ছিলেন বলে জানান। এ কারনে অভিযোগটি দাপ্তরিকভাবে বিএডিসিকে হস্তান্তর করা হয়েছে।